আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ উস্তাযা।আমার এক পরিচিত পারিবারিক সমস্যার জন্য প্রশ্ন করেছে দয়া করে উত্তর দিয়েন উস্তাযা ইংশাআল্লাহ।কিছুদিন আগে যে তার স্বামীর বিষয় স্বপ্ন দেখছে উনি আবার প্রশ্ন লিখে দিছে।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

আমি আমার পার্সোনাল বিষয়ে কিছু কথা বলছি আশা করি কোনো উপায় জানাবেন ইনশা আল্লাহ।

আমার বিয়ে হয়েছে এই জুলাই মাসের ২৭ তারিখ ২০২৫ এ ১০ বছর পূর্ণ হয়েছে। আমার কোনো সন্তান নাই। নেওয়া হয় নী। নিতে দেওয়া হয় নী।
আমার বিয়ে টা ছিল সম্পর্কের বিয়ে। ১৬ সালে বিয়ে হয়েছে তখন আমার বয়স ১৪ বছর। দ্বীন এর বিন্দু মাত্র জ্ঞান ছিল না আমার। পারিবারিক শিক্ষাও সেভাবে পাই নী দ্বীন এর ।

বিয়ের পর থেকেই একটার পর একটা অশান্তি। স্বামীর হাতের মাইর ছিল নিত্য দিনের খাবার রুটিন এর মত। অল্পতেই সে রেগে যেতো। আমারও মুখের দোষ ছিল তর্ক করতাম।

আচ্ছা মূল কথা গুলো বলি।

এত বছর এখনও আমি ঠিক মত সংসার করতে পারছি না। মন বসে না। বা বলতে পারেন শ্বশুর বাড়ি স্বামীর আচরণেও বসে না।
বেশির ভাগ সময় আমি আর সে অনেক টা আলাদা থেকেছি। উনি আমাকে টর্চার করলেই আমি ভয়ে বাবার বাড়ি চলে যেতাম। এভাবেই চলছিল বছর এর পর বছর।
এত কিছুর পরেও আমি থাকি।

টাকার বিষয়ে বলি।

তার অনেক টাকার লোভ। সে সব সময় অনেক টাকা দাবি। ব্যবসা ধার এগুলো করেও প্রায় ৪ লাখ টাকা খুচরা খুচরা করে নিয়েছে। এখনও প্রয়োজন হলেই আমাকে বলে আমার মাকে বলে আমার ভাইকে বলে। দিলে ভালো না দিলেই আমাকে জ্বালায়। তারপর তাদের ঘর উঠানে সেই টাকাও আমার বাবার বাড়ি থেকে আনতে বলে।

হোক আদায়।

সে আমার তেমন কোনো হোক আদায় করেন না। সে হোক বলতে ৩ বেলা খাওয়াকে বলে। আমার কিছু প্রয়োজন হলে সে দেয় না। বলে তোর মা আছে না? তারপর ফোন এর ব্যালেন্স এমবি পড়াশোনা কিছুই সে বহন এখন অব্দি করেন না। (পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছি)।

এক টা ড্রেস অব্দি কিনে দেন না। আমি অনেক কষ্ট করে চলি।

 মেইলি সমস্যা(চরিত্র)

বিয়ের পর থেকে এখন অব্দি আমার দেখা অনেক মেয়েদের সাথে কথা বলেছেন। দেখাও করেছেন। এক মেয়েকে নিয়ে কুয়াকাটাও গিয়েছেন। সেই মেয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে। এবং আমার স্বামী নিজেই শিকার করেছেন। এটা সম্ভবত ১৭,১৮ সালের কাহিনী আমার মনে নাই। এখনও সে হয়তো মেয়েদের সাথে কথা বলে। যদিও চোখে দেখি নী। তবে স্ত্রী হিসেবে বুঝি একটু হলেও।

মেয়েদের প্রতি দুর্বল।

পর্ণ /মাস্টারবেশন

সে প্রচুর পরিমাণে পর্ন আসক্ত। সে মাস্টারবেশন করে। আজকে ৯-৮-২৫ দুপর এ এই কাজ করেছে। বিষয়টি আমার খুব খারাপ লেগেছে। আমি তাকে এটা জিজ্ঞেস করায় আমাকে গালী দিয়েছে। আমি থাকা অবস্থায় সে এইসব করে এটা কেমন বলেন?

