জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মুসলমানদের চরিত্র এমন হতে পারবে না যে,তাদের কথাবার্তায় অনর্থকতা ও অশ্লীলতা থাকবে।
عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ وَلاَ اللَّعَّانِ وَلاَ الفَاحِشِوَلاَ البَذِيءِ.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,মু'মিন কখনো দোষ বর্ণনাকারী, লা'নতকারী,অশালীন বাক্যালাপকারী এবং বেহায়া হতে পারে না।(সুনানু তিরমিযি-১৯৭৭)
সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানের জন্য উচিৎ সকল প্রকার মন্দ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা।এবং এর ধারেকাছেও না ঘেষা।কেননা যে ব্যক্তি সীমান্তরেখা বরাবর হাটবে,তার জন্য আশংকা থাকে যে সে সীমান্তরেখা পার হয়ে বিপথগামী হবে।
কাফিরের সমালোচনা, গিবত যদি তার সৃষ্টিগত কোনো জিনিষ নিয়ে হয়,তাহলে সেটা নিষিদ্ধ। কেননা তখন সেটা আল্লাহর সৃষ্টিতত্ত্বে বিদ্রূপ করা হবে।তবে যদি তার চারিত্রিক কোনো বাজে দিক নিয়ে আলোচনা হয়,তাহলে সেটার অনুমোদন অবশ্যই রয়েছে।আরো জানুন-
1715
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
অমুসলিমের গিবত করাও জায়েজ নেই, হারাম।
وتحرم غیبتہ (الذمي) کالمسلم وظاہرہ أنہ لا غیبة للحربي إھ فتاوی شامي: ۵/۲۶۳ (کتاب الحظر والإباحة)
যিম্মিত গীবত মুসলমানের মতোই নিষিদ্ধ, এবং এটা স্পষ্ট যে হারবি কাফের ব্যক্তির জন্য কোন গীবত নেই। ফাতাওয়ায়ে-শামী)
তবে, যদি এমন আশঙ্কা থাকে যে তার কুফর ইসলাম বা মুসলমানদের ক্ষতি করবে, তাহলে বিধান পরিবর্তন হবে, অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে, তার গীবত নিষিদ্ধের বিধান প্রযোজ্য হবে না।
(০২)
ফুকাহায়ে কেরামগন শরীরের অবাঞ্ছিত লোম, নখ ইত্যাদি বিনা ওজরে চল্লিশ দিন পর কাটাকে মাকরূহ তাহরীমি বা গোনাহর কাজ বলেছে।
এ মর্মে সাহাবী আনাস রাযি. বলেন,
وُقِّتَ لَنَا فِي قَصِّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيمِ الأَظْفَارِ، وَنَتْفِ الإِبِطِ، وَحَلْقِ الْعَانَةِ، أَنْ لاَ نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ يَوْماً.
অর্থাৎ, গোঁফ ছোট রাখা , নখ কাঁটা, বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা এবং নাভীর নিচের লোম চেঁছে ফেলার জন্যে আমাদেরকে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যেন, আমরা তা করতে চল্লিশ দিনের অধিক দেরী না করি। (মুসলিম ২৫৮)
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
وفى الدر المختار- والأفضل يوم الجمعة وجاز في كل خمسة عشرة وكره تركه وراء الأربعين (رد المحتار على الدر المختار، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/582-583
উত্তম হলো প্রতি জুমআয় পরিস্কার করা,প্রত্যেক পনের দিন পর পরেও পরিস্কার করা জায়েজ আছে,তবে চল্লিশ দিন অতিক্রম করলে মাকরুহ হবে।
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত তথা অর্থাৎ ৪০ দিন অতিক্রম করলে নামাজ রোযা,ইবাদত কবুল হয়না,এটি হারাম ; এই কথা সঠিক নয়।
,
আরো জানুনঃ
(০৩)
এক্ষেত্রে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অবস্থান হলোঃ-
আল্লাহ তায়ালা স্থান কাল ও পাত্র থেকে পবিত্র। তার ইলম ও ক্ষমতা সর্বত্র রয়েছে। তার জাত ও সত্তা বিষয়ে আমরা কোন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবো।
আমরাও উক্ত আকীদা পোষণ করি।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৪)
আপনি লন্ড্রি ওয়ালা থেকে নিশ্চিত হবেন যে একই বালতিতে যখম অনেকের কাপড় ধোয়া হয়,তখন সেই বালতিতে যেনো কোনো নাপাক কাপড় না থাকে।
তাহলে আর কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৫)
তবুও এটি অদৃশ্যমান নাপাকির অন্তর্ভুক্ত হবে। সেক্ষেত্রে এই কাপড় ধোয়ার নিয়ম হলো তিনবার নতুন পানিতে ধোয়া লাগবে,প্রত্যেকবার ভালোভাবে নিংড়িয়ে নিতে হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-