ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিয়ের কোনো বয়স নাই। বরং একেবারে শিশুকালে অভিভাবকগণ তাদের সন্তানের বিয়ে দিয়ে দিতে পারবে। তবে সাবালক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কেউ নিজে নিজে বিয়ে করতে পারবে না। এবং নাবালককে বিয়ে দিলে সাবালক ও উপযোক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তার সাথে শারিরিক সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না। উভয়ের বয়স সমান হওয়া জরুরী নয়। তবে হাদীসে বয়স সমান হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।
হ্যা,বিয়ের সাক্ষীদ্বয় সাবালক হতে হবে।
আল্লামা হাসক্বফী রা বলেনঃ
(وَ) شُرِطَ (حُضُورُ) شَاهِدَيْنِ(حُرَّيْنِ) أَوْ حُرٌّ وَحُرَّتَيْن (مُكَلَّفَيْنِ سَامِعَيْنِ قَوْلَهُمَا مَعًا)
দুজন স্বাধীন পুরুষ অথবা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দুজন স্বাধীন মহিলা সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থাকতে হবে,যারা শরীয়তের বিধি-বিধান পালনে দায়বদ্ধ থাকবে,এবং একসাথে উভয় (স্বামী-স্ত্রী) র ইজাব-কবুল শ্রবণ করবে।(আদ্দুরুল মুখতার-৩/২২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/16116
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সরকারি বিধিমতে নারী পুরুষের পৃথক পৃথক বিয়ের নির্ধারিত বয়স রয়েছে। এটা সামাজিক বিভিন্ন ইস্যুর কারণে সরকার নির্ধারণ করেছে।
সমস্ত মুসলমানের উপর ফরযে কেফায়া যে, বিয়ের বয়সকে ইসলামিকরণ করার জন্য সরকারকের নিকট আবেদন জানানো। হ্যা, সাবালক হওয়ার পূর্বে স্বামীর স্ত্রীর মিলন জায়েয হবে না। সাবালক হওয়ার পরপরই যে বিয়ে করতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাদকতা নেই।