আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকা-তুহ।

১/যদি কেউ পুরানো সোনার গহনা ভেংগে তা দিয়ে নতুন গহনা বানায় আর এতে  অতিরিক্ত যা সোনা লাগে,  তার বিনিময়ে টাকা দেয়,তাহলে তা জায়েজ হবে?

২/ আর  নতুন সোনার গহনা বানানোর জন্য কেউ যদি পুরাতন সোনার গহনা দোকানদারকে দিলে দোকানদার এর বিনিময়ে একটা এমাউন্ট নির্ধারণ করে,কিন্তু দোকানদার মূল্যটা তখনই পরিশোধ না করে  আর নতুন সোনা বানাতে যে টাকা লাগবে,তা থেকে  এই পুরাতন সোনার মূল্যটা বাদ দিয়ে ক্রেতার জন্য বাকি টাকাটা ক্রয়মূল্য হিসেবে নির্ধারণ করে, আর এই টাকাটা ক্রেতা যখন নতুন সোনার গহনা নিবে,তখন পরিশোধ করবে,তাহলে এই সুরতে বেচা কেনা জায়েজ হবে,উস্তায হাফিজাহুল্লাহ?

যেমন:পুরনো সোনার গহনা ২০,০০০টাকা।
নতুন সোনা কেনা বাবদ এসেছে ১,৫০,০০০টাকা।

১,৫০,০০০-২০,০০০=১,৩০,০০০টাকা ক্রেতার পরিশোধ করতে হবে। এভাবে কি স্বর্ণ কেনা-বেচা জায়েয হবে,উস্তায?

৩/সোনা  টাকা বাকি রেখে  বা অগ্রীম টাকা পরিশোধ করে কেনা বেচা জায়েজ হবে?

৪/কাবার আকৃতির লকেট পড়া যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (669,390 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান হলো স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ  নিলে কোনো কমবেশি করা যাবেনা।
কম বেশি করলে সেটি সূদ হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ مُسْلِمٍ الْمَكِّيِّ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ تِبْرُهَا وَعَيْنُهَا وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ تِبْرُهَا وَعَيْنُهَا وَالْبُرُّ بِالْبُرِّ مُدْىٌ بِمُدْىٍ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ مُدْىٌ بِمُدْىٍ وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ مُدْىٌ بِمُدْىٍ وَالْمِلْحُ بِالْمِلْحِ مُدْىٌ بِمُدْىٍ فَمَنْ زَادَ أَوِ ازْدَادَ فَقَدْ أَرْبَى وَلاَ بَأْسَ بِبَيْعِ الذَّهَبِ بِالْفِضَّةِ - وَالْفِضَّةُ أَكْثَرُهُمَا - يَدًا بِيَدٍ وَأَمَّا نَسِيئَةً فَلاَ وَلاَ بَأْسَ بِبَيْعِ الْبُرِّ بِالشَّعِيرِ وَالشَّعِيرُ أَكْثَرُهُمَا يَدًا بِيَدٍ وَأَمَّا نَسِيئَةً فَلاَ "

হাসান ইবন আলী (রহঃ) ........... উবাদা ইবন সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সোনা সোনার বিনিময়ে সমান সমান বিক্রি করবে, চাই তা সোনার পাত হোক বা স্বর্ণ মুদ্রাই হোক এবং রুপা রুপার বিনিময়ে সমান সমান বিক্রি করবে, চাই তা রুপার পাত হোক বা রৌপ্য মুদ্রাই হোক। আর গম গমের বিনিময়ে এক মুদ এক মুদের বিনিময়ে বিক্রি করতে হবে এবং যবের বিনিময়ে যবও এক মুদের বিনিময়ে এক মুদ বিক্রি করতে হবে। আর খেজুর খেজুরের বদলে এক মুদের বিনিময়ে এক মুদ বিক্রি করতে হবে। একই ভাবে লবণ লবণের বিনিময়ে এক মুদের বদলে এক মুদ বিক্রি করতে হবে। এই প্রকারের একই ধরনের জিনিসের মধ্যে যে ব্যক্তি বেশী নিবে বা দিবে, তা-ই সূদ হবে।

