জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَلَا يَحْسَبَنَّ الَّذِينَ يَبْخَلُونَ بِمَا آتَاهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضْلِهِ هُوَ خَيْرًا لَّهُمۖ بَلْ هُوَ شَرٌّ لَّهُمْۖ سَيُطَوَّقُونَ مَا بَخِلُوا۟ بِهِۦ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِۗ وَلِلَّهِ مِيرَٰثُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ
অর্থ:
“যারা আল্লাহ তাদের অনুগ্রহ থেকে যা দিয়েছেন তাতে কৃপণতা করে, তারা যেন মনে না করে এটি তাদের জন্য ভালো; বরং এটি তাদের জন্য মন্দ। কিয়ামতের দিনে তারা যা নিয়ে কৃপণতা করেছিল তা তাদের গলায় বেঁধে দেওয়া হবে। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর উত্তরাধিকার আল্লাহরই, আর আল্লাহ তোমরা যা কর তা অবগত আছেন।”
(সূরা আলে ইমরান, ৩:১৮০)
হাদিস শরীফে এসেছেঃ-
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন—
> إِيَّاكُمْ وَالشُّحَّ، فَإِنَّهُ أَهْلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ، أَمَرَهُمْ بِالْبُخْلِ فَبَخِلُوا، وَأَمَرَهُمْ بِالْقَطِيعَةِ فَقَطَعُوا، وَأَمَرَهُمْ بِالْفُجُورِ فَفَجَرُوا
অর্থ:
“তোমরা শূহ্ (তীব্র কৃপণতা) থেকে সাবধান থাকো, কারণ এটি তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ধ্বংস করে দিয়েছে—এটি তাদের কৃপণ হতে আদেশ করেছিল, তারা কৃপণ হয়েছিল; তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলেছিল, তারা সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল; এবং তাদের পাপ কাজে প্ররোচিত করেছিল, তারা পাপ করেছিল।”
(সহিহ মুসলিম, হাদিস ২৫৭৮)
কৃপন অর্থ এমন ব্যক্তি, যে আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামত সঠিকভাবে ব্যয় করে না এবং প্রয়োজনীয় জায়গায় দান-খয়রাত বা সাহায্যে কৃপণতা করে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে যাদের মাসিক ইনকাম ১০ - ২০হাজার, তারা যদি ১- ২ হাজার টাকা নফল দান করে,যাকাত ও কুরবানী আবশ্যক হয়ে থাকলে তাহা আদায় করে,তাহলে তারা ইসলামের পরিভাষায় কৃপন হবেনা।
(০২)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।
আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।