আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
হঠাৎ অনেকদিন ধরেই (২ মাস হলো )আমি পরালেখা এবং আরও অনেক বিষয় নিয়ে হঠাৎ করে খুব কষ্ট করছিলাম এবং আমার আরও অনেক সমস্যা হচ্ছিলো, যেহেতু পরিক্ষা চলছিলো, আমি ভেবেছিলাম যে সেটা এর চাপে হয়তো এরকম কষ্ট করছিলাম। আরেকটা জিনিস আগেই বলি, জানিনা যে এটা জড়িত নাকি। সেটা হলো যে আমি আগে (১ বছর আগে বা তার আগে) তেমন একটা নামায পরতাম না। তবে এই বছর এর শুরু তে অনেক কঠোর এক আল্লাহ এর দেওয়া পরিক্ষা দিয়ে খুব কষ্ট করছিলাম তাই নামায পরা শুরু করি এবং তখন চেস্টা বজায়ে রাখতাম ৫ ওয়াক্ত পরার। তবে মাঝে স্কুলের পরিক্ষা যেটার কথা শুরুতেই বলেছিলাম, সেটা এর শ্রমে নামায অনিচ্ছায় ফাকি দেওয়া হতো। স্কুলের পরিক্ষা শেষ হওয়ার পর নামায প্রায় ছেরেই দেয় এবং আমার ইমান খুবই দুরবল হয়ে যায়। তারপর আস্তে আস্তে আরো অনেক খারাপ হয়ে যায় সবকিছুই (এখনো) যদিও অনেক আগে থেকেই মানে (২ মাস আগে থেকে) স্কুলের পরিক্ষা এর সময়েও খুবই কঠোর সময় দিয়ে যাচ্ছিলাম মানসিক এবং শারীরিক ভাবেও। শুধু তা নয় আমার জীবনে অনেক সম্পর্ক তেও প্রচুর ঝামেলা শুরু হয় হঠাৎ এবং অনেক কষ্ট দিয়ে এখনো যেতে হচ্ছে নিয়মিত। তবে বেশ কিছু দিন ধরেই আবার নামায শুরু করেছি এবং দোয়া করি। যদিও কোনো দোয়া এখনো কবুল হয়নি। আমার বিসশাস যে আল্লাহ একদিন কবুল করবেন। আমি শান্ত হয়ে অপেক্ষা করার চেস্টা করছি যদিও। ইমান আর বেরেছে আলহামদুলিল্লাহ। তবুও অনেক কান্না করি আল্লাহর কাছে সারাদিনই এখনো। হঠাৎ করে কেনো ২ মাস এতো খারাপ কান্না করার কাহিনি হচ্ছে জানি না। অনেকদিনই হয়ে গেল আর আমি সত্তি আগের জীবন নিয়ে অনেক খুশি ছিলাম। জানিনা কেন এরকম হচ্ছে! কোনো পরিক্ষা নাকি আল্লাহর দেয়া তাও বুঝি না। সারাদিন কান্না করতে করতেই যাই। খুবই বাজে অবস্থা কিন্তু কেনো এতো বেশি বাজে এবং কি করবো জানিনা, অনেক মানুস কেউ হারাচ্ছি এবং হারিয়েছি ২ মাস এই। সব দিকেই অনেক কষ্ট, নিজের বাসাতেও

1 Answer

0 votes
by (713,400 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি। এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1037

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি নেককার লোকদের সংস্পর্শ গ্রহণ করবেন। একজন আল্লাহ ওয়ালা ব্যক্তির সাথে কিছুদিন সকাল সন্ধ্যা অতিবাহিত করবেন। উনাকে ফলো করে করে তারপর নিজের ঈমান আমলকে সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে। তাছাড়া তাবলীগ জামাতেও সময় লাগানোর আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।আল্লাহ উত্তম সমাধান কারী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...