আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
11 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আমার হায়েজের আজ ১০ তম দিন। ৫দিনে হায়েজ শেষ হয়ে যায় নরমালি। এবার ৫দিনের দিন শেষ হওয়ার পরে ৬ষ্ঠ দিনে খুব সামান্য বাদামি রঙের স্রাব এসেছে। এরপর ফরজ গোসল করে পবিত্র হওয়ার পর আবার ৭ম দিনে হালকা গোলাপি বর্নের স্রাব এসেছে। তারপর আর সমস্যা হয়নি। ৮ম দিন থেকে যথানিয়মে নামাজ, কোরআন পড়ছি। আজ ১০ম দিন। আজ হাজবেন্ডের সাথে মিলনের সময় বাদামী বর্নের স্রাব দেখতে পাই। তারপর গোসল করে পবিত্র হওয়ার পর আবার লাল বর্নের স্রাব দেখতে পাই।
আমি এখানে ৩টা কথা জানতে চাচ্ছি।

১. যেহেতু আজ ১০ম দিন চলছে। এর মাঝে আমার স্রাব স্বাভাবিক ছিল। আবার ১০ম দিনে হালকা ব্লাড আসছে, কিন্তু আমি সেটা আগে থেকে বুঝতে পারিনি। এমন অবস্থায় হাজবেন্ডের সাথে মিলনের জন্য আমি কি গোনাহগার হয়েছি?

২. এটা কি হায়েজই ধরবো? নাকি অসুস্থতা ধরে নামাজসহ সব স্বাভাবিক ইবাদত চালিয়ে যাবো?

৩. ১০ দিন পরেও যদি আবার রক্তপাত বা হায়েজের মতো স্রাব আসে, তখন কি সেই অবস্থায় হাজবেন্ডের সাথে মেলামেশা করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (691,530 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক। যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
(১)  ১০ দিনের ভিতর হায়েয বন্ধ হয়েছে মনে করে ফরয গোসল করার পর যদি সহবাসে হয়ে যায়, এবং পরবর্তীতে আবার রক্তস্রাব শুরু হয়, তাহলে গোনাহ হবে না। ১০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।  যদি ১০ দিনের পরও রক্তস্রাব আসে, তাহলে পূর্বে যতদিনের অভ্যাস বা আদত ছিলো, ততদিন হায়েয বাদবাকী ইস্তেহা তবে ১০ দিনের ভিতর রক্তস্রাব বন্ধ হলে বুঝে নিত  হবে, পূর্বের আদতে পরিবর্তন এসেছে। 

(২) উপরের ব্যখ্যানুযায়ী হায়েয ইস্তেহাযা গণনা করবেন। 

(৩) ১০ দিন পরেও যদি আবার রক্তপাত বা হায়েজের মতো স্রাব আসে, তখন সেই অবস্থায় হাজবেন্ডের সাথে মেলামেশা করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...