১. আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার আব্বু আমার দাদার আগে মারা যান, মারা যাওয়ার কয়েকদিন পর আমার আব্বুর নিজের কেনা সম্পত্তির খারিজের জন্য বলে তখন আমার দাদা আমার আম্মুকে বলেন ওয়ারিশ বাড়াতে এরপর আমার এক কাকা আমাদের দলিল লুকিয়ে নিয়ে যান এবং আমাদের জায়গা দাদা দাদির নামে করে নেন অর্ধেক। এর দুই বছর পর দাদা মারা যান আর দাদার নামের আব্বুর যে সম্পত্তির ওটা আমার ৪ কাকা আর ৪ ফুফুর নামে এখন ওয়ারিশ হয়ে চলে আসবে। কিন্তু দাদি জীবিত থাকা অবস্থায় আমার ২ ভাই আর আমি আমাদের ওই সম্পত্তি টুকু চাইলে উনি বলেন এত কষ্ট করে জন্ম দিছি আমারে আমার ছেলে কিছু দিয়ে গেল না। দাদি এখনো বেঁচে আছেন। কিন্তু আমার আব্বুর করা ব্যবসা আব্বু কাকা দের দিয়ে দিল, বিল্ডিং উঠালো, অনেক অনেক ভালো অবস্থানে আছে আমার দাদির পরিবার এখন, এরপর কাকা ফুফুরা তারা চায় না আমার আব্বুর এই সম্পত্তিটুকু আমারা পাই কারন তারা নিতে চায়। কাকার কাছে যখন বলি দাদিকে বলেন এই টুকু আমাদের ভাইবোনকে দিয়ে দিতে উনি বলে যে ইসলামের আইন অনুযায়ী এটা তোর দাদি পাবে। এরপর আমি কিছু বলি নাই। আমি এখন জানতে চাচ্ছি এই সম্পত্তি টুকু কি দাদি পাবে ইসলামের আইন অনুযায়ী? প্রকৃত হকদার কারা? আর একটা কথা আমার কাকারা এখনও আমার আব্বু মারা যাওয়ার পর আব্বুকে নিয়ে উলটা পালটা কথা বলে মাঝে মাঝে আমার রাগ হয় চিল্লাচিল্লি করে ফেলি, এই কয়দিন আগেও আমার কাকা শুধু শুধু আম্মুর উপর চিল্লাচিল্লি করছে, পরে আমি কাকার সাথে চিল্লাচিল্লি করছি উনারা সব সময় জুলুম করছে আম্মুর উপর আব্বুর উপর। আমার কি করা উচিৎ এই বিষয়ে?
২. আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।আমার বিশ্ববিদ্যালয় বাসা থেকে অনেকটা দূরে সেখানে মেয়েদের নামাজের কোনো ব্যবস্থা নেই আর বাসায় ফিরতে ফিরতে জোহর বা আসরের ওয়াক্ত অনেক সময় শেষ হয়ে যায়।তাই আমি বাসে নামাজ পরি।এইটা কি আমার জন্য জায়েজ হবে বা এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি?
৩. আসসালামুআলাইকুম। আমার ব্লাড গ্রুপ ও নেগেটিভ (O-), এটা তো একটা রেয়ার ব্লাড গ্রুপ। তো ভবিষ্যতে কখনো যদি প্রয়োজন হয়, সেই জন্য কি এখন থেকে যদি সেইম ব্লাড এর কাউকে খুঁজে রাখি বা যোগাযোগ রাখি, যাতে ভবিষ্যতে কোনো প্রয়োজন হলে তার থেকে ব্লাড নিতে পারি। তাহলে কি আমার গুনাহ হবে? আর আমি এখন কি করতে পারি, যদিও বর্তমানে ব্লাডের প্রয়োজন নেই।