আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
10 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম  হুজুর। আমার কিছু ঝামেলার জন্য এক তালাক হয়,  তারের আবার বিয়ে করবো কিনা এ বিষয়ে বিস্তারিত আপনাদের থেকে জানতে চাইলে আপনারা ইসতেখারার পরামর্শ দিলেন। আমি ইসতেখারার পর আরও খারাপ কিছু জানতে পারি ২ দিনের মাথায়। সিউর করে নেই এটিই আমার ইসতেখারার রেজাল্ট যেটা নেগেটিভ। আর নামাজ পরার সাথে সাথে খুব অসস্তি লেগেছিল। তো আমি তাকে জানিয়ে দেই আিয়ে করবো না। তবে সে বিভিন্ন ভাবে আমায় বুঝানোর চেষ্টা৷ করে,, আর এমন হবে না জানায়, মাফ চায়,বিয়ে করে নিতে বলে তাকে। আমিও ২ দিনে দুর্বল অনুভব করছি আবার। তবে বিশ্বাস করতে পারছি না, ভয় পাচ্ছি যে এমন আবার হবে কিনা,,,,এর মধ্যে সে জানিয়েছে যে সে চেষ্টা শুরু করেছে ভালোভাবে চলার। আমি আর ইসতেখারা করি তবে তার প্রতি দুর্বলতা সহ আল্লাহর কাছে জানাই। এর পর দিন কিছু হয়নি তেমন,তবে সে আমায় মানাতে থাকে। গত রাত ও ইসতেখারা করি, তাকে আমি বিয়ে করতে চাই, হেদায়াত চাই তার ও আমার,,, দীনদারিতা চাই এগুলো চাই নামাজের পর।তবে আমার জন্য যদি একান্তই কল্যান না থাকে তাহলে যেন ভুলিয়ে দেন।এমন ভাবে দোয়া করি। তো আজ ফজরের পর আমি ঘুমিয়ে যাই ৩ রকমের স্বপ্ন দেখি পরপর।দেখলাম আমি আমার কিছু মেয়ে বান্ধবীর সাথে হাসতে হাসতে কথা বলছি। সে তার ইউনিবার্সিটি দেখাচ্ছে, জানাচ্ছে বিভিন্ন তথ্য। তো আমরা হাটছি।সাদা বালির ছিল রাস্তাটা।তো কলেজে থাকা কালে আমার ক্লাস টিচার মেম খুব পছন্দের মানুষ ছিলেন না। যেন লাগলো উনাকে ওই রাস্তায় পেলাম,কোনো ভুল বুঝাবুঝি মিটিয়ে কাদতে কাদতে মেম কে জড়িয়ে ধরলাম। দুজনই খুশি। তারপর দেখলাম আমার বাসা,একটা রোমে আমার স্বামী যিনি ছিলেন ঘুমাচ্ছে,,আমি প্রতিদিন রাতে দেখা করতে যাই, কথা বলে আসি প্রতি রাতে রুম এ গিয়ে। তারপর একদিন গিয়ে  তাকে মাস্টারবাইট করা অবস্থায় পাই, আমি বিছানা থেকে একটু দুরে দাড়িয়ে তাকে  মানা করতে থাকি,,মনে হল সে শুনলো না থামলো না। আমাদের বিয়ের ব্যপারে কাটো বাড়িতেই জানে না।আমাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ কোনো সম্পর্ক কখনো নেই। প্রেম বা এমন কিছু না,,,অন্য কারনে দুজন বিয়ে করবো  করেছিলাম,আমার  পরিবারকে এখন জানানো সম্ভব না কিছু কারনে।তারপর সিন পরিবর্তন হয়,দেখি আমার বাড়িতে অনেক লোক,আমার পরিচিত আত্মীয় সহ অনেকে অপরিচিত,,,, চিনি না আমি। রেডি হচ্ছে সবাই।এর মাঝে আমার ছোট চাচি আমায় রান্না ঘরে ডাকলো।ওনি রান্না করছিল।একটা বাটিতে চিংড়িমাছ,কেটে রাখা। আমায় জিজ্ঞেস করলো তুমি কি তোমার মাছটা ধুয়ে খাবে? আমি বললাম হ্যা। তারপর একটা কাচা ডিমআালা চিংড়ি নিয়ে পাশের বেচিন এ  ধুলাম পরিষ্কার করে। এগিলোর অর্থ কি,আর বিয়ের বিষয়ে আমার কি করা উচিত। আমায় মেহেরবানি করে জানান হুজুর।

1 Answer

0 votes
ago by (656,820 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/13381/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
ইস্তেখারা অর্থ হল, ভালোকে তালাশ করা। অর্থাৎ যখন কারো সামনে দু’টি রাস্তা থাকে, সে জানেনা কোন রাস্তাটি তার জন্য মঙ্গলজনক, তাহলে এমতাবস্থায় সে ইস্তেখারা করে একটি রাস্তাকে নির্দিষ্ট করবে। সুতরাং কারো অসুখ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে কি না? সেটা জানার জন্য ইস্তেখারা করার কোনো নিয়ম নাই। হ্যা এ বিষয়ে আল্লাহর মদদ ও সাহায্য কামনার স্বার্থে ইস্তেখারা করা যেতে পারে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
হযরত জাবির রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كُلِّهَا، كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ، يَقُولُ: " إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ، فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الفَرِيضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلْ: 

