আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in পবিত্রতা (Purity) by (21 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,

কোনো মহিলার অনিয়মিত পিরিয়ড। বর্তমান মাসে তার পিরিয়ড হয়ে ৭ দিন স্থায়ী হয়। তারপর ১০ দিন পর আবার রক্তস্রাব যাওয়া শুরু করে। যতটুকু জানি ১৫ দিনের মধ্যে রক্ত গেলে সেটা ইস্তিহাজা। এখন যেহেতু তার ১০ দিন পর রক্ত যাওয়া শুরু হয়েছে এই রক্ত পিরিয়ড নাকি ইস্তিহাজা? এখন ১০ দিন পর রক্ত যাওয়া শুরু হয়ে সেটা যদি ১৫ দিন অতিক্রম করে তাহলে ১৫ দিন পরের রক্ত কি হায়েজ নাকি ইস্তিহাজা..? রক্ত চলমান অবস্থায় নামাজ পড়ার বিধান কি এবং স্বামী সহবাসের বিধান কি হবে..?

গত মাসে তার হায়েজ নরমাল ছিল। তার অনিয়মিত হলেও মোটামুটি ৭ দিন স্থায়ী হয় এবং মাঝে ৩০-৩৫ দিন গ্যাপ থাকে।

তবে গত মাসের আগের মাসে তার আবার ১৫ দিনের আগেই রক্ত যাওয়া শুরু হয়েছিল এবং ৭-১০ দিন স্থায়ী হয়েছিল।

এরুপ অবস্থায় নামাজ এবং সহবাসের বিধান সম্পর্কে জানালে উপকৃত হব।

জাযাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (702,270 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
দুই হায়েযের মাঝখানে পাক থাকার মুদ্দৎ কমের পক্ষে পনের দিন, আর বেশীর কোন সীমা নাই। অতএব, যদি কোন মেয়েলোকের কোন কারণবশতঃ কয়েক মাস যাবৎ হায়েয বন্ধ থাকে, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত ঋতুস্রাব না হইবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে পাক থাকিবে।

(১৩) মাসআলাঃ 
যদি কোন মেয়েলোকের তিন দিন তিন রাত রক্ত দেখা যায়, তারপর ১৫ দিন পাক থাকে; আবার তিন দিন তিন রাত রক্ত দেখে, তবে আগেকার তিন দিন তিন রাত এবং পনের দিনের পর তিন দিন তিন রাত হায়েয ধরিবে। আর মধ্যকার দিন পাক থাকার সময়।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথম ৭ দিন তো আপনার হায়েয। তারপর যেহেতু ১৫ দিনের পূর্বেই রক্তস্রাব আসে,তাই এটা ইস্তেহাযা বা রোগ। এসময় আপনি প্রতি ওয়াক্তের জন্য একটি অুজ করে সেই অজু দ্বারা যত সম্ভবত ওয়াক্তের ভিতর ইবাদত করতে পারবেন। গত হায়েয থেকে ১৫ দিন পূর্বে শুরু হওয়া রক্তস্রাব যদি ধারাবাহিক নির্গত হতে হতে ১৫ দিনকে অতিক্রম করে এবং এবং ১৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর তিনদিন তিনরাত স্থায়ী হয়, তাহলে ১৫ দিন পরবর্তী রক্তস্রাব হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (21 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম মুফতি সাহেব,

আমি আর একটু বোঝার জন্য কমেন্ট করলাম। যদি ৭ আগস্ট থেকে ১৩ আগস্ট হায়েজ হয় তারপর আবার ২৩ আগস্ট থেকে রক্তস্রাব যায় তাহলে রক্তস্রাব যেতে যেতে যদি ১৪ আগস্ট থেকে ১৫ দিন অর্থাৎ ২৮ আগস্ট অতিক্রম করে তখন ২৮ আগস্ট পরবর্তী দিন গুলো হায়েজ ধরা হবে 

নাকি ২৩ আগস্ট থেকে যে নতুন করে রক্তস্রাব যাচ্ছে ওটা ১৫ দিন স্থায়ী হলে তার পরবর্তী দিন থেলে হায়েজ গণনা হবে? দয়া করে জানাবেন। জাযাকাল্লাহ শায়েখ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 149 views
0 votes
1 answer 48 views
...