আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
১. আমার বাবা মাঝেমধ্যে আমাকে বিভিন্ন মানুষের কথা বলে যেটা গীবতের মধ্যে পড়ে। আমি তাকে ভালোভাবে গীবত সম্পর্কে বলার চেষ্টা করেছি, বুঝিয়েছি এর পরিণাম সম্পর্কে । কিন্তু তিনি আবারো গীবত করে ফেলেন। সেজন্য আমি এখন গীবত শুরু করার সময়ে থামিয়ে দেই, ভালোভাবেই বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি। কিন্তু তিনি এতে রাগ করেন, মন খারাপ করেন। আসলে আমি আমার পরকাল নিয়েই চিন্তিত। অন্যের গীবত শুনে পরকালে তার পাপ আমার উপর আসুক এটা আমি চাই না। নিজের পাপ নিয়েই চিন্তিত আমি। আমি কি এক্ষেত্রে গুনাহগার হব নিজের বাবাকে অসন্তুষ্ট করার জন্য?? এখন আমার করণীয় কি?? উল্লেখ্য আমার বাবার বয়স প্রায় ৬৩/৬৪ আর তিনি পরিচিত মানুষ এবং আত্মীয়দের বিষয়ে গীবত করেন।
২. আমার বোন মাহরাম ছাড়া সফর করবে তার ছোট বাচ্চা সহ, ননদের সাথে। দূরত্ব ৮০ কিমির অনেক বেশি।এক্ষেত্রে সে এক দিন এক রাত সফর এর হাদিস জেনে সেটাই মানবে বলতেছে। আমি আগেও মাহরাম ছাড়া সফর নিয়ে তাকে বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে বারবার বললে বিরক্ত হয়। সে বিভিন্ন ভিডিও দেখে সেগুলো থেকে ফতোয়া নেয়। বরাবরই সে এগুলো নিয়ে বলতে গেলে বিরক্ত হয়। যেহেতু সে বিরক্ত হয় তাই আমিও বুঝানোর আগ্রহ হারায় ফেলি। এক্ষেত্রে আমার দায়িত্ব ঠিক কতটুকু? একবার বুঝানো কি যথেষ্ট?? এখন যতদূর আমি তাকে চিনি আমি বুঝালেও সে মাহরাম ছাড়া সফর করবে, টিকিট কেটে ফেলেছে। তো আমি কি তাকে সফর শেষে এই বিষয় নিয়ে বলব না কি আগেই?? যেহেতু আল্লাহ তা'আলা ভালো কাজের উপদেশ দিতে এবং মন্দ কাজে নিষেধ করতে বলেছেন। একজন মানুষকে কতবার বলা আমার দায়িত্ব?? যেহেতু তারা বুঝতে চায় না তাই আমি শুধু দায়িত্ব টুকু পালন করতে চাই, আমি তাকে বিরক্ত করতে চাই না।
৩. একজন খাদেমা রাখা হয়েছে। আমার আম্মু কয়েকদিন বাসায় ছিল না। তখন আমি সেই খাদেমার কাজ দেখেছি। আমার কাজে খুব একটা ভালো লাগে নি। আম্মু ফিরলে আমি তাকে জানাই কাজ সম্পর্কে। এক্ষেত্রে এটা কি গীবত হয়ে গেছে??
৪. আমাদের পাশের বাড়িতে ছোট দুইটা বাচ্চা থাকে। তারা আমাদের বাসায় মাঝেমধ্যে আসা যাওয়া করে। কিন্তু তারা প্রসাব করে পানি নেয় না। আমি তাদের মাকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু কাজ হয় নি। তারা এসে আমার বিছানায় বসে। এক্ষেত্রে নাপাকি বিছানার লাগার সম্ভাবনা রয়েছে। আমার করনীয় কি এক্ষেত্রে?? তাদের তো বাসায় আসতে মানা করা যাবে না। কিন্তু এই নাপাকি নিয়ে আমি খুবই ভয়ে থাকি। অনেক সময় একটা বাচ্চা এসে কোলে বসে যায়।
৫. খাদেমা ঘর মোছার সময় টিকটিকির বিষ্ঠা কাপর দিয়ে মুছে সেই কাপর বালতির পানিতে ধুয়ে সেই একই পানি দিয়ে ঘর মুছেছে। এতে কি সেই সবটুকু পানি নাপাক হয়ে গেছে?? আর যতটুকু জায়গা মুছেছে সেই জায়গায় কি ভিজা পায়ে হাটা যাবে??