আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
ago in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited ago by
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।আপনার এই উত্তরটা লাইফটা সহজ করে দিতে পারে আর সংসারটা। খুব বেশি পেরেশানিতে।শুধু এতটুকু জানতে চাওয়া ঈমান ও বিয়ে ঠিক আছে কিনা। দয়া করে একটু জানাবেন। এসব নিয়ে চিন্তিত খুব পেরেশানিতে।এই সাইট ছাড়া আমার কোন বিজ্ঞ হুজুর বা মুফতি নেই জানার মত।এটাই আমার শেষ প্রশ্ন করা জানার জন্য।

১......https://ifatwa.info/124469/ এ বিয়ের পরে বা আগে জানলেও তার ঈমান আর বিয়ে কি ঠিক আছে?হুজুর  দয়া করে বলুন স্বামীর সাথে ভয়ে কথাও বলা যাচ্ছে না।টেনশনে আর ভয়ে।খুব খুব বেশি ভয় আর টেনশনে।। ।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।

এসব পড়ার পর আরো কয়েক বছর/ দেড় বছর পর বিয়ে হয়। এতদিন নামাজ কালাম পড়েছে বিয়ের আগে।কালেমাও পড়ে থাকবে মানে কালেমায়ে তয়েবা ।কিন্তু উচ্চারণ করে পড়েছে কিনা জানে না।কালেমা একজন মুসলিম পড়ে প্রায় সময়।কিন্তু এমনিতে সাওয়াবের আশায় পড়ে থাকবে।কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করেছে কিনা জানে না।কারণ ইমান চলে যেতে পারে এসব জানা না থাকলে।
।।

২.........কারও বিয়ের আগে অজান্তে ঈমান চলে গেলে বা ঈমান আছে কিনা জানে না সে বিয়ে করল।বিয়ের কয়েকবছর পর জানতে পারে কিছু মনের অজান্তে কুফরি হয়ে গিয়েছিল।সে আসলেই জানত না এসব সেসব ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক।ইসলামের সাথে তুলনা করে কোনদিন হয়ত ভাবেও নি। যেমনঃ ডারউইনের এসব মতবাদ, বা ছোট বেলার আরো কিছু কুফরি মনোভাব,না বালেক অবস্হায় সহপাঠীদের থেকে শুনত আর ভাবত  মানুষ আগে বানর ছিল সেটা নিয়ে বড় হয়ে কেমন বিশ্বাস ছিল না জানা ইত্যাদি ইত্যাদি।  । হয়ত বিয়ের আগে কালেমা পড়ে থাকবে। নামাজ দোয়া পড়ত। কালেমা  পড়ে থাকলেও  এর পর মানে বিয়ের আগে উচ্চারণ করে পড়েছিল কিনাও না জানে।এমনিতে মুসলিমরা কালেমায়ে তয়েবা পড়ে এমন পড়লে।কালেমায়ে শাহাদাত পড়েছিল কিনা জানা না থাকে।তাহলে কি তার বিয়ে বৈধ হবে?

৩. কোন ব্যাক্তি ঈমান ভংগের কাজ না করে শুধু  সন্দেহের উপর ভিত্তি করে প্রশ্ন আপনাদের জিজ্ঞেস করা বা জানার জন্য প্রশ্ন করে থাকে তাহলে কি ঈমান চলে যাবে? ঈমান ভাংগার মিথ্যা শিকারোক্তি হবে কি?জানার জন্য বা সন্দেহ নিয়ে নিজের প্রশ্ন নিজে করলে?

1 Answer

0 votes
ago by (654,870 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...