আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
14 views
ago in সাওম (Fasting) by (9 points)
edited ago by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ

১.কেউ যদি কাযা রোজা রেখে তা ইচ্ছাকৃত ভেঙে ফেলে তাহলে তার বিধান কি?এরুপ ভেঙে ফেলা কি জায়েজ?

২.একজনের তাহাজ্জুদের সময় বিতর নামাজ পড়তে গেলে দোয়া করার জন্য পর্যাপ্ত  সময় থাকেনা।সে ১ ঘন্টা আগে উঠলেও যা ৩০ মিনিট আগে উঠলেও তাই,সময় শেষ হয়ে যায়।তো এখন কি এশার সময় বিতর পড়ে রেখে তাহাজ্জুদের সময় উঠে শুধু নফল নামাজ পড়তে পারবে?এক্ষেত্রে কোনটা উত্তম হবে?

৩.উমার হিশাম আল আরাবীর কোরান তেলাওয়াত শোনা কি অনুত্তম? শুনেছি উনি গানের সুরে কোরান তেলাওয়াত করেন।সঠিকটা জানালে উপকৃত হবো।

1 Answer

0 votes
ago by (664,230 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
এক্ষেত্রে সেই কাজা রোযা পুনরায় আদায় করতে হবে।
বিনা ওযরে এরুপ কাজা রোযা ভেঙে ফেলা জায়েজ নয়।

(০২)
বিতিরের নামায ঘুমানোর পূর্বে ও পরে উভয় সূরতে জায়েয রয়েছে।এতে কোনো সন্দেহ নাই।তবে মুস্তাহাব হল,রাত্রের শেষ নামায বিতির হওয়া চাই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি, থেকে বর্ণিত

عن عبد الله بن عمر قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ( اجْعَلُوا آخِرَ صَلَاتِكُمْ بِاللَّيْلِ وِتْرًا )

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,তোমরা বিতিরকে রাত্রের শেষ নামায বানাও।(সহীহ বুখারী-৯৯৮ সহীহ মুসলিম-৭৪৯)

কেউ যদি রাত্রের প্রথম অংশে ঘুমানোর পূর্বে বিতির পড়ে নেয়,তাহলে বিতিরের পর নফল নামায পড়া নিষেধ নয়।এবং উক্ত নফল নামাযের পর দ্বিতয়বার বিতিরের নামায পড়া আবশ্যকীয় নয়।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ কর্তৃক আদেশ 'তোমরা বিতিরকে রাত্রের শেষ নামায বানাও' এটা মুস্তাহাব পর্যায়ভুক্ত।

হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْها أن النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كان يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ بعد الوتر وَهُوَ جَالِسٌ .

তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বিতিরের পর বসে বসে দুই রা'কাত নামায পড়েছেন।(সহীহ মুসলিম-৭৩৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি এশার সময় বিতর পড়ে রেখে তাহাজ্জুদের সময় উঠে শুধু তাহাজ্জুদ (নফল নামাজ) পড়তে পারবে।

এক্ষেত্রে উত্তম হবে শেষ রাতে তাহাজ্জুদের পর বিতর নামাজ আদায় করা।
এর জন্য পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে ঘুম থেকে উঠা। তাহাজ্জুদ আদায় করে সাথে সাথেই বিতর আদায় করে শেষে দোয়া করবে।

তাহলে আর সমস্যা হবেনা।

অর্থাৎ সে তাহাজ্জুদ নামাজের পর দোয়া করবে না, সে বিতর নামাজের পর দোয়া করবে।

(০৩)
তার তিলাওয়াত শোনা জায়েজ আছে। 

তিনি গানের সুরে তেলাওয়াত করছেন কিনা এ ব্যাপারে বিজ্ঞ ব্যক্তি সুস্পষ্ট আকারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলতে পারবে।

তার তেলাওয়াতের মধ্যে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার আছে কিনা, সে ব্যাপারে সাউন্ড এনালিস্ট থেকে জেনে নিতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...