.১. আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
আমার মা চাকরি করে। আমার দাদি বাসায় সারাদিন কিছু না কিছু খুদ ধরবেই। নানা রমক কথা বলে। মাঝে মাঝে আমি উওর দিয়ে দেই বা কখনো দেই না।
প্রশ্ন হলো, মা বাসায় আসলে কি বলা যাবে দাদি কি কি বলে? নাকি সেটা গিবত হয়ে যাবে
2. আসসালামু আলাইকুম ।
প্রায় ৫-৬ বছর আগের ঘটনা। আমার দাদি খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি কখনো আমার মায়ের সাথে ঝগড়া করেননি। বাসায় কোনো ঝামেলা ছিল না।
কিন্তু দাদার মৃত্যুর কিছু দিন আগে থেকে দাদির আচরণ পুরোপুরি বদলে যায়। তিনি আমার মাকে নানা রকম কথা শুনাতো অথ চ আমার মা ওইকম কিছু করেননি। এই নিয়ে বাসায় প্রায় দুই-তিন বছর ধরে ভয়াবহ ঝগড়া হতো। তারপরও মা সবকিছু চুপচাপ সহ্য করেছেন।
আব্বু কিছু বলতে গেলে দাদি কান্নাকাটি করে বলতেন—“এখন ছেলে আমার কথা শোনে না।” যদিও আব্বু আসলে সবসময় আম্মুকে বিশ্বাস করতেন।
এর ১-২ বছর পর আমাদের বাসার আম গাছে একটা তাবিজ পাওয়া যায়। সেটা গাছের সাথে খুব শক্ত করে বাঁধা ছিল, যেন অনেকদিন ধরে লাগানো। তাবিজটা খুলে এলাকার এক হুজুর দেখেন—সেটাতে আমাদের বাড়ির মতো একটা মানচিত্র আঁকা আর চার কোণায় সম্ভবত লাল কালি দিয়ে কিছু লেখা ছিলো। পরে ওনি সেটি নষ্ট করে বলে পানিতে ফেলে দিতে।
কিন্তু সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত দাদি সবসময় মাকে নানা বিষয় নিয়ে কথা শোনায়, কিছু থেকে কিছু হলে আমার নানির বাড়ির দোষ বলে। অথচ আগের দাদি ছিলেন অনেক ভালো, সবাই বলত—আমার মা খুব ভালো একটা শাশুড়ী পেয়েছে।
আসলে আমার দাদির দ্বীনের জ্ঞান প্রায় শূন্যের মতো। আজকেও নামাজ শেষে আমি যখন জিকির করছিলাম এটা নিয়ে ও আমাকে নানা কথা শোনায় বলে সারাদির এতো এই সেই পরতে হয় না। নানান কথা। আমি কিছুই বলিনি, শুধু মনে মনে দোয়া করেছি।
দাদি হঠাৎ হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই যেকোনো কিছু নিয়ে চেচামেচি করে। এই ভালো তো এই খারাপ। প্রতি মাসে আমাদের ঘরে কারো না কারো অসুখ থাকেই। বাবার মাঝেও বদনজরের অনেক লক্ষণ পাওয়া গেছে। কিছু দিন ভালো যায় তো আবার কিছু দিন পর শরীর খারাপ হয়ে পরে। দাদি প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন, ঈমান-আমলের ব্যাপারে অনেক বেশি উদাসীন, আর সবকিছুতে সন্দেহ করেন। এখন আমাদের কি করা উচিত হবে?
আমি জানি, যদি সরাসরি বলি—“আপনার এই সমস্যা আছে, আপনি এগুলো করুন”—তাহলে উনি উল্টো আমার ওপরই সন্দেহ শুরু করবেন। তাই শুধু দোয়া করি আল্লাহ উনাকে হিদায়াত দিন, সুস্থ করুক। এখন আমাদের কি করা উচিত হবে?
3. আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারাকাতুহ।
আমি একজন জেনারেল থেকে দ্বীনে ফেরা।নিজেকে যথাসম্ভব পরিবর্তনের চেষ্টারত আছি দ্বীনের পথে।রব্বের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য ই এসব করা।দ্বীনে ফেরার পরে সহশিক্ষা ছেড়ে দিয়েছি।চাকরি করার কথা ছিলো করিনি।এই দুইটা কাজের জন্য বাবা মা ও রাগ করছিলো।বাট আমি ফিতনার ভয়েই এই দুইটা ত্যাগ করেছি।
আসল কতা টা হচ্ছে যে,আমি মাহরাম-নন মাহরাম মেইনটেইন এর চেষ্টা করি।ঘর থেকে দৈনন্দিন কাজ করতে বের হলেও নিজাব নিকাব/মাস্ক পরেই বের হয়।ধানের কাজ করার সময়ও।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবাণী।তবে আমার এই পর্দা মেইনটেইন করার জন্য সবার কাছে খারাপ আমি।আমার মা আমাকে বেশি জোর করতেছে পর্দা ছেড়ে দেওয়ার জন্য।অথচ এই পর্দা টা ফরয বিধান।এটা তো ছেড়ে দেওয়া যায় না।
আজ প্রায় ২ মাসের কাছাকাছি হবে আমি পর্দা ছাড়ব না বলায়, ঘরের কাজকর্ম করতে দেই না,করলেও কেড়ে নেই,না করলে আমার কথাও শুনায়,বাইরে পর্দা করে বের হলেও বকা দেয়।ছোটবেলায় আমাকে লালন-পালন করছে অনেক কষ্ট করে এসব বলে।আরও বলে তোর ইসলাম কি তোরে বলে মা কে কষ্ট দিতে।পর্দা ছাড়তে চাই না বলে কথা শুনায়।আবার আমাকে ভয় ও লাগাই।বলে"""তোর পর্দা তোকে কতদূর নেই"" আর """ মা বাবার অভিশাপ,কান্না কতদূর নেয় দেখি"""
আমাকে একটু বলবেন আমি যা করতেছি তা কি খারাপ?আম্মু যে অভিশাপ দেই ওসব কি আমার উপর পড়বে?আমাকে এটার উত্তর টা একটু দিয়েন। ইন শা আল্লাহ।।
অগ্রিম জাযাকাল্লাহু খইরন।।
4. আস সালামু আলাইকুম আমি অবিবাহিত আজকে আমি রাতে স্বপ্নে দেখেছি আমার বিয়ে হয়েছে এবং একজন দ্বীনদার পর্দা শীল স্ত্রী আমার বিছানায় বসে আছে পরিপূর্ণ পর্দা করে এবং আমি তার সাথে কথা বলতে যাবো ঠিক তখনই আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে iযায়। এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি হতে পারে দয়া করে জানাবেন।