বিয়ে বিষয়ক!!

Question

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
১)বিয়ের নিয়ত কি হওয়া দরকার?

যেমন আমি বিয়ে করতে চাই একাকিত্ব দূর করতে,চরিত্র হেফাযত করতে, ভালোবাসা পেতে(কারণ আমার মা বাবা সঠিক ভালোবাসা আমাকে দিতে পারে নাই..পড়াশোনার খবরই নিয়ে গেছে & ঐ অনুযায়ী আচরণ), একজন ভালো শশুর শাশুরী পেতে কারণ মা বাবার পার্ফেক্ট ভালোবাসা আমি পাই নি,পাচ্ছিনা, টাকার জন্য কারণ বাসা থেকে টাকা নিতে ভালো লাগেনা, পরিবার দ্বীনি না,তাই দ্বীনি কাউকে বিয়ে করলে দ্বীন পালন সহজ হবে

এরকম নিয়ত উচিত বিয়ের জন্য?

২)বিয়ের জন্য আমি রাজি & বাসায় আমি বলে বলে রাজি করিয়েছি। আমার বেশ কষ্ট হচ্ছে ওয়েট করতে তবে আল্লাহর প্ল্যানের জন্য সবরের সাথে দুআ করে যাচ্ছি।ভেতরে এত কষ্ট লাগে মাঝে মাঝে,অনেক কান্না করে দুআ করি।

বিয়ের জন্য কি কি করতে পারি?

তাহাজ্জুদ শুরু করলাম, দুআ করি সবসময়,সূরা ফুরকানের ৭৪নং আয়াত পড়ি

Answer 1

জবাবঃ-

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

‘আলক্বামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। 

عن علقمة، قال: كنت مع عبد الله، فلقيه عثمان بمنى، فقال: يا أبا عبد الرحمن إن لي إليك حاجة فخلوا، فقال عثمان: هل لك يا أبا عبد الرحمن في أن نزوجك بكرا، تذكرك ما كنت تعهد؟ فلما رأى عبد الله أن ليس له حاجة إلى هذا أشار إلي، فقال: يا علقمة، فانتهيت إليه وهو يقول: أما لئن قلت ذلك، لقد قال لنا النبي صلى الله عليه وسلم: «يا معشر الشبابمن استطاع منكم الباءة فليتزوج، ومن لم يستطع فعليه بالصوم فإنه له وجاء»

তিনি বলেন, যখন আমি ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম, ‘উসমান (রাঃ) তাঁর সঙ্গে মিনাতে দেখা করে বলেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আপনার সাথে আমার কিছু দরকার আছে। অতঃপর তারা দু’জনে এক পাশে গেলেন। তারপর ‘উসমান (রাঃ) বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমি কি আপনার সঙ্গে এমন একটি কুমারী মেয়ের বিয়ে দিব, যে আপনাকে আপনার অতীত কালকে স্মরণ করিয়ে দিবে? ‘আবদুল্লাহ্ যখন দেখলেন, তার এ বিয়ের দরকার নেই তখন তিনি আমাকে ‘হে ‘আলক্বামাহ’ বলে ইঙ্গিত করলেন। আমি তাঁর কাছে গিয়ে বলতে শুনলাম, আপনি আমাকে এ কথা বলছেন (এ ব্যাপারে) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ‘সওম’ পালন করে। কেননা, সওম যৌন ক্ষমতাকে দমন করে।(সহীহ বোখারী-৫০৬৫)

ইসলামী শরীয়তে বিয়ে করার নিয়ত হতে হবে হালাল ও পবিত্র উদ্দেশ্যে—

এক, নিজেকে হারাম থেকে বাঁচানো – যেন ব্যভিচার, পরকীয়া বা অন্য কোনো গুনাহে না পড়ি।

দুই, ইমান রক্ষা ও দ্বীন পালন সহজ করা – বিবাহিত জীবন মানুষকে অনেক ক্ষেত্রে ঈমান রক্ষা করতে সহায়তা করে।

তিন, সন্তানাদির মাধ্যমে উম্মাহ বৃদ্ধি করা – নেক সন্তান জন্ম দিয়ে আল্লাহর ইবাদতকারী প্রজন্ম তৈরি করার ইচ্ছা রাখা।

চার, জীবনের সঙ্গী নিয়ে শান্তি ও প্রশান্তি লাভ করা – কুরআনে বলা হয়েছে:

 “তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে—তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই জীবনসঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও, এবং তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া স্থাপন করেছেন।” (সূরা রূম ৩০:২১)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,

বিবাহের ক্ষেত্রে আপনি এরকম নিয়ত পোষণ করতে পারবেন,এটি নাজায়েজ নয়।

তবে এক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত নিয়ত গুলিকে সামনে রেখে আপনার কিছু নিয়তের ক্ষেত্রে পরিবর্তন নিয়ে আসার পরামর্শ থাকবে।

(০২)

এক্ষেত্রে আপনার বাবাকে দ্রুততার সহিত আপনাকে বিবাহ দিতে রাজী করাতে আপনার নানী,খালা,ফুফু দের সহায়তা নিতে পারেন।

প্রত্যহ তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে দ্রুত বিবাহের জন্য দোয়া করবেন। ঈমান আমলের উপর অটল অবিচল থাকার জন্য দোয়া করবেন।

এক্ষেত্রে দ্রুত বিবাহের আমল গুলি করার পরামর্শ থাকবে। 

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

https://ifatwa.info/73602/

https://ifatwa.info/5833/

https://ifatwa.info/5258/