জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
এক মুসলমানের জন্য অন্য মুসলমানের সম্পদকে অন্যায়ভাবে গ্রহণ করা হারাম।
যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
قَالَ: «فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ، وَأَمْوَالَكُمْ، وَأَعْرَاضَكُمْ، بَيْنَكُمْ حَرَامٌ، كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِي شَهْرِكُمْ هَذَا، فِي بَلَدِكُمْ هَذَا، لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الغَائِبَ، فَإِنَّ الشَّاهِدَ عَسَى أَنْ يُبَلِّغَ مَنْ هُوَ أَوْعَى لَهُ مِنْهُ»
“নিশ্চয় তোমাদের রক্ত, তোমাদের ধন-সম্পদ, তোমাদের ইজ্জত-আব্রু তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম (পবিত্র) যেমনিভাবে তোমাদের এই দিনটি তোমাদের এই মাসে ও এই দেশে হারাম (পবিত্র)। এখানে উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির নিকট এসব কথা পৌঁছে দেয়।”[সহিহ বুখারী (৬৭) ও সহিহ মুসলিম (১৬৭৯)]
★সুতরাং আর্থিক জরিমানা অগ্রহণ যোগ্য।
এতে সুদের অর্থ রয়েছে।
যেহেতু করজ আদায়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার মতোই এটি,তাই এটি সূদ।
,
"وفي البحر: ولایکون التعزیر بأخذ المال من الجاني في المذهب". (مجمع الأنهر، ۲/ ۳۷۱)
সারমর্মঃ
ত্রুটি কারী থেকে অর্থ নেওয়ার মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া জায়েজ নেই।
والحاصل أن المذہب عدم التعزیر بأخذ المال۔ (شامي، باب التعزیر / مطلب في التعزیر بأخذ المال ۶؍۱۰۵ زکریا، البحر الرائق، کتاب الحدود / باب التعزیر ۵؍۴۱)
সারমর্মঃ
হাসিল কথা হলো,মাযহাব হলো, ত্রুটি কারী থেকে অর্থ নেওয়ার মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া জায়েজ নেই।
ولا یکون التعزیر بأخذ المال من الجاني في المذہب۔ (مجمع الأنہر ، کتاب الحدود / باب التعزیر ۱؍۶۰۹ بیروت)
সারমর্মঃ
মাযহাব অনুপাতে, ত্রুটি কারী থেকে অর্থ নেওয়ার মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া জায়েজ নেই।
وفي شرح الآثار: التعزیر بأخذ المال کانت في ابتداء الإسلام ثم نسخ۔ (البحر الرائق / باب التعزیر ۵؍۴۱)
সারমর্মঃ
অর্থ গ্রহনের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া ইসলামের প্রারম্ভে ছিলো।
পরে এটি রহিত হয়ে গিয়েছে।
বিস্তারিত জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে "সবক না করতে পারলে ৫০/১০০ টাকা জরিমানা"
এই জরিমানা নেয়া জায়েজ নেই।
ইহা ছাড়া ইবাদত দিয়ে যেসব শাস্তির কথা প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে, সেসব শাস্তি শর্তসাপেক্ষে বৈধ।
তবে সেগুলা আদায় না করলে হক নষ্ট করার গুনাহ হবেনা।
উক্ত প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সময় এসব শাস্তির কথা যদি আপনার কে বলা হয়ে থাকে, আর এসব শাস্তির কথা জানা সত্ত্বেও যদি সেই মাদ্রাসার ফরম আপনি পূরণ করেন, স্বাক্ষর করেন, সেক্ষেত্রে তো শাস্তি গুলো আপনাকে মানতে হবে।
এটা মেনে নেওয়া আবশ্যক। অন্যথায় চুক্তি ভঙ্গের গুনাহ হবে।
এই আদেশ ওয়াজিব পর্যায়ের হুকুমের মধ্যে পড়ে।
হ্যাঁ উক্ত প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সময় এসব শাস্তির কথা যদি আপনার কে বলা হয়ে থাকে,আপনি যদি সেসব শাস্তির কথা না জেনেই ভর্তি ফরম পূরণ করেন,সেক্ষেত্রে উক্ত আদেশ না মানতে পারলে আপনার গুনাহ হবেনা।