আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
15 views
ago in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি সন্ধায় কিছু কৈ মাছ এনেছিলাম। ঘরে কেও ছিলনা।জানতামনা। রাতে তারা আসে। কিন্তু কেও এখন মাছ গুল কেটে ফ্রিজে রাখতে চাচ্ছে না। জীবিতই ফ্রিজে রেখে দিয়েছে।কালকে কাটবে বলে। এখন, এই মাছ জীবিত ফ্রিজে থেকে বরফ হয়ে মারা যাবে।এইটা কি জায়েজ হবে? এই মাছ কি খাওয়া হালাল হবে?

জানাবেন প্লিজ

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
ago by (78,780 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/44371/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

হাদীস শরীফে এসেছে,

عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : إِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى كَتَبَ الْإِحْسَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ ، فَإِذَا قَتَلْتُمْ فَأَحْسِنُوا الْقِتْلَةَ ، وَإِذَا ذَبَحْتُمْ فَأَحْسِنُوا الذَّبْحَ ، وَلْيُحِدَّ أَحَدُكُمْ شَفْرَتَهُ وَلْيُرِحْ ذَبِيحَتَهُ " . رَوَاهُ مُسْلِمٌ

শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক জিনিসের প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং যখন তোমরা কোন ব্যক্তিকে (ক্বিসাস ইত্যাদিতে) হত্যা করবে, তখন তাকে উত্তম পদ্ধতিতে হত্যা করবে। আর যখন কোন প্রাণীকে যাবাহ করবে, তখন তাকে উত্তমরূপেই যাবাহ করবে। তোমরা অবশ্যই ছুরি ধার দিয়ে নেবে এবং যাবাহকৃত পশুকে শান্তি দেবে।

সহীহ : সহীহ মুসলিম ৫১৬৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৮৮৪, সুনানুন্ নাসায়ী আল কুবরা ৮৬৫৮, শু‘আবুল ঈমান ১১০৭১, আবূ দাঊদ ২৮১৫, ইবনু মাজাহ ৩১৭০, দারিমী ১৯৭০, নাসায়ী ৪৪১২, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৬৯৭৭, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৬৫০২, আল মু‘জামুল কাবীর ৭১১৪, মুসনাদে আহমাদ ১৭১১৬, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ১০৮৯, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৫৫৯, মুসান্নাফ ‘আবদুর রায্যাক ৮৬০৪, মুসান্নাফ আবী শায়বাহ্ ২৭৯৩১।

,

কোন প্রাণীকে কষ্ট দিয়ে হত্যা করা যাবে না। তবে মাছকে যবেহ করা শর্ত নয়। বরং যে পন্থায় মাছ কাটলে সেটি কষ্ট কম পাবে সে পন্থায় মাছ কাটতে হবে।

মাছকে যবেহ করা শর্ত নয়, কেনো? এ সংক্রান্ত জানুনঃ

হাদীস শরীফে এসেছে,

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " أُحِلَّتْ لَنَا مَيْتَتَانِ الْحُوتُ وَالْجَرَادُ " .

আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমাদের জন্য দু’টি মৃত জীব হালাল করা হয়েছেঃ মাছ ও ট্টিড্ডি। (ইবনে মাজাহ ৩২১৮)

মাছ জবাই করতে হয় না, মৃত মাছ খাওয়া যায়।

এর কারণ হলো, সেটার মূল গঠনের ভিত্তি হলো পানি। পানি স্বভাবগতভাবে পবিত্র এবং অন্যকে পবিত্রকারী। সুতরাং যেভাবে নাপাকি পানির মাঝে প্রভাব বিস্তার করতে পারে না, তেমনি পানির প্রাণীর রুহ পৃথক হলে তাতে নাপাকের প্রভাব বিস্তার করে না এবং জবাই করার প্রয়োজন হয় না।

মাছকে জবাই না করে, জীবিত অবস্থায় কাটতে হলে যে পন্থায় মাছ কাটলে সেটি কষ্ট কম পাবে সে পন্থায় মাছ কাটতে হবে।

তবে কোনো মাছ জিবিত কাটার ক্ষেত্রে যদি অনেকটা কষ্টকর হয়,তাহলে সেই মাছের ক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করা যাবে।

শিং, মাগুর, কৈ, সৌল এ জাতীয় মাছ ক্রয় করে আনার পর জীবিত অবস্থায় কাটতে হলে কাটা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়, তাই জীবিত অবস্থায় কাটার প্রিপারেশন হিসেবে লবণ মাখিয়ে মেরে ফেলা  জায়েজ আছে।

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

উল্লেখিত ছুরতে ফ্রিজে রাখার পদ্ধতি মাছের জন্য বেশি কষ্টকর মনে হচ্ছে, এ পদ্ধতি অবলম্বন করে সেই মাছ খাওয়া জায়েজ, তবে পরবর্তীতে এ পদ্ধতি অবলম্বন না করার পরামর্শ থাকবে।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...