আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।শাইখ একটু কষ্ট করে পুরোটা পড়বেন।

আমার দাদার বাড়িতে উঠানের একটা কোণায় একটা গাছ ছিলো। যেখানে জ্বীন তার পরিবার নিয়ে থাকতো।তো একদিন আমার দাদা গাছটা কেটে ফেলায় জ্বীন দাদার উপর খুব রাগ হয় এবং দাদাকে একদিন ধরে বলে,"তুই আমার পরিবারকে এভাবে তাড়িয়ে দিলি!! আমি অভিশাপ দিচ্ছি তোর বংশে কেয়ামত পর্যন্ত যত ছেলে মেয়ে আসবে তোর উত্তরাধিকার তারা কেউ সফলতার মুখ দেখবে না, কষ্টে থাকবে।"এই জাতীয় কিছু কথা বলে। আমার দাদা তো আমার জন্মের আগেই মারা গেছে। আমার চাচা ফুফি একদিন গল্প করছিলো।এগুলো আমি ওখান থেকে শুনি। পরে ফুফির সাথে আরো বিস্তারিত কথা হয় এই নিয়ে আমার সাথে। এমনিতে আমার দাদার বাড়িতে জীনের উপদ্রব আছে। আমার বাবার সাথে জ্বীন আছে। বাড়িতে গেলে একা থাকলে মাঝেমধ্যে ধরে।চাচাদের একজনের মধ্যে আছে।এক জীন একবার আমার একটা ফুফিকে চুল ধরে ঘুরিয়েছে শুনেছি ।
এই যে জ্বীন এভাবে অভিশাপ দিলো এটা যেদিন থেকে শুনলাম সেদিন থেকে আমি অনেক বেশি হতাশায় ভুগছি আসলে।আমি খেয়াল করে দেখলাম আমার বাবা,চাচা,জেঠা কেউই ভালো অবস্থানে নেই।তারা অন্য মানুষদের দান সদকা যাকাতের টাকা দিয়ে সংসার চালায়। আমার নিজের ভাই,চাচাতো জেঠাতো ভাই এরাও তেমন সফলতার মুখ কেউ দেখতে পারেনি।যারা কর্মজীবনে আছে তাদের অবস্থা‌ খারাপ।আর যারা পড়াশোনা করছে তাদের পড়াশোনা ভালো লাগছে না,ছেড়ে দিবে এইরকম অবস্থা।আর বোনদের একজনের বিয়ে হয়েছে।সে অনেক কষ্টে আছে।আমি সহ আরো চারজনের বয়স হয়ে যাওয়ার পর‌ও বিয়ে হচ্ছে না।এখন এর জন্য কি করা যায় আসলে?

আমার বারবার শুধু মনে হয় এই অভিশাপের কারণে এই যে আমি আমার জীবনটা সহজ হয়ে যাওয়ার জন্য,বিয়েটা উত্তম জায়গায় হ‌ওয়ার জন্য এত দুআ করি এসব কিছুই কবুল হবে না।

1 Answer

0 votes
ago by (658,410 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

প্রশ্নে উল্লেখিত অভিশাপ আপনাদের উপর লাগবেনা,ইনশাআল্লাহ। 
তবে নিম্নোক্ত আমল গুলি করার পরামর্শ থাকবে। 

https://www.ifatwa.info/10103 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ- 
সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার।মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন।যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
তাছাড়া আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،
দেখুন-http://ifatwa.info/1093
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো।https://www.ifatwa.info/1816
(এলাজে কুরআনী-০৩)

★উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো জ্বীনের আছড়ের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে ইনশা'আল্লাহ।

https://ifatwa.info/20919/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
কুরআন সুন্নাহের আলোকে শরীর বা ঘর বন্ধ করার নিয়ম হল, চার কুল ও সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত এবং সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়ে শরীর বা ঘরের দরজাসমূহে ফু দেওয়া। বিশেষ করে সূলা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে ফু দেওয়া। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا الْمُفَضَّلُ بْنُ فَضَالَةَ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ كُلَّ لَيْلَةٍ جَمَعَ كَفَّيْهِ ثُمَّ نَفَثَ فِيْهِمَا فَقَرَأَ فِيْهِمَا(قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ)وَ (قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ) وَ (قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ) ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ

‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, প্রতি রাতে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিছানায় যাওয়ার প্রাক্কালে সূরাহ ইখ্লাস, সূরাহ ফালাক ও সূরাহ নাস পাঠ করে দু’হাত একত্র করে হাতে ফুঁক দিয়ে যতদূর সম্ভব সমস্ত শরীরে হাত বুলাতেন। মাথা ও মুখ থেকে আরম্ভ করে তাঁর দেহের সম্মুখ ভাগের উপর হাত বুলাতেন এবং তিনবার এরূপ করতেন। 
[বুখারী শরীফ ৫০১৭.৫৭৪৮, ৬৩১৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৪৮)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...