আমার পরিবারের সাথে আচরণ;

সে আমার পরিবারের কারোর সাথে মিলেমিশে থাকতে পারে না । বা যতটুকু সম্মান দেওয়ার সেটাও দেয় না। যেহেতু আমার বাবার বাড়ি আর তার বাড়ি ২ মিনিটের পথ পাশাপাশি । তাই আমাদের ওই বাড়িতে কি হয় না হয় সব সে জানে আমাদের গুলো তারা জানেন। এইসব নিয়ে প্রায় কথা বলেন।

জুয়া

সে অনেক বেশি পরিমাণ এ ফোন এ জুয়া খেলেন। লাখ লাখ টাকা এইসব এর পিছনে নষ্ট করেছেন।

শুনেছি অফলাইন এ খেলে।।

সে একটা বাজে নেশাও মাঝে মাঝে করে। যেটা একটা পুরুষের জন্য অনেক ক্ষতিকর । আমি সব কিছুতে তাকে বুঝায়। কিন্তু বেশি কথা বলতে গেলে এক দুই কোথায় গায়ে হাত তুলবে সেই ভয়ে এখন আর কথা বলি না।

বাজে মানুষের সাথে চলা ফেরা
আমাদের মাঝে এমন অনেক হয়েছে সম্পর্ক ছাড়াছাড়ির পর্যায়ে চলে গেছে।
আবার
সে রাজনীতি করে। বিএনপি করে সারাদিন ওইদিন এর পিছে ধৌরায়।
উনাকে অনেক কিছু ই বুঝিয়েছি দ্বীনের ব্যপারে উনি উল্টো আমাকে বকা দেয়।

স্বপ্ন

এত সমস্যা মাঝে একদিন একটা স্বপ্ন দেখেছি। একটা সাপ কে আমি ধারালো এক তরওয়ারি দিয়ে 3 টুকরা করেছি। তারপর দেখলাম আমি একটা মসজিদে গেলাম সেখানে অনেক মুসল্লি।

এটা কেনো দেখলাম এর ব্যাখ্যাটাও একটু বলবেন ইনশাআল্লাহ।
বাবার বাড়ি।

তারাও তেমন সুবিধার না। আসলে আমার একুল অকূল দুই কুল সব এক মাঝে আমি নদীতে ভাসি। আমার কি করা দরকার আমি বুঝি না।
এভাবে থেকে আমার দ্বীন দুনিয়া সব শেষ হচ্ছে।

আমি বর্তমান এ শ্বশুর বাড়িতে আছি। তার কাছে আমার মা অনেক টাকা পায় সেটা তো বললাম এক আমার আগেও ২০ হাজার ধার নিলো। এখন মায়ের টাকা দরকার বললাম যে মা টাকা চাইছে কিছু টাকা দিয়েন কিন্তু তার কোনো সাড়াশব্দ নেই।
তার এইসব আচার আচরণে আমার আসলে ভালো লাগে না। আমার মনে চায় আমি কোথাও একা চলে যায়। বা কোনো মাদ্রাসায় যেয়ে নিজেও শিখি অন্যদের শিখাই।

কারণ এখানে আমার দ্বীন পালন হচ্ছে না।

আরোও অনেক কথা আছে আমি গুছিয়ে লিখতেই পারছি না। বুঝিয়ে বলতে পারছি না। আমি কিছু টাকা ঋণ আছি এগুলো আমি কিভাবে দিব বলেন?

একটা মেয়েকে তার স্বামী কিছু হাত খরচ দিলে সেটা জমিয়ে একটা মেয়ে কিছু করে। আমার সেই ভাগ্য টাও নাই।
আমার স্বামী ,শাশুরি বলে ঘরে আয় বরকত নাই। আয় বরকত কিভাবে থাকবে ? এভাবে গোপন গুনাহে লিপ্ত থাকলে?

একদিন আমার স্বামীকে বলছি আপনি এইসব ছাড়েন দেখবেন এ বরকত পাবেন। সে বলে ঘরের বউয়ের জন্য আয় বরকত কমে । আমি আসলে ক্লান্ত। মাঝে মাঝে মরার চিন্তা আসে।

আমাকে একটা সাজেশন দিন কি করবো আমি?

আমি তার জন্য সব সময় দুআ কবুলের মুহূর্তে সব সময় দুআ করি তাতেও সে ঠিক হয় নাই। আমি জানি না আমি কি করব আমাকে সাহায্য করুন। আমার বয়স বাড়তেছে । একটা বাচ্চা নাই। এভাবে আর কত দিন?

