ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)
ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3318
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কোন একটা বিষয় আমল করার পরে হঠাৎ মনে রিয়ার মত আসলে, অতঃপর রিয়া হবে ভেবে আসতাগফিরুল্লাহ পড়ে নিলে আর রিয়া হবে না।
(২) কাউকে কথা দিয়ে কথা না রাখার ফলে বা বিশ্বাস ভাঙ্গার কারণে বেইমান,মুনাফেক আর কাফের ইত্যাদি বলে বকা দেওয়া গোনাহের কাজ।তবে ঈমান চলে যাবে না।
(৩) কেউ বড় শিরক আর কুফরি হবে না জেনে গণকের কাছে গেলে বা বিশ্বাস করলে পরে জানার পর তওবা করলে তার বিয়ে ও ঈমান ঠিক থাকবে। তবে সতর্কতামূলক ঈমান নবায়ন এবং বিয়েকে দোহড়িয়ে নেওয়া উচিত। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2260
(৪) তাওবাহ করে নিলেই হবে।