আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
ago in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। আমি জেনারেল লাইন পড়াশোনা করেছি।আমার বাবা আলিম পর্যন্ত মাদ্রাসায় পড়েছিল বাকিটা কলেজে।৫ ওয়াক্ত নামাজ,রোজা সব পালন করে।আমাদের বাড়িতে এমন কোন আলেম নাই যে যার কাছ থেকে মাসআলা নেওয়া যাবে কিছু জানার হলে আব্বা থেকেই জেনে নেই সবাই।আমি আগে সব আব্বা থেকে জানতাম এখন এই সাইটে প্রশ্ন করে বা সার্চ দিয়ে জানার চেষ্টা করি।আমার বাবা বলে শিয়ারাও মুসলিম।ওরা নামাজ ৩ ওয়াক্ত পড়ে বাকি গুলা ঠিক ভাবে পালন করে।আমার বাবা হয়ত জানে না এটা নিয়ে বিস্তারিত।আমি বললেও আমার কথা বিশ্বাস করবে না।এতে কি কোন সমস্যা হবে?? আমি এ বিষয়ে কিছু না বললে কি কোন সমস্যা হবে?  ওনি হয়ত সবসময় তওবা করেও থাকবে নামাজ যেহেতু পড়ে।আমার মনে হচ্ছে এটা নিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করলে বাড়াবাড়ি জাতীয় কিছু হয়ে যেতে পারে তাই আমি বুঝাতে চায় না।

1 Answer

0 votes
ago by (659,160 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: قَال َرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:لَيَأْتِيَنَّ عَلَى أُمَّتِي مَا أَتَى عَلَى بني إسرائيل حَذْوَ النَّعْلِ بِالنَّعْلِ، حَتَّى إِنْ كَانَ مِنْهُمْ مَنْ أَتَى أُمَّهُ عَلاَنِيَةً لَكَانَ فِي أُمَّتِي مَنْ يَصْنَعُ ذَلِكَ، وَإِنَّ بني إسرائيل تَفَرَّقَتْ عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةً، وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ مِلَّةً، كُلُّهُمْ فِي النَّارِ إِلاَّ مِلَّةً وَاحِدَةً، قَالُوا:وَمَنْ هِيَ يَارَسُولَ اللهِ؟ قَالَ: مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন- বনি ইসরাঈলের উপর যে সব আযাব আর গযব এসেছিলো,হুবহু আমার উম্মতের মধ্যেও সে আযাব আসবে।এমনকি বনি ইসরাঈলের কেউ যদি তার মায়ের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত থাকে তাহলে আমার উম্মতের কিছু লোকও সে কাজে লিপ্ত থাকবে।বনি ইসরাঈল বাহাত্তর ফিরক্বায় বিভক্ত ছিলো।আর আমার উম্মত তেহাত্তর ফিরক্বায় বিভক্ত হবে।সবাই জাহান্নামের আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে তবে একটি দল ব্যতীত। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাস করলেন,ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! সেটি কোন দল? রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, সেটি ঐ দল যারা আমার সুন্নত ও সাহাবায়ে কেরামদের বাছাইকৃত পথে নিজেদেরকে পরিচালিত করবে। (সুনানু তিরমিযি-২৬৪১)

শিয়া দু-ধরণের হতে পারে।
(ক.)যারা শুধুমাত্র আলী রাঃ কে প্রথম খলিফার মর্যাদা দান করে,তবে আবু বকর উমরকে গালাগালী করেনা।এবং আসলে সুন্নাত ওয়াল জামাতকে অস্বিকার ও করেনা।এছাড়া আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের  সাথে তাদের আর কোনো এখতেলাফ নেই।তাদেরকে এ আ'কিদা-বিশ্বাসের কারণে যদিও কাফির বলা যাবে না তবে নিঃসন্দেহে তারা পথভ্রষ্ট ও গোমরাহ। 

(খ.)
যারা হযরত আবু বকর, উমর রাঃকে খেলাফতের অযোগ্য ও খেলাফত ছিনতাইকারী মনে করে।এবং আবু-বকর উমরসহ সমস্ত সাহাবায়ে কেরামকে ফাসিক মনে করে ও গালাগালী করে এবং কোরআনকে অশুদ্ধও মনে করে।এসমস্ত আকিদা-বিশ্বাসের অনুসারীগণ নিঃসন্দেহে কাফিরও যিন্দিক।
আজকাল শীয়া গণ "ক" শাখার অন্তর্ভূক্ত খুবই কম বরং অধিকাংশই "খ" শাখার অন্তর্ভুক্ত। 
তাদের প্রধান টার্গেট সুন্নী মুসলমানদেরকে বিতারিত করে মক্ষা-মদিনাকে দখল করা ও শীয়া রাজত্ব কায়েম করা।

তাদের আরও কিছু আক্বিদা-বিশ্বাস হল।
(১)কোরআনে অনেক অনেক ভূল রয়েছে।
(২)কোরআন সর্বমোট ৪০পারা।
(৩)তাক্বিয়্যাহ অর্থ্যাৎ মিথ্যা বলা কামেল ঈমানের পরিচয়।
(৪)মু'তা,টাকার বিনিময়ে শারিরিক সম্পর্ক করা কামেল ঈমানের পরিচয়।
(৫)মু'তা পরিবর্তি গোসলের পর যেত ফুটা পানি শরীর থেকে ঝড়বে তথটা মকবুল হজ্বের সওয়াব হবে।
(৬)আলী রাঃ আবার পৃথিবীতে আসবেন,এবং সারা পৃথিবীতে শীয়া রাজত্ব কায়েম করবেন।
তাদের আরও অনেক আক্বিদা-বিশ্বাস রয়েছে।
বিস্তারিত জানতে আহসানুল ফাতাওয়া ১/৭৫।

উক্ত দ্বিতীয় প্রকার শিয়াদের আরোও মারাত্বক পর্যায়ের কিছু আকিদা হল, যেমন-
(১)বর্তমানে আমাদের সামনে যে কুরআনে কারীম রয়েছে,সেটা বিকৃত।
(২)হযরত আবু বকর উমর কাফির।
(৩) হযরত আযেশা রাযি এর ইফকের ঘটনা বাস্তব সম্মত।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/98060


★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
মূলত শিয়াদের মধ্যেও বিভিন্ন দল উপদল রয়েছে এবং তাদের অনেকের আকিদা সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী, তাদের অনেকের আকিদা কুফরী আকিদা।

এর জন্য তাদের মধ্যে অনেকে কাফের।

আপনার বাবা তাদের সমস্ত বিষয় মূলত জানেন না, এজন্য তাদেরকে মুসলিম বলে মনে করেন। সুতরাং প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার বাবার ঈমান চলে যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...