★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
★তাযয়ীন (Tazeen / تزيين) শব্দের অর্থ:
শোভা, সৌন্দর্য বা অলংকরণ।
সজ্জা / সাজসজ্জা
এটি এমন কিছুকে বোঝায় যা সুন্দরভাবে সাজানো বা অলংকৃত হয়েছে।
আভিজাত্য ও রুচিশীলতা
রূপক অর্থে, কারও ভেতরের বা বাহ্যিক সৌন্দর্য, রুচি ও শালীনতার দিক বোঝাতেও এটি ব্যবহৃত হয়।
তাযিউন শব্দটি আরবি تزيين (তাযইয়ীন) থেকে এসেছে, যার অর্থ অলংকরণ, সাজসজ্জা করা, সৌন্দর্যমণ্ডিত করা।
ইসলামি সাহিত্য বা নামের ক্ষেত্রে এটি সাধারণত ইতিবাচক অর্থ বহন করে, যেমন নৈতিক ও আধ্যাত্মিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা।
★নুসাইবা নামের অর্থ উপযুক্ত, ভদ্রমহিলা বা আভিজাত্য।
"নুসাইবা" নামটি এমন একজন মহিলাকে বোঝায় যিনি সম্মানিত, মর্যাদাবান ও সাহসী।
উজ্জ্বল ও সুবিন্যস্ত বংশের নারী
নামটি উত্কৃষ্ট বংশ / সুপরিচিত গোত্র থেকে আগত একজন মহিলার পরিচায়ক হিসেবেও ব্যবহৃত হত।
এ নামের অর্থ: যার বংশ পরিচয় উত্তম, সম্মানিত নারী, উচ্চ মর্যাদার অধিকারিণী।
ব্যুৎপত্তি: এটি নুসাইব শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ রূপ, যেখানে মূল অর্থ হলো “ভালো গোত্র বা পরিবারে জন্ম নেওয়া”।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: ইসলামের ইতিহাসে বিখ্যাত সাহাবিয়া নুসাইবা বিনতে কা‘ব আল-মাযনিয়া (رضي الله عنها) ছিলেন উহুদের যুদ্ধে সাহসিকতার জন্য প্রসিদ্ধ। তিনি নবী মুহাম্মদ ﷺ-এর সাহচর্যে যুদ্ধক্ষেত্রে অংশ নিয়েছিলেন এবং মুসলিম নারীদের মধ্যে সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ নারী সাহাবিয়া নুসাইবা বিনতে কাব (رضي الله عنها) তিনি ছিলেন ইসলামের ইতিহাসে এক মহান নারী সাহাবি।
তিনি ছিলেন একজন যোদ্ধা ও রক্ষাকারী, যিনি উহুদের যুদ্ধে অংশ নেন এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে রক্ষা করেন।
তাঁকে বলা হয়: "মুহাম্মদের রক্ষাকারী" (The defender of Muhammad ﷺ)।
(কিছু তথ্য সংগৃহীত।)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত নামটি ভালো,আলহামদুলিল্লাহ।
আপনি এ নামটি রাখতে পারেন।
তবে দুটি পদ্ধতির যেকোন এক পদ্ধতিতে নামটি রাখবেন।
- Tajiun Nusaiba (তাজিউন নুসাইবা)
- Tajiun Nusaiba Binte Abdul Kuddus
মেয়ের নামে শুধু কুদ্দুছ যোগ হবেনা,বরং আবদুল কুদ্দুছ যোগ করতে হবে।
খেজুর দিয়ে তাহনিক করানো উত্তম। যদি খেজুর না থাকে তাহলে মধু দেওয়া যাবে।
তাহনিক করানো সুন্নাহ, অর্থাৎ নবজাতকের মুখে খেজুর চিবিয়ে নরম করে দেওয়া। খেজুর না থাকলে মিষ্টি দ্রব্যের মধ্যে মধু দেওয়া উত্তম। (সহিহ বুখারি, ২/৮২১)
হজরত আবু মুসা আশআরি রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার একটি ছেলে জন্ম নিল, আমি তাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে নিয়ে এলাম, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার নাম রাখেন ইবরাহীম এবং তাকে তাহনীক করান খেজুর দিয়ে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস, ৫৭৩৯, মুসন্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস, -২৩৯৪৮)
আপনি নিজে যদি তাহনিক করান,সেক্ষেত্রে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেনঃ-
প্রথমে খেজুর প্রস্তুত করা:
পাকা ও নরম খেজুর নিতে হবে।
যদি শক্ত হয়, তবে ভালোভাবে চিবিয়ে বা মিহি করে নরম করতে হবে।
খেজুর না থাকলে মধু বা অন্য মিষ্টি খাবার ব্যবহার করা যেতে পারে (তবে খেজুরই উত্তম)।
★নরম করা খেজুর আঙুলের ডগায় নিয়ে শিশুর মুখের তালুতে (উপরের ভেতরের অংশে) হালকাভাবে ঘষে দেওয়া হবে।
খুব অল্প পরিমাণ দেওয়া হবে যাতে শিশু সহজে গিলতে পারে।
শিশুর জন্মের পর যত দ্রুত সম্ভব করা ভালো।
অনেক সময় এটি আযানের আগে বা পরে করা হয়, তবে তাহনিকের জন্য আযান দেওয়া শর্ত নয়।
তাহনিকের পর শিশুর জন্য কল্যাণ, ঈমান, দীর্ঘ জীবন ও নেককার হওয়ার দোয়া করা সুন্নাহ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
আসবা বিনতে আবি বকর (রাঃ) বলেন:
"আমি আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রাঃ)-কে জন্ম দেওয়ার পর তাকে নবী ﷺ-এর কাছে নিয়ে গেলাম। তিনি খেজুর চাইলেন, চিবিয়ে তার মুখে দিলেন এবং শিশুর জন্য দোয়া করলেন।"
(সহীহ বুখারী: ৫৪৬৭)