জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এক্ষেত্রে সেই কাজা রোযা পুনরায় আদায় করতে হবে।
বিনা ওযরে এরুপ কাজা রোযা ভেঙে ফেলা জায়েজ নয়।
(০২)
বিতিরের নামায ঘুমানোর পূর্বে ও পরে উভয় সূরতে জায়েয রয়েছে।এতে কোনো সন্দেহ নাই।তবে মুস্তাহাব হল,রাত্রের শেষ নামায বিতির হওয়া চাই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি, থেকে বর্ণিত
عن عبد الله بن عمر قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ( اجْعَلُوا آخِرَ صَلَاتِكُمْ بِاللَّيْلِ وِتْرًا )
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,তোমরা বিতিরকে রাত্রের শেষ নামায বানাও।(সহীহ বুখারী-৯৯৮ সহীহ মুসলিম-৭৪৯)
কেউ যদি রাত্রের প্রথম অংশে ঘুমানোর পূর্বে বিতির পড়ে নেয়,তাহলে বিতিরের পর নফল নামায পড়া নিষেধ নয়।এবং উক্ত নফল নামাযের পর দ্বিতয়বার বিতিরের নামায পড়া আবশ্যকীয় নয়।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ কর্তৃক আদেশ 'তোমরা বিতিরকে রাত্রের শেষ নামায বানাও' এটা মুস্তাহাব পর্যায়ভুক্ত।
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْها أن النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كان يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ بعد الوتر وَهُوَ جَالِسٌ .
তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বিতিরের পর বসে বসে দুই রা'কাত নামায পড়েছেন।(সহীহ মুসলিম-৭৩৮)
বিস্তারিত জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি এশার সময় বিতর পড়ে রেখে তাহাজ্জুদের সময় উঠে শুধু তাহাজ্জুদ (নফল নামাজ) পড়তে পারবে।
এক্ষেত্রে উত্তম হবে শেষ রাতে তাহাজ্জুদের পর বিতর নামাজ আদায় করা।
এর জন্য পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে ঘুম থেকে উঠা। তাহাজ্জুদ আদায় করে সাথে সাথেই বিতর আদায় করে শেষে দোয়া করবে।
তাহলে আর সমস্যা হবেনা।
অর্থাৎ সে তাহাজ্জুদ নামাজের পর দোয়া করবে না, সে বিতর নামাজের পর দোয়া করবে।
(০৩)
তার তিলাওয়াত শোনা জায়েজ আছে।
তিনি গানের সুরে তেলাওয়াত করছেন কিনা এ ব্যাপারে বিজ্ঞ ব্যক্তি সুস্পষ্ট আকারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলতে পারবে।
তার তেলাওয়াতের মধ্যে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার আছে কিনা, সে ব্যাপারে সাউন্ড এনালিস্ট থেকে জেনে নিতে পারেন।