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সব কাজে ইস্তিখারাহ্* শিক্ষা দিতেন। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরাহ্ আমাদের শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরজ নয় এমন দু’রাক‘আত সালাত আদায় করার পর এ দু’আ পড়েঃ 

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ العَظِيمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ، وَأَنْتَ عَلَّامُ الغُيُوبِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي، ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ، وَاقْدُرْ لِي الخَيْرَ حَيْثُ كَانَ، ثُمَّ أَرْضِنِي " قَالَ: «وَيُسَمِّي حَاجَتَهُ»

ভাবার্থঃ‘‘প্রভু হে! আমি তোমার জ্ঞানের ওয়াসিলাহ্তে তোমার অনুমতি কামনা করছি; তোমার কুদরতের ওয়াসিলায় শক্তি চাচ্ছি আর তোমার অপার করুণা ভিক্ষা করছি। কারণ তুমিই সর্বশক্তিমান আর আমি দুর্বল। তুমিই জ্ঞানী আর আমি অজ্ঞ এবং তুমিই সর্বজ্ঞ। প্রভু হে! তুমি যদি মনে কর যে, এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায়, ইহকালে ও পরকালে সত্বর কিংবা বিলম্বে আমার পক্ষে মঙ্গলজনক হবে তা হলে আমার জন্য তা নির্ধারিত করে দাও এবং তার প্রাপ্তি আমার জন্য সহজতর করে দাও। অতঃপর তুমি তাতে বারাকাত দাও। আর যদি তুমি মনে কর এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায় ইহকালে ও পরকালে আমার জন্য ক্ষতিকর হবে শীঘ্র কিংবা বিলম্বে তাহলে তুমি তাকে আমা হতে দূর করে দাও এবং আমাকে তা হতে দূরে রাখো; অতঃপর তুমি আমার জন্য যা মঙ্গলজনক তা ব্যবস্থা কর- সেটা যেখান থেকেই হোক না কেন এবং আমাকে তার প্রতি সন্তুষ্টচিত্ত করে তোল।’’তিনি ইরশাদ করেন هَذَا الْأَمْرَ  তার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করবে।(সহীহ বুখারী- (শামেলা);২/৫৭,হাদীস নং১১৬২,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৬২৯) 

বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1472

ইস্তেখারাকৃত বিষয়টির ফায়সালা কিভাবে বুঝতে পারবে? কোন পদ্ধতিতে তা জানা যাবে? এ নিয়ে উলামায়ে কেরাম থেকে একাধিক পদ্ধতি জানা যায়।
উক্ত আমল শেষ করে কারো সাথে কথা না বলে কিবলামুখী হয়ে ঘুমিয়ে পড়বে। ঘুম থেকে জাগার পর মন যেদিকে সায় দিবে, বা যেদিকে আগ্রহী হয়ে উঠবে, সেটিই ফলাফল মনে করবে। [তুহফাতুল আলমায়ী-২/৩৩৮, বেহেশতী জেওর]

বাকি এছাড়াও আরো অনেক পদ্ধতি আছে,তবে সেসব  পদ্ধতিকে রাসূল সাঃ থেকে প্রমাণিত পদ্ধতি বলা যাবে না। বাকি একদম বাতিল পদ্ধতিও বলা ঠিক নয়। কারণ এটি জানার পদ্ধতি যেহেতু কোন দ্বীনী বিষয় নয়। বরং দুনিয়াবী বিষয়ের ফায়সালা জানতে এমনটি করা হয়ে থাকে, তাই এটির ক্ষেত্রে মানুষের অভিজ্ঞতার একটি দখল রয়েছে।
,
 কারো অভিজ্ঞতায় যদি এমন আমল করার দ্বারা ইস্তেখারাকৃত বিষয়ের ফলাফল স্পষ্ট হয়, তাহলে সে এর উপর আমল করতে পারে।

আরো জানুনঃ- 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
উল্লেখিত স্বপ্নের মানে হল আপনার ইস্তেখারা পজেটিভ নয়।

উক্ত ছেলেকে বিবাহ না করার পরামর্শ রইলো। 
যদি বিবাহ করতেই হয়,সেক্ষেত্রে কোনো লুকোচুরি নয়,সরাসরি পরিবারকে জানিয়ে পারিবারিকভাবে বিবাহ করবেন।

তারা বিবাহ না দিতে চাইলে সেই ছেলেটিকে বিবাহ করবেননা।

মনে রাখবেন,মুমিনরা একই ভূল দুইবার করেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن أبي هريرة رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «لا يُلْدَغُ المؤمنُ من جُحْرٍ واحد مرتين».  
[صحيح] - [متفق عليه]

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মুমিন একই গর্তে দু’বার দংশিত হয় না।”  
[সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...