ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
لما فى ردالمحتار مع الدر المختار:
''فإذا نجيز الكلام مع النساء للأجانب ومحاورتهن عند الحاجة إلى ذلك، ولا نجيز لهن رفع أصواتهن ولا تمطيطها ولا تليينها وتقطيعها لما في ذلك من استمالة الرجال إليهن وتحريك الشهوات منهم، ومن هذالم يجز أن تؤذن المرأة''.(کتاب الصلاۃ، باب شروط الصلاة، مطلب في ستر العورة، ج: 3، ص: 72، ط: سعید)
জরুরতের সময় নারীদের জন্য গায়রে মাহরাম পুরুষের সাথে কথা বলা জায়েয। তবে তখনো উচ্ছসিত ভাবে নরম ভঙ্গিতে আকর্ষণীয় করে কথা বলা নিষেধ। কেননা এতে করে ফিতনার দ্বার উন্মোক্ত হতে পারে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/2674
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) রুমের বাহিরের কাজ যেমন, নিজ রুম ব্যতিত অন্য রুমের ঝাড়ু দেওয়া, উঠান ঝাড়ু দেওয়া, বাহির থেকে কাপড় আনা ইত্যাদি কাজগুলো হিজাব নিকাব পড়ে করতে পারবেন। হিজাব নিকাব পরিহিত অবস্থায় দেবর ভাসুর বা অন্য নন মাহরাম কেউ আপনাকে দেখলে আপনার গোনাহ গুনাহ হবে না। কেননা ঘরের অন্যান্য কাজগুলো করতে গেলে দেখা তো হবেই। আপনার স্বামীর উপর ওয়াজিব যে, তিনি অতিসত্বর পৃথক ঘরের ব্যবস্থা করবেন।
(২) আপনার দেবর জাওয শশুর তারা যদি একসাথে সামনের ডাইনিং এ বসে গল্প করে বা খাবার খায়।এক্ষেত্রে যদি প্রয়োজনে পর্দার আড়ালে আপনি আপনার শাশুড়ীর সাথে কথা বলেন, তাহলে দেবর বা ভাসুর আপনার কণ্ঠ শুনলে কোনো গুনাহ হবে না।তবে সতর্কতামূলক বিনা প্রয়োজনে কথা না বলার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।
(৩) আপনি যদি পর্দার আড়াল থেকে আপনার ভাসুরকে বলেন যে, ভাইয়া আম্মু বাসায় নাই, আপনার কি লাগবে এসে নিয়ে যান আমি সরে যাচ্ছি তাহলে এক্ষেত্রেও আপনার কোনো গোনাহ হবে না।
(৪) আপনার শাশুড়ি আম্মু বাসায় না থাকলে টেবিলে যদি সব খাবার রেখে আপনি সরে যান। এক্ষেত্রে আপনার দেবর টেবিলে বসা থাকা অবস্থায় যদি আপনার জাওয বা শশুরকে আপনি জিগ্যেস করেন যে, কিছু লাগবে কি না? তাহলেও আপনার কোনো গোনাহ হবে না।