চাকুরী পরবর্তি বোনাস সাধারণত দু ধরণের হয়ে থাকে। যথা-
- (১)প্রভিডেন্ট ফান্ড
- (২)পেনশন ফান্ড
(১)
প্রভিডেন্ট ফান্ড
প্রভিডেন্ট ফান্ডের উৎস দু ধরণের হয়ে থাকে। যথা-
(ক)বাধ্যতামূলক ইনকাম ট্যাক্স
অর্থাৎ
ইনকাম ট্যাক্স কেটে রাখা যদি বাধ্যতামূলক সরকারী নীতিমার আওতাধীন হয়,যা পরবর্তীতে প্রভিডেন্ট ফান্ড রূপে উক্ত চাকুরজীবিকে দেয়া হবে।তাহলে উক্ত প্রভিডেন্ট ফান্ড সুদের অন্তর্ভূক্ত হবে না।কেননা বেতনের কর্তনকৃত ঐ অংশ ইচ্ছা করলেও উক্ত চাকুরজীবি এখন উসূল করতে পারবে না। আর কবজা বা হস্তগ্রত করার পূর্বে কেউ কোনো বেতন ভাতার মালিক হতে পারে না।যখন সে উক্ত টাকার মালিকই হয়নি,তখন সে কিভাবে এ টাকাকে সুদে লাগাবে।
তাই কর্তনকৃত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকার প্রভিডেন্ট ফান্ডকে সুদ বলা যাবে না।
বরং এক্ষেত্রে এটাই অনুমান করা হবে যে,বেতন-ভাতার অপরিশোধিত সেই টাকাগুলাই এখন তার হস্তগ্রত হচ্ছে।
এখানে সবগুলাকেই তার বেতন রূপে গণ্য করা হবে।
(খ)ইনকাম ট্যাক্স কেটে রাখা যদি যদি অপশনাল নীতিমালার আওতাধীন থাকে। যা ইচ্ছা করলে এড়িয়ে চলা যায়।তাহলে যতটুকু টাকা ইনকাম ট্যাক্স রূপে কেটে রাখা হয়েছে,পরবর্তীতে প্রভিডেন্ট ফান্ডের ততটুকু টাকাই তার জন্য গ্রহণ করা জায়েয হবে।
অতিরিক্ত টাকাকে এক্ষেত্রে সুদ হিসেবে গণ্য করা হবে।
কেননা সে ইচ্ছা করলে কর্তনকৃত ঐ টাকাগুলোকে পূর্বেই নিজ হাতে নিয়ে আসতে পারত।
যখন সে ইচ্ছা করে আনেনি।তাই বুঝা গেল যে,সে ইচ্ছা করে সুদে লাগিয়েছে।
(২)
পেনশন ফান্ড
পেনশন
অভ্যাহতি পরবর্তি চাকুরীজীবিদের জন্য নির্ধারিত পেনশন-কে বেতন-ভাতা র অন্তর্ভুক্ত ধরা যাবে না।
বরং এটাকে সরকারের পক্ষ্য থেকে পৃথক পুরুস্কার হিসেবেই গণ্য করা হবে।
আর পুরুস্কার গ্রহণ জায়েয বিধায় পেনশন গ্রহণও জায়েয। (মুহাক্কাক্ব ও মুদাল্লাল জাদীদ মাসাঈল;৪০৮/৪০৯
(জামেয়া ইসলামিয়া এ'শাআ'তুল উলূম, -মহার্রাষ্ট,ভারত- কর্তৃক প্রকাশিত)
হাতে আসার পূর্বে প্রভিডেন্ট ফান্ডের যাকাত দিতে হবে না। (জাদীদ ফেকহী মাসাঈল ২/৩৬)