তবে সোনাকে রুপার বিনিময়ে এ অবস্থায় বিক্রি করা, যখন রুপা উভয় অংশের মধ্যে অধিক হবে, তবে তা দূষণীয় নয়। তবে এতে শর্ত হলো- লেন-দেন হাতে হাতে হতে হবে, বাকীতে বিক্রি জায়িয হবে না। একই রূপে গম যবের বিনিময়ে বিক্রি করা দূষণীয় নয়, যখন যবের অংশ উভয়ের মধ্যে অধিক হবে। তবে তা এ শর্তে যে, লেন-দেন হাতে হাতে হতে হবে এবং এতেও বাকী বিক্রি বৈধ নয়।
(আবু দাউদ ৩৩১৬)

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَذَا الْخَبَرِ يَزِيدُ، وَيَنْقُصُ وَزَادَ قَالَ: فَإِذَا اخْتَلَفَتْ هَذِهِ الْأَصْنَافُ فَبِيعُوا، كَيْفَ شِئْتُمْ، إِذَا كَانَ يَدًا بِيَدٍ 

‘উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে পূর্বোক্ত হাদীসটি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে কিছুটা কম-বেশি করে বর্ণিত হয়েছে। এতে অতিরিক্ত রয়েছেঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এসব ক্ষেত্রে এক ধরণের বস্তু অন্য ধরণের বস্তুর সাথে বিনিময় হলে তোমরা ইচ্ছামত পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারো। তবে আদান-প্রদান হতে হবে নগদে।
(আবু দাউদ ৩৩৫০)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
যদি কেউ পুরানো সোনার গহনা ভেংগে তা দিয়ে নতুন গহনা বানায় আর এতে  অতিরিক্ত যা সোনা লাগে,  তার বিনিময়ে টাকা দেয়,তাহলে তা জায়েজ হবে।

(০২)
এটি জায়েজ হবে।
তবে এক্ষেত্রে উত্তম পদ্ধতি হলো এক্ষেত্রে দোকানদারের কাছে স্বর্ণ বিক্রয় করে সে স্বর্ণের টাকা হস্তগত করতে হবে। এরপর সে টাকা নেয়ার পর দোকানদারের কাছে নতুন চুক্তি করে তার কাছে স্বর্ণের গহনা বানানোর অর্ডার দিবে।

এক্ষেত্রে সেই টাকাও দিবে এবং আরো যা টাকা লাগে, সে টাকাও দোকানদারকে দিয়ে পুরো টাকা সে পরিশোধ করবে। তাহলে আর কোন সমস্যা থাকবে না।

(০৩)
প্রশ্নটি অস্পষ্ট বলে মনে হচ্ছে। 
কমেন্ট বক্সে স্পষ্ট করলে ভালো হতো।

(০৪)
যদি লকেটটি শুধুমাত্র অলংকার বা স্মারক (কাবার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের জন্য) হিসেবে ব্যবহৃত হয়,এর সাথে কোনো ধরনের কুসংস্কার, তাবিজ-ঝাড়ফুঁক বা বরকতের বিশ্বাস না থাকে,এটি নামাজ, ওযু বা অন্যান্য ইবাদতে বাধা না দেয়,সেক্ষেত্রে উলামায়ে কেরামগন এটিকে বৈধতা দিয়েছেন।

আর যদি কেউ বিশ্বাস করে যে লকেটটি বরকত এনে দেবে, বিপদ থেকে বাঁচাবে বা দোয়া কবুল করবে,বা লকেটের আকৃতিতে অশালীনতা বা অসম্মানজনক কিছু থাকে,বা কাবার ছবি বা আকৃতিকে অশ্রদ্ধার জায়গায় ব্যবহার করা হয়,তাহলে এটি জায়েজ নয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
+1
সোনার গহনা কেনার জন্য ধার্যকৃত টাকা পরে পরিশোধ করা হবে অর্থাৎ কিছু টাকা বাকি রেখে সোনার গহনা নেওয়া যাবে?
বা আগামী মাসে এসে  এরকম সোনার গহনা নিব এই শর্তে কিছু টাকা অগ্রীম পরিশোধ করা যাবে?


কাবার আকৃতির লকেট পড়ে কি বাথরুমে যাওয়া যাবে?
by (669,390 points)
সোনার গহনা কেনার জন্য ধার্যকৃত টাকা পরে পরিশোধ করা হবে অর্থাৎ কিছু টাকা বাকি রেখে সোনার গহনা নেওয়া যাবে।

আগামী মাসে এসে  এরকম সোনার গহনা নিব এই শর্তে কিছু টাকা অগ্রীম পরিশোধ করা যাবে।


কাবার আকৃতির লকেট পড়ে বাথরুমে যাওয়া যাবেনা।
এটা আদবের খেলাফ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...