আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
14 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ, শায়খ।

আমার প্রশ্ন হলো হাজবেন্ডের  স্ত্রীর প্রতি গায়রত কেমন হওয়া উচিত?

আমি  আর আমার হাজবেন্ড একবার ট্রেনে  যাওয়ার সময় তিন  সিট ওয়ালা যেদিকে সেখানের দুটা সিট নিই,আমি ভিতরে, তারপর আমার হাজবেন্ড বসেন তারই পাশে একজন পরপুরুষ ও বসেন,আমার হাজবেন্ড  তখন আমায় রেখে কিছু সময়ের জন্য ওয়াশরুমে যায় প্রয়োজনে। তখন আমি আর ওই পরপুরুষ বসা ছিলাম মাজখানের সিটটা খালি  ছিল।।  আমরা দুজনেই প্রাকটিসিং,রবের আদেশ মেনে চলার চেষ্টা করি,কিন্তু আমি খুবই কস্ট পাই তার বেগায়রতপুর্ন এমন আচরনের জন্য,আমি তার থেকে আশা করেছিলাম সে আমায় নিয়ে যাবে, ওই মুহুর্তে আমি  আরো নিকাব খুলে উপর থেকে এক্টা বড় কাপড় ফেলে খাচ্ছিলাম,এর আগে গুমানো ছিলাম কিছু সময়, যার জন্য চোখেও ভালো দেখতেছিলাম না, আমি বার বার বলতে ছিলাম আমায় রেখে যাবেন না, এক্টু অপেক্ষা করলে নিকাবটা দিয়ে তার সাথে যেতাম, দিতে তো সময় লাগবে,শুনে নি,রেখেই চলে গেছে,আমি খুবই কস্ট পাইছি, কান্না করে দিছি,আর সে এই কস্ট পাওয়া দেখে হাসে আর তার কাছে এটা কোন বিষয়ই না, রিকশায় একা চল্লে তো সামনে রিকশায়ালা থাকে তখন যাই কিভাবে এই বলে হাসে,বলে"আরে আমি তো বাথরুমে গেছিলাম, ঘুরদে তো যাই নি,আমি বলি আপনি যে রেখে গেলেন এক্টা পুরুসের পাশে কেমনে পারলেন, বলে কই মাজখানের সিট তো খালি ছিলো,আমি যদি একদম বের হওয়ার দিকের সিটে থাকতাম আমি উঠে চলে যেতাম কিন্তু আমি বসছি একদম কোনার সিটটায় তারপর আবার নিকাব খুলা, উপর থেকে কাপড় ফালানো চোখে তেমন ভলোও দেখতেছিলাম না,
সে যে কাজটা করছে সে মানতেই নারাজ যে সে গুনাহ করছে,

আসলেই কি সে যে কাজ টা করছে এটা গুনাহ হয়নি?স্ত্রীকে কষ্ট দিয়ে গায়রত হীন কাজ করছে তার কি উচিত না সতর্ক হওয়া এক্ষেত্রে,?

1 Answer

0 votes
ago by (656,550 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

خرجت مع رسول الله - صلى الله عليه وسلم - في بعض أسفاره، وأنا جارية لم أحمل اللحم ولم أبدن، فقال للناس: «تقدموا» فتقدموا ثم قال: «تعالي حتى أسابقك» فسابقته فسبقته، فسكت عني حتى حملت اللحم، وبدنت وسمنت وخرجت معه في بعض أسفاره فقال للناس «تقدموا» ثم قال: «تعالي أسابقك» فسبقني، فجعل يضحك ويقول: «هذه بتلك».
আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে কোন ভ্রমণে বের হলাম, সে সময় আমি অল্প বয়সী ও শারীরিক গঠনের দিক দিয়েও পাতলা ছিলাম, তখনো মোটা তাজা হইনি। তিনি সাহাবীদেরকে বললেন: তোমরা সামনের দিকে অগ্রসর হও। তারা যখন সামনের দিকে অগ্রসর হল, তখন তিনি আমাকে বললেন: “এসো আমরা দৌড় প্রতিযোগিতা করি, অত:পর আমি তাঁর সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হলাম ও আমি তার উপর বিজয় লাভ করলাম। তিনি সে দিন আমাকে কিছুই বললেন না। যখন আমি শারীরিক দিক দিয়ে মোটা হলাম ও ভারী হলাম, ও তাঁর সাথে কোন এক সফরে বের হলাম। তিনি সাহাবীদেরকে বললেন: তোমরা সামনের দিকে অগ্রসর হও। তারা যখন সামনে অগ্রসর হল: তখন তিনি আমাকে বললেন: এসো আমরা দৌড় প্রতিযোগিতা করি, এবারের প্রতিযোগিতায় তিনি আমার আগে চলে গিয়ে হাসতে হাসতে বললেন: আজকের জয় সেই দিনের প্রতিশোধ”।(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৬২৭৭)

দেখুন উক্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাঃ আয়েশা রাযি এর সাথে সবার সামনে দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেননি। 
এটিই আমাদের গায়রত শেখায়।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নের বিবরন মতে ওই মুহুর্তে আপনাকে অবগত করে যাওয়া আপনার স্বামীর জন্য উচিত ছিলো।

তদুপরি স্বামীকে বলবেন,যাতে করে আগামীতে যেনো এমন কিছু আর না হয়।

প্রয়োজনে ট্রেনে যাতায়াত না করে বাসে যাতায়াত করতে পারেন,সেখানে ২ সিট থাকবে,আর এহেন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...