আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in পবিত্রতা (Purity) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম।

১/ হায়েয অবস্থায় সুরা ইখলাস বিসমিল্লাহ সহ ১০০ বার জিকির হিসেবে পড়া যাবে? দুয়া কবুলের নিয়তে পড়া হবে।

২/ যে সমস্ত আমল এক টানা ৪০ দিন করতে বলা হয় কিন্তু কোনো কারণে বাদ গেলে কি উক্ত আমল থেকে ফায়দা হাসিল করা যায় না?

1 Answer

0 votes
by (702,840 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
অপবিত্র বা হায়েয অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা যাবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/793
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে। জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মহিলাদের জন্য হারাম, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হবে।তবে দু'আ  যিকিরের নিয়তে কুরানের আয়াত পড়া যাবে।তেলাওয়াতের নিয়তে পড়া যাবে না।যেমন,বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।রাব্বানা আ'তিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ।এ জাতীয় কুরআনের আরো অন্যান্য আয়াত।
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عمر رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم  قال : " لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئاً من القرآن
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,হায়েযা এবং জুনবী ব্যক্তি কুরআন থেকে কিছুই পড়তে পারবে না।(সুনানু তিরমিযি-১৩১) বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/389

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) হায়েয অবস্থায় সুরা ইখলাস বিসমিল্লাহ সহ ১০০ বার জিকির হিসেবে পড়া যাবে। দুয়া কবুলের নিয়তে পড়া যাবে।
(২) যে সমস্ত আমল এক টানা ৪০ দিন করতে বলা হয়ে থাকে, কিন্তু কোনো কারণে বাদ পড়ে গেলে, উক্ত আমলের বরকত কমে যায়। যেমন তিরমিজি শরীফে বর্ণিত একটি দুর্বল সনদের হাদীস থেকে এরকম একটি ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তবে টানা চল্লিশ দিন করতে না পারলে যে সম্পূর্ণ সওয়াব থেকে বঞ্চিত হতে হবে এমন কিছু নেই বরং যতদিন আমল করা হবে, ততদিনের সওয়াব অবশ্যই পাওয়া যাবে।

"عن أنس بن مالک رضی اللہ عنه قال: قال رسول اللہ صلی اللہ علیه وسلم: من صلی للہ أربعین یوماً في جماعةٍ یدرک التکبیرة الاولیٰ کتب له برأتان: برأة من النار و برأة من النفاق." (ترمذي شریف)
যে ব্যক্তি আমার মসজিদে চল্লিশ (ওয়াক্ত) সালাত আদায় করল এমনভাবে যে, তার নিকট হতে এক (ওয়াক্ত) সালাতও ছুটল না, তার জন্য জাহান্নাম হতে মুক্তি ও শাস্তি হতে নাজাত লিপিবদ্ধ করা হবে এবং সে মুনাফিকী হতে মুক্ত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...