আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায।মিরাস বন্টনের বিষয়টি বুঝতে একটু সমস্যা হচ্ছে। তাই বিস্তারিত সহজ ভাষায় বললে খুবই মুনাসিব হয় ইন শা আল্লাহ।
উল্লেখ্য,আমার বাবা মারা গেছেন ( রহিমাহুল্লাহ) ১ বছরের বেশি সময় হয়েছে। আমরা দু বোন এক ভাই। আমার মা জীবিত আছেন আলহামদুলিল্লাহ।
আমার বাবার মা-বাবা,ভাই -বোন- দাদা -দাদি,নানা-নানি জীবিত নেই।
বাবা মারা যাওয়ার সময় নিজের ব্যবহার্য জিনিসপত্র,১৬ শতাংশ নিজের কেনা জায়গা (যেখানে বর্তমানে আমার মার তত্বাবধানে একটি ঘর করা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহুম্মা বারিক লাহা। ) ওয়ারিশগতভাবে পাওয়া আমার দাদি,দাদার কিছু জায়গা এগুলোই রেখে গেছেন।
এখন এটি বন্টন কিভাবে করবো? ঘর করা হয়েছে অনেক কষ্টে অনেক টাকা ঋণ করে । রুম অনুযায়ী ভাগ করা হয়েছে প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা। কারো বেলকনি সহ কারো বেলকনি ছাড়া। এখন এই বন্টনেও কি সমান সমান ভাগ হতে হবে? আর বাকি জায়গা ভাগ হয় নি । পুরো জায়গা আমরা তিন ভাই বোন মা মিলিয়ে একত্রেই সন্তুষ্ট তবুও কি এটা বন্টন করতে হবে? মিরাস যদি এভাবে থাকে তবে কি গুনাহ হবে? বন্টন কিভাবে করতে হবে? এমনিতে বিল্ডিং এর নিচ তলা আমার ছোট ভাইয়ের বাকি উপরের তলার অর্ধেক অর্ধেক দুই ভাগ করে দুবোন নেয়ার কথা পরামর্শ করা হয়েছে । কিন্তু নিচ তলা বাবা,মা,ভাই-বোনের জয়েন্ট টাকা দিয়েই করা হয়েছে তাই উপরের তলা আপাতত ধরার প্ল্যান নেই। সামগ্রিক ভাবে মিরাস বন্টনের বিস্তারিত জানতে চাচ্ছিলাম সহজভাবে । একটু কঠিন লাগছে বিধায় আপনার কাছে জানতে চাওয়া। জাযাকুমুল্লহ খইর

1 Answer

0 votes
by (697,380 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মৃত্যু পরবর্তী সম্পদকে  আল্লাহ তা'আলা নিজেই বন্টন করে দিয়েছেন।তাই কারো মৃত্যুর পর আল্লাহ তা'আলা প্রদত্ত বিধি-বিধানের আলোকেই তার সম্পদ বন্টন করতে হবে।এক্ষেত্রে কোনো ওয়ারিছকে তার নির্ধারিত অংশ ব্যতীত অতিরিক্ত কিছু দেয়া যাবে না বা তার ওসিয়ত করা যাবে না। জায়েয হবে না।তবে বাকী সমস্ত ওয়ারিছদের সম্মতিতে কোনো এক ওয়ারিছকে সমস্ত সম্পত্তি বা তার নির্ধারিত অংশের চেয়ে বেশী দেয়া যাবে। মৃত্যুর সময় এক তৃতীয়াংশ সম্পত্তিকে ওয়ারিছ ব্যতীত অন্য যে কারো জন্য ওসিয়ত করা জায়েয আছে।

মানুষ মৃত্যুর পর কে ওয়ারিছ হবে? সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/343

মানুষ তার জীবদ্দশায় যেভাবে ইচ্ছা সম্পদ বন্টন করে দিতে পারবে। তবে তখন নিজ সন্তানদের মধ্যে সমতা বজায় রাখা উচিত। তবে ওয়াজিব নয়। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনাদের মা, দাদা, দাদি যদি জীবিত থাকেন, তাহলে তারাও সম্পদের অংশীদার হবেন। ওয়ারিছরা পরস্পর সম্মতি জ্ঞাপন করে নিলে তখন আর পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে সম্পদ বন্টন করতে হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...