আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (17 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ উস্তায

উস্তায আমার মেয়ের ১১ বছর। সে বালেগা। সে আমার কোন কথা শুনেনা। খাওয়া, গোসল, পড়ালেখা, আদব কায়দা শিখানো বা যেকোন বিষয়ে তাকে কিছু বললে সে এককথায় শুনেনা। বারবার বলতে বলতেও শুনেনা। যতক্ষন ভালোভাবে বুঝিয়ে বলতে থাকবো, সে শুনেনা। তারপর যখন রাগ হই, রাগ হয়ে ধমক দিয়ে বলি তাও প্রথম বারে শুনেনা, রাগ করে ধমক দিয়ে বলতে বলতে যখন আওয়াজ আমার উচু হয় তখন বিরক্তির ভঙ্গিতে সে কাজটা করে। অনেক সময় রাগ করে ধমকে বলার পরও যখন শুনেনা আমি হাতে লাঠি নেই তখন শুনে, কিংবা কখনো মাইর দিলে এরপর শুনে

উস্তায, এরকম সন্তানকে আমি কিভাবে শিক্ষা দিবো! সন্তানকে দ্বীনি তারবিয়াত দেয়া আমার জন্য ফরজ, কিন্তু তাকে যদি এইভাবে কথা শুনাতে হয় আমার কি করার আছে!

সে যখন আমার কোন কথা বা প্রশ্নের জবাব দেয়, তার চেহারায় তখন বিরক্তির ভাব ফুটে উঠে।।যেন আমি তার চিরশত্রু, আমার কথাটা তার শুনতেই ইচ্ছা করেনা, বাধ্য হয়ে জবাব দিচ্ছে এরকম। গত সপ্তাহে এরকম একটা আচরনের জন্য আমি তার সাথে পুরো একদিন কথা বলিনাই। সে ক্ষমা চেয়েছে, তার পরেও সে যেই কষ্ট টা আমাকে দিয়েছে সেটা আমি মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারিনাই। আমার কিছুটা সময় লেগেছে। ওই এক দিন আমি মোনাজাতে কেদেছি, আর আশংকা করেছি আমার মেয়ে আমাকে যে কষ্ট দিছে তার জন্য তার উপর কোন গজব না চলে আসে। আমি বারবার আল্লাহর কাছে মাফ চেয়েছি, আল্লাহর কাছে তার সংশোধনের জন্য দুয়া করেছি।

সম্মানিত উস্তাযগণ, আমি আপনাদের একজন নগন্য ত্বলিবাহ, আল্লাহ তায়ালার এক দুর্বল বান্দি। আমি আর পারছিনা উস্তায।

আমি খাসভাবে নিয়ত করি আমি আর রাগ করবোনা, জোড়ে কথা বলবোনা, বাচ্চাদের গায়ে হাত তুলবোনা কিন্তু আমি সহ্য করতে পারিনা। এক দুইদিন কষ্ট করে সবর রাখতে পারলেও আমি হেরে যাই উস্তায। আমি কিছুতেই তার উপর ধৈর্যধারন করতে পারছিনা।

উস্তায, গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত সে আমার প্রতিটি কথার অবাধ্যতা করেছে। আমি সবর হারিয়ে তাকে খুব মেরেছি। আমার স্বামী এজন্য আমার সাথে প্রচন্ড খারাপ ব্যবহার করেছে এবং মেয়ের সামনে আমাকে চরম অপমান করেছে। আমার মেয়ের আচরনের চেয়ে আমার স্বামীর আচরনে আর কথায় আমি অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছি আর অনেক বেশি কেদেছি। আমার স্বামী পরে মেয়েকে শাসন করেছে, মেরেছেও, আমার পা ধরে মাফ চাইতে নিয়ে এসেছে মেয়েকে।

কিন্তু আমি এতটাই কষ্ট পেয়েছি যে আমার না মেয়ের সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না স্বামীর সাথে।

উস্তায, এরকম পরিস্থিতিতে আমার কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিলে আমার খুব উপকার হয়

১. আমার মেয়ে যেহেতু উপরিউক্ত আচরন গুলো করে আমি যদি তার সাথে কথা না বলি, তার কথার জবাব না দেই, তার পড়াশোনার ব্যাপারে জিজ্ঞেস না করি বা খোজ না নেই আমার কি তার প্রতি হক নষ্ট হবে? সেতো আমার যেকোন কথারই অবাধ্যতা করে, তার সাথে কথা বলতে গেলেই অবাধ্যতা সহ্য করতে হয় কিংবা সবর হারিয়ে চিল্লাচিল্লি, মাইর দেয়া এসব হয়। আমার আর ভালো লাগেনা এসব করতে উস্তায, আমি নিজের প্রতি বিরক্ত হয়ে গিয়েছি।

২. আমার স্বামী খুবই বাজেভাবে মেয়ের সামনে আমাকে জাজ করেছে, আর মেয়েকে মাজলুম বানিয়েছে! এরপর সে একরকম আমার উপর জোড় খাটিয়েছে যেন আমি মেয়েকে মাফ করে দেই। না তার আচরনের জন্য তার নিজের কোন অনুশোচনা আছে আর না আমার কষ্ট লাঘব করার কোন চেষ্টা তার আছে। আমি যদি আমার স্বামীর প্রতি আবশ্যক দায়িত্বগুলো পরিপূর্ন ভাবে পালন করি কিন্তু তার সাথে কোন কথা না বলি তাহলে আমার কি গুনাহ হবে?

৩. আমাকে কিছু নাসীহা করুন উস্তায, যেন আমি অবাধ্য সন্তান এর উপর সবর রাখতে পারি। একজন উত্তম মা এবং একজন মু'মিনা নারী হতে পারি। ইলমের নূর নিজের মধ্যে ধারন করতে পারি এবং আল্লাহর একজন প্রিয় বান্দি হতে পারি। আমাকে প্লিজ কিছু নাসীহা করুন উস্তায, আমি আর পারছিনা

জাঝাকুমুল্লাহু খইরন ফিদ্দুনয়া ওয়াল আখিরহ

1 Answer

0 votes
by (698,160 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আমর বিন শুয়াইব তার সুত্রে বর্ণনা করেন,
ﻋَﻦْ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻣُﺮُﻭﺍ ﺃَﻭْﻟَﺎﺩَﻛُﻢْ ﺑِﺎﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﺳَﺒْﻊِ ﺳِﻨِﻴﻦَ ، ﻭَﺍﺿْﺮِﺑُﻮﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﻋَﺸْﺮٍ ، ﻭَﻓَﺮِّﻗُﻮﺍ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﻀَﺎﺟِﻊِ ) .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানাদিকে নামাযের আদেশ দাও যখন তারা সপ্ত বর্ষে উপনীত হয়।নামায না পড়ার ধরুণ তাদেরকে প্রহার করো যখন তারা দশম বৎসরে উপনীত হয়।এবং সাথে সাথে তাদের শয়নস্থল কে পৃথক করে দাও।(সুনানু আবি-দাউদ-৪১৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/757

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মেয়েকে শাসনে রাখবেন। মাদরাসাতে পাঠিয়ে দিবেন। যাতেকরে মাতাপিতার হক ও আদব শিখতে পারে। সন্তানের জন্য তাহাজ্জুদ পড়ে দু'আ করবেন। আল্লাহ সহায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...