আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
উস্তাদজী, আমি IOM এর Alim Preparatory কোর্সের একজন তালিবুল ইলম।
IOM থেকে প্রকাশিত স্কুল মক্তব, মেরী থেকে মারইয়াম, দুই বান্ধবী এই বইগুলোতে অনেক মানুষের ছবি আঁকা হয়েছে যেখানে হয়তোবা চোখমুখ দেয়া নেই কিন্তু স্পষ্টতই মানুষের ছবি বুঝা যাচ্ছে। কিছু বইয়ে হিন্দুদের বিভিন্ন দেবদেবীর ছবি অঙ্কন করা হয়েছে।

যে বিষয়ের উপর এই বইগুলো লেখা হয়েছে সেখানে এই ছবিগুলো আমার কাছে নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে। মেডিকেল সায়েন্সের ক্ষেত্রে হয়তোবা ছবির বিশেষ গুরুত্ব থাকতে পারে।

এমতাবস্থায় উস্তাদজীর কাছে আমার কয়েকটা প্রশ্ন ছিলো -

১৷ এরকম ছবি অঙ্কন বা মুদ্রণ করা কি জায়েজ হবে?

২। তাকওয়ার প্রেক্ষিতে এর বিধান কি হবে?

৩। এই ছবিগুলো দেখার পর এটা অন্য সময়ে ইবাদতের (সালাত) মধ্যেও মনের মধ্যে ভাসতে থাকে। এক্ষেত্রে কি করণীয়?
ভুলত্রুটি মাফ করবেন।

1 Answer

+1 vote
by (698,160 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কোনো প্রাণীর ছবিতে যদি এমনভাবে আর্ট করা হয় যে, দেখার পর আর প্রাণীর ছবি বুঝা যায় না, তাহলে সেই অঙ্কনকাজ হারাম থেকে বাহির হয়ে যাবে। কিন্তু যদি দেখার পর সেটাকে প্রাণীর ছবিই মনে হয় বা সেটা প্রাণীর দিকে ইঙ্গিত দেয়, তাহলে সেটা হারামই থাকবে।

কিন্তু যদি সমস্ত চেহারাকে মিটিয়ে দেয়া হয় অথবা মাথাকে কর্তন করে দেয়া হয় কিংবা মাথা এবং শরীরের মধ্যে কর্তন রেখা এটে দেয়া হয়, তাহলে যেহেতু এটা দ্বারা বাস্তবিক কোনো ছবি বুঝা যাবে না বা সেটা কোনো ছবির দিকে ইঙ্গিত করবে না, তাই অবশ্যই সেটার রুখসত থাকবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/92238

শিক্ষা ইত্যাদির স্বার্থে ফটোর বিধানঃ
খেলনার পুতুলের ব্যাপারে কৃত আলোচনা ছাড়া
আমরা ফুকাহায়ে কেরামদের কাউকে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে দেখিনি।মুর্তির হারাম বিধান থেকে খেলনার পুতুল কে এজন্য বের করা হয়েছে যে,যাতে করে তাদের শিশুকাল থেকেই সন্তান লালনপালনের অভিজ্ঞতা হয়ে উঠে। এবং শিশুদের কে সামাজিক মিলমিশ বা হাসিখুশী রাখতে সহায়ক হয়।যা কি-না শিশুদের শরীরকে বাড়াতে সহায়তা করে।যেমনটা হালিমী রাহ বলেছেন।এ স্বার্থেই হারামের কারণ সমূহ বিদ্যমান থাকা সত্বেও খেলনার পুতুল কে বৈধ বলা হয়েছে।পুতুল বলতে প্রাণ বিশিষ্ট প্রাণীর অবয়ব(মুর্তির মত) তৈরী করা।শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতার স্বার্থে ফটো ভাস্কর্য এ হেকমতের বাহিরে যাবে না।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহতুল কোয়েতিয়্যাহ-১২/১২২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/320

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
IOM এর বইগুলো সম্পর্কে ফাতাওয়া দেওয়ার পূর্বে সেগুলো এক নজর দেখতে চাই। ইনশাআল্লাহ কিতাবগুলো  দেখে তারপর ফাতাওয়া দিখে দিবো। এবং কমেন্টে জানিয়ে দিবো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...