আসসালামু আলাইকুম উস্তায। একজন দ্বীনদার ভাই,যিনি মনে করেন স্ত্রীর সাথে মিথ্যা বলা জায়েজ। স্ত্রীর মনে রক্ষার্থে সকল ক্ষেত্রেই মিথ্যাই জায়েজ। যেমন : ওনি দ্বিতীয় বিয়ে করতে চান, কিন্তু এটা স্ত্রীকে জানাতে চান না। তাই তিনি মিথ্যের আশ্রয় নেন। অথবা সংসারের কোনো কাজে ওনার খরচ হয়েছে ১০০ টাকা ওনি সাথে আরোও কিছু জিনিস কিনলেন। স্ত্রী যদি জিজ্ঞেস করে মূল্য কতো তিনি যা যা জিনিস কিনলেন সব মিলিয়ে খরচ বলেন। অর্থাৎ প্রায় প্রতিবারই ওনি বেশিরভাগ সময় মিথ্যার আশ্রয় নেন। অথচ হাদিসে স্পষ্ট বলা আছে, মুমিন ব্যক্তি সব কাজ করতে পারেন কিন্তু মিথ্যে কখনোই বলতে পারেন না। আর যে ব্যক্তি সবসময় মিথ্যে বলে সে আল্লহ তায়ালার কাছে মিথ্যাবাদী হিসেবে পরিচিতি পায়। আমার জানার ভুল থাকতে পারেন । সংশোধন করে দিলে মুনাসিব হয় ইন শা আল্লহ।
উক্ত ভাইয়ের এই চিন্তাভাবনাগুলো কি সঠিক? ওনি নাজায়েজ কাজকে জায়েজ মনে করছেন নিজে নিজেই এতে কি ওনার ঈমান বিধ্বংসী কোনো বিষয় আছে? ওনি কখনো কখনো বলে ফেলেন নামাজ পড়ে কি হবে? যদি বলা হয় কাফের হয়ে গিয়েছেন? তখন বলেন তার আর বাকি কি আছে? এগুলো কি ঈমান বিধ্বংসী কথা?
ওনার সার্বিক দিক বিবেচনা করে ওনাকে কি নাসীহা দেয়া যায় উস্তায?