আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
9 views
ago in সাওম (Fasting) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ
উস্তাদ
আমার উপর রোজা ফরজ হওয়ার পর আমি ২ বছর যাবৎ রোজা সবগুলো রাখিনি কয়েকটি রেখেছি বাকিগুলো রাখিনি, রোজা রেখে ভেঙ্গে ফেলিনি বরং রোজাই রাখিনি এখন কি আমার উপর কাযা কাফফারা উভয় ওয়াজিব হবে? নাকি শুধু কাযা ওয়াজিব হবে?

আমি রোজা গুলো কীভাবে রাখব একটু জানালে মুনাসিব হয় উস্তাদ।

1 Answer

0 votes
ago by (79,530 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://www.ifatwa.info/2187  নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,

বালিগ হওয়ার বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান অতিবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে যতটা রোযা রাখা হয়নি বা নিয়তই করা হয়নি সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিলেই হবে কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত রোযা রেখে তারপর ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে যেমন ইচ্ছাকৃত খানা খাওয়ার মাধ্যমে অথবা স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে একটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে  এ রোযার কাফফারা আদায় করতে হবে।

ভেঙ্গে ফেলা রোযা সমূহের কয়টি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে? ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি রোযার জন্য কি পৃথক পৃথক কাফ্ফারা আদায় করতে হবে? নাকি সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারাই যথেষ্ট হবে?

প্রতিউত্তরে বলা যায়-এ সম্পর্কে সর্বমোট তিনটি মতামত পাওয়া যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য অভিমত হচ্ছে-

প্রতিটি রোযার জন্য পৃথক পৃথক কাফ্ফারা যদিও আসার কথা ছিলো। কিন্তু যেহেতু এটা মানুষের জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। তাই ফুকাহায়ে কেরাম সহজতার স্বার্থে বলেন যে,

,

অতীতের যতগুলো রোযা স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে এবং স্ত্রী সহবাস ব্যতীত অন্য কোনো মাধ্যম তথা খানাপিনার মাধ্যমে যতগুলো রোযা ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য পৃথক একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৪৩৪)

,

মোটকথাঃ

জীবনে যত ফরয রোযা পানাহারের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে, তার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে এবং একটি কাফ্ফারাই উক্ত সকল রোযার জন্য যথেষ্ট হবে। ঠিক এভাবে যত রোজা সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে তার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে। কাফফারা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/102 

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

রমজানের রোজা রাখার পর ইচ্ছাকৃত ভাবে ভেঙ্গে ফেলার দ্বারা কাফফারা আসে। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কোনো কাফফারা আসবে না। বরং বালিগ হওয়ার বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান অতিবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে যতটা রোযা রাখা হয়নি বা নিয়তই করা হয়নি সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিলেই হবে কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...