আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
25 views
in পবিত্রতা (Purity) by (43 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু উস্তাদ। একজন বোনের প্রশ্ন...

মাসের ৮ তারিখ হায়েজের ডেট, ৪ দিন অভ্যাস তার। জুনেও হায়েজ ঠিকসময়ে হয়। জুলাইয়ে হায়েজ অফ ছিল, পজিটিভআসায় এম কিট খেয়ে ২৩ দিন ব্লিডিং। (১) এই ব্লিডিংটাকে কি হায়েজ ধরবে? ধরলে কতদিন হায়েজ হিসাব করবে?
আর আগস্ট মাসের ৮ তারিখে ব্লিডিং বেড়ে যায় এবং এটা ৫ দিন ছিল, তবে এই ৫ দিনের মাঝে টানা ২দিন আগের মতো ব্লিডিং কমেছিল। তবে টোটাল ৫ দিন উনি নামাজ পড়েননি। (২) এটা কি হায়েজ ধরবে?

১৬ তারিখ ডিএন্ড সি করানোর পর হালকা ব্লাড আসে ৫ দিন। এরপর সাদা রঙের স্রাব দেখা গেছে। (৩) ডিএন্ডসি করানোর পরের ব্লাড কি নাপাক, এটা কি হায়েজের মতো? এসময়ে নামাজের হুকুম কি?

1 Answer

0 votes
by (670,530 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    
হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
,
আরো জানুনঃ   

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(১-২)
এক্ষেত্রে ঐ ২৩ দিনের ১ম চার দিন হায়েজ ধরতে হবে।
তারপর ১৫ দিন ইস্তেহাজা ধরতে হবে।

এরপর শেষ চার দিন হায়েজ ধরতে হবে।

(০৩)
মূলত সমস্ত ব্লাডই নাপাক।
এ ব্লাডও নাপাক।

এটা হায়েজ কিনা,এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-  https://ifatwa.info/36536/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 39 views
...