আসসালামু 'আলাইকুম।
১,আমার প্রশ্নটি হল,
আমি একজন আলিম কে জিজ্ঞেস করেছিলাম 'যদি আমি কাউকে বলি উমুক পন্য তোমাকে এনে দিব আমাকে ৩০ হাজার টাকা দাও' আমি উক্ত পণ্য ২৮০০০ এ কিনে তাকে দিলে ২০০০ লাভ করলে জায়েজ হবে কিনা।'আলিম বলেছে আপনি যদি দোকানদার/ব্যবসায়ী হোন আপনার কাছে কোনো পণ্য না থাকে আপনি তাহলে ক্রেতাকে বলতে পারেন উক্ত পন্য আমার কাছে নেই আমাকে এত টাকা অগ্রীম দিলে পণ্যটি এনে দিব অথবা অগ্রীম না দিয়ে অর্ডার দিলে এনে দিব। এক্ষেত্রে ক্রেতাকে জানানো জরুরি না যে আমি কত টাকা দিয়ে কিনতেছি এবং কত লাভ রাখতেছি। এটা ড্রপশিপিং হবেনা।তবে আমি যদি ব্যবসায়ী না হই আমার বন্ধু আমাকে কোনো কিছু কিনতে বললে তাহলে লাভ নেয়া যাবেনা, লাভ করতে চাইলে তাকে সার্ভিস ফি নেয়া যেতে পারে এবং সেটা কতটুক এটা জানাতে হবে।
আমার প্রশ্ন,
ক) উনার বক্তব্য কি ঠিক আছে?
খ) সার্ভিস ফি নিচ্ছি এটা জানালেই হবে নাকি কত টাকা নিচ্ছি সেটাও জানাতে হবে?
গ)যদি আমার বন্ধু এটাতে রাজিখুশি থাকে যে সার্ভিস ফি কত নিচ্ছি আমি তাকে জানাচ্ছিনা,বরং সে আমাকে অর্থ দিয়ে বলছে তুমি এটা আমার জন্য কিনে আনো সেক্ষেত্রে আমি লাভ করলে জায়েজ হবে কিনা? (সে জানে আমি লাভ করছি,কতটুক করছি সে জানেনা,জান্তেও চায়না,আমি বলতে চাচ্ছিনা এবং সে এতে রাজি)।
২) আমি ক্যামেরার ব্যবসা করি অনলাইনে, বেশি দামি জিনিস কিনে আনতে পারিনা, কারণ আমার অত পুজি নাই,আমি উক্ত প্রোডাক্টটি আমার পেজে শো করতেছি,যখন অর্ডার আস্তেছে আমি ক্রেতাকে বলছি এটা আমার কাছে নাই আমি দামি প্রোডাক্টটা এনে দিব, আর কিছু লাভ নেব তাহলে জায়েজ হবে কিনা তাকে কত টুক লাভ/সার্ভিস চার্জ নিচ্ছি না জানিয়ে। এক্ষেত্রে তার থেকে অগ্রীম নিতেও পারি নাও নিতে পারি উভয় ক্ষেত্রেই জানাবেন
৩) একটা স্কুলে অনেক ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়, স্কুল এ সরাসরি ভর্তি হলে ৫৫০০ টাকা লাগে, আমার মাধ্যমে হলে লাগবে ৫৩০০/৫২০০টাকা, এবং সেক্ষেত্রে
স্কুল কর্তৃপক্ষ ৫০০০ এর উপর যা হয় আমাকে কমিশান দেয়, মানে ২০০/৩০০ টাকা,এটা কি জায়েজ? স্টুডেন্টকে কি জানাতে হবে আমি কমিশান নিচ্ছি? নিলেও কতটুক নিচ্ছি এটা