আমার আসলে মন টিকে না এভাবে। মনে চায় ছেড়ে চলে যাই। কিন্তু একটা মেয়ে মানুষ আমি কই যাবো কি করবো? বাবার বাড়ির মানুষ গুলো ও তেমন না যে তাদের কাছে থাকবো। আমি আসলে ভালো পথ চাই। দুনিয়ায় থেকেই আখেরাত গুছাইতে চায়। কিন্তু এভাবে আমি কিছুই করতে পারি না। আমাকে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করুন মিন ফাদ্বলিক

1 Answer

0 votes
ago by (656,550 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ   

اَلرِّجَالُ قَوّٰمُوۡنَ عَلَی النِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ اللّٰہُ بَعۡضَہُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ وَّ بِمَاۤ اَنۡفَقُوۡا مِنۡ اَمۡوَالِہِمۡ ؕ فَالصّٰلِحٰتُ قٰنِتٰتٌ حٰفِظٰتٌ لِّلۡغَیۡبِ بِمَا حَفِظَ اللّٰہُ ؕ وَ الّٰتِیۡ تَخَافُوۡنَ نُشُوۡزَہُنَّ فَعِظُوۡہُنَّ وَ اہۡجُرُوۡہُنَّ فِی الۡمَضَاجِعِ وَ اضۡرِبُوۡہُنَّ ۚ فَاِنۡ اَطَعۡنَکُمۡ فَلَا تَبۡغُوۡا عَلَیۡہِنَّ سَبِیۡلًا ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیًّا کَبِیۡرًا ﴿۳۴﴾

পুরুষেরা নারীদের অভিভাবক, ঐ (বিশেষত্বের) কারণে, যার দ্বারা আল্লাহ তাদের কাউকে কারো উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং ঐ সম্পদের কারণে, যা তারা ব্যয় করেছে। সুতরাং সৎ নারীরা হল অনুগত, (স্বামীর) অবর্তমানে (নিজের সতিত্ব ও স্বামীর সম্পদ) রক্ষাকারী, আল্লাহ রক্ষা করার কারণে ... -সূরা নিসা : ৩৪

এই আয়াতে ‘পুরুষের ব্যয়কৃত সম্পদ’ মানে স্ত্রীর মোহরানা, খোরপোষ ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ, কুরআন ও সুন্নাহর বিধান অনুযায়ী যা বহন করা অবশ্যকর্তব্য। এ আয়াত প্রমাণ করে, স্ত্রীর নাফাকা ও খোরপোষ স্বামীর উপর ফরয। -তাফসীর ইবনে কাছীর ১/৪৯২; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ২/১৮৮

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَّرَ وَوَعَظَ فَذَكَرَ فِي الْحَدِيثِ قِصَّةً فَقَالَ " أَلاَ وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا… أَلاَ وَحَقُّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ فِي كِسْوَتِهِنَّ وَطَعَامِهِنَّ " .

সুলাইমান ইবনু আমর ইবনুল আহওয়াস (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
বিদায় হজ্জের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন। তিনি আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা ও গুণগান করলেন এবং ওয়াজ-নাসীহাত করলেন। এ হাদীসের মধ্যে বর্ণনাকারী একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ স্ত্রীদের সাথে ভালো আচরণের উপদেশ নাও। ... জেনে রাখ! তোমাদের প্রতি তাদের অধিকার এই যে, তোমরা তাদের উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদ ও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে। (সুনানে তিরমিযী ১১৬৩)

স্বামীর ওপর স্ত্রীর হকসমূহ

১. স্ত্রীর সাথে সর্বদা ভালো আচরণ করা।

২. স্ত্রীর কোনো কথায় বা কাজে কষ্ট পেলে ধৈর্য্য ধারণ করা।

৩. উচ্ছৃঙ্খল, বেপর্দা চলাফেরা করতে থাকলে নম্র ভাষায় তাকে বোঝানো।

৪. সামান্য বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া-বিবাদ না করা। কথায় কথায় ধমক না দেওয়া। রাগ না করা।

৫. স্ত্রীর আত্মমর্যাদায় আঘাত করে এমন বিষয়ে সংযত থাকা। শুধু শুধু স্ত্রীর প্রতি কুধারণা না করা। স্ত্রীর সম্পর্কে উদাসীন না থাকা।

