আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
5 views
ago in সালাত(Prayer) by (6 points)
হুযুর দয়া করে পুরোটা পড়ে উত্তর দিয়েন।

আমার পিরিয়ডের ডেটের কাছাকাছি সময়ে মাঝেমধ্যে হলুদস্রাব হয় আবার কখনো কিছুই থাকে না আবার কিছুক্ষণ পর সাদাস্রাব আবার কিছু ওয়াক্ত পর হলুদ দেখা যায়।
প্রথম 21 তারিখে অল্প হলুদস্রাব দেখে আমি নামাজ বন্ধ রাখি।এরপর চেক করলেও কিছুই দেখা যায় না।তারপর 3 ওয়াক্ত পর অল্প সাদাস্রাব আসে।তখন থেকে আবার নামাজ পড়ি ,ইস্তিহাযা ধরে গোসল না করেই। 2 ওয়াক্ত পর আবার হলুদ দেখে নামাজ বাদ দেই এবং প্রায় 1 দিন পর আবার অনেকখানি সাদাস্রাব দেখি এবং পুনরায় আর গোসল না করে ওইভাবেই নামাজ পড়ি।
এখন আমার 3 টা প্রশ্ন।দয়া করে উত্তর দিবেন।

1) 3 দিনের ভিতরেই হলুদের পর যখনই সাদাস্রাব দেখছি আমি ইস্তিহাযা ধরে নামাজ শুরু করছি এটা কি ঠিক না ভুল?আমি কি সাদাস্রাব দেখলেও 3 দিন পর্যন্ত নামাজ বন্ধ রেখে অপেক্ষা করব?

2)ঠিক ঠিক 72 ঘন্টা যখন হবে তখন যদি আমি চেক করে কোন হলুদস্রাব না দেখি তাহলে এটা ইস্তিহাযাই ধরব?

3)72 ঘন্টার কিছুক্ষণ পরেই যদি আবার হলুদ দেখি তখন কি এটাকে পিরিয়ডই ধরতে হবে।এবং 21 তারিখ যে প্রথম হলুদ দেখেছিলাম সেইদিনকে  প্রথম দিন ধরব?নাকি 72 ঘন্টার পর যখন থেকে আবার দেখব তখন থেকে আবার প্রথম ধরে হিসাব করব?

1 Answer

0 votes
ago by (660,480 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে পুরোটাই মূলত হায়েজ ছিলো। তাই এমতাবস্থায় নামাজ আদায় করা উচিত হয়নি।

এক্ষেত্রে মূলনীতি হলো আপনার যদি মনে প্রবল ধারণা হয় যে এই সাদা স্রাবের পরেও আবার ব্লিডিং হবে বা অন্য কোনো কালারের স্রাব আসবে, সেক্ষেত্রে প্রবল ধারণাকে প্রাধান্য দিয়ে আপনি নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকবেন।

আর যদি মনে প্রবল ধারণা হয় যে সাদা স্রাবের পর আর ব্লিডিং হবেনা বা অন্য কোনো কালারের স্রাবও আসবেনা,সেক্ষেত্রে আপনি গোসল করে নামাজ আদায় করবেন।

(০২)
না,প্রশ্নের বিবরণ মতে এটিকে হায়েজ ধরবেন। আপনার ৭২ ঘন্টা পরেও ব্লিডিং হওয়ার বা অন্য কোনো কালারের স্রাব আসার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

(০৩)
হ্যাঁ, পিরিয়ড ধরতে হবে। 

এমতাবস্থায় ২১ তারিখ হতে হায়েজ ধরতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 337 views
...