ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বোবা ধরা বা অদৃশ্য শারিরীক সম্পর্ক মূলত খারাপ জ্বীন থেকেই হয়ে থাকে। এগুলো খারাপ জ্বীনের প্রভাব।
وَمَن يَعْشُ عَن ذِكْرِ الرَّحْمَـٰنِ نُقَيِّضْ لَهُ شَيْطَانًا فَهُوَ لَهُ قَرِينٌ
যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্যে এক শয়তান নিয়োজিত করে দেই, অতঃপর সে-ই হয় তার সঙ্গী। (সূরা যুখরুফ-৩৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফরয ইবাদতগুলি আদায়ের পাশাপাশি নিম্নোক্ত মাসনুন আমলগুলি যত্নসহকারে করলে বোবা ধরার সমস্যা ইনশাআল্লাহ দূর হয়ে যাবে।
১. অযু করে ডানকাতে ঘুমাবেন। উপুর হয়ে ঘুমাবেন না।
২. শোয়ার পূর্বে আউযুবিল্লাহ পড়ে কাপড় বা ঝাড়ু দিয়ে বিছানা ভালোমত ঝেড়ে নিবেন।
৩. আয়াতুল কুরসি, সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়বেন।
৪. সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস পড়ে হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে পুরো শরীরে হাত বুলিয়ে নিবেন। এভাবে ৩ বার করবেন। মানে প্রতিটা সুরা একবার করে পড়ে হাতে ফুঁ দিয়ে পুরো শরীরে হাত বুলিয়ে নিবেন। তারপর আরো দুইবার এভাবে করবেন। মোট তিনবার।
৫. ঘুমানোর আগের দোয়া পড়া। (اَللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا)
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনারই নামে মরে যাই আবার আপনারই নামে জীবন লাভ করি।’
৬. ঘুম থেকে উঠে দোয়া পড়া। (الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ)
অর্থ : ‘সব প্রশংসা ঐ আল্লাহর জন্য, যিনি মৃত্যুর পর আমাদের জীবন দান করেছেন এবং তার দিকেই আমাদের পুনরুত্থান।’