৬. সামর্থ্যানুযায়ী স্ত্রীর খোরপোষ দেওয়া। অপচয় না করা।

৭. নামায পড়া এবং দ্বীনের আহকাম মেনে চলার জন্য উৎসাহ দিতে থাকা। হায়েয-নেফাসের মাসআলাগুলো ভালোভাবে শিক্ষা দেওয়া। শরীয়ত পরিপন্থী কাজ থেকে বিরত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা।

৮. একাধিক স্ত্রী থাকলে তাদের মাঝে সমতা রক্ষা করা।

৯. চাহিদানুযায়ী তাদের সাথে মেলামেশা করা।

১০. অনুমতি ব্যতীত আযল অর্থাৎ মেলামেশার সময় শেষ মুহূর্তে স্বাভাবিক স্থান ত্যাগ না করা।

১১. একান্ত নিরুপায় না হলে তালাক না দেওয়া এবং প্রয়োজনের ক্ষেত্রে শরীয়ত-গৃহীত পন্থায় তালাক দেওয়া।

১২. প্রয়োজন মাফিক থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা।

১৩. মাঝে মাঝে স্ত্রীর নিকটাত্মীয়দের সাথে দেখা-সাক্ষাত করার সুযোগ করে দেওয়া।


https://www.ifatwa.info/93970/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে,
স্বামীর উপর ওয়াজিব যে,সে তার স্ত্রীর ভরণপোষণ করবে।
الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنْفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ
পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে।(সূরা নিসা-৩৪)

لِيُنْفِقْ ذُو سَعَةٍ مِنْ سَعَتِهِ وَمَنْ قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ فَلْيُنْفِقْ مِمَّا آتَاهُ اللَّهُ لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا مَا آتَاهَا
বিত্তশালী ব্যক্তি তার বিত্ত অনুযায়ী ব্যয় করবে। যে ব্যক্তি সীমিত পরিমাণে রিযিকপ্রাপ্ত, সে আল্লাহ যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় করবে।(সূরা তালাক-৭)

হাকীম ইবনু মু‘আবিয়াহ আল-কুশাইরী (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত।
وعَنْ مُعَاوِيَةَ الْقُشَيْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : " قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَقُّ زَوْجَةِ أَحَدِنَا عَلَيْهِ ؟ قَالَ : ( أَنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طَعِمْتَ ، وَتَكْسُوَهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ ، وَلَا تَضْرِبْ الْوَجْهَ ، وَلَا تُقَبِّحْ ، وَلَا تَهْجُرْ إِلَّا فِي الْبَيْتِ) 
 তিনি বলেন, একদা আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কারো উপর তার স্ত্রীর কি হক রয়েছে? তিনি বললেনঃ তুমি যখন আহার করবে তাকেও আহার করাবে। তুমি পোশাক পরিধান করলে তাকেও পোশাক দিবে। তার মুখমন্ডলে মারবে না, তাকে গালমন্দ করবে না এবং পৃথক রাখতে হলে ঘরের মধ্যেই রাখবে।(আবু দাউদ-২১৪২,ইবনে মা'জা-১৮৫০)

★স্বামী তার স্ত্রীর ভরণপোষণ আদায় না করলে এবং স্ত্রীকে সঙ্গ না দিলে,স্ত্রী যদি কাযী সাহেবের নিকট বিচার দায়ের করে,তাহলে কাযী সাহেব উক্ত বিবাহকে ভঙ্গ করে দেয়ার অধিকার রাখেন।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল-৩/১০০) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/5139

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার স্বামী আপনার উপর এবং আপনার পরিবারের উপর অনেক মারাত্মক অন্যায় করেছেন।

দৈনন্দিন জীবন যাপনের জন্য যে সমস্ত জিনিষের প্রয়োজন, সেগুলো স্ত্রীকে প্রদান করা স্বামীর উপর ওয়াজিব। 

আপনি স্বামীকে ভালবাসুন। তার সমস্ত চাওয়া পাওয়াকে আন্তরিকতার সাথে পূরণ করুন। তাকে নরম ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করুন। এবং আল্লাহর কাছে দু'আ করুন। আল্লাহ আপনার স্বামীকে হেদায়ত দান করুক।

এতেও কাজ না হলে সেক্ষেত্রে উভয় পরিবারের মুরব্বিদের মাধ্যমে মিটিং করে স্বামীকে বুঝাতে পারেন, বুঝানোর পরেও কাজ না হলে সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।

আরো জানুনঃ- 

তাতেও কাজ না হলে সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে বিবাহ বিচ্ছেদের দিলে যেতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...