জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মানুষের সাথে মৎসকণ্যার বিবাহ জায়েজ নেই।
কুরআন কারীমে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
واﷲ جعل لکم من انفسکم ازواجا
আল্লাহ তায়ালা তোমাদের নফস (শরীর)থেকেই তোমাদের স্ত্রী (জোড়া) সৃষ্টি করেছেন।
,
في الأشباہ عن السراجیة: لا تجوز المناکحة بین بني آدم والجن وإنسان الماء لاختلاف الجنس الخ․
মানুষ আর জিন,পানির মানুষ (মৎসকণ্যার) মাঝে বিবাহ জায়েজ নেই।
জিনস আলাদা হওয়ার কারনে।
فخرج الذکر والخنثی المشکل الخ والجنیۃ وانسان الماء لاختلاف الجنس واجاز الحسن نکاح الجنیۃ بشہود (درمختار) لاختلاف الجنس لان قولہ تعالی واﷲ جعل لکم من انفسکم ازواجا بین المراد من قولہ تعالیٰ فانکحوا ماطاب لکم من النساء وہو الا نثی من بنات ادم فلا یثبت حل غیر ہا بلا دلیل ولان الجن یتشکلون بصور شتی فقد یکون ذکرا تشکل بشکل انثی الخ قولہ اجاز الحسن ای البصری ؓ کما فی البحر (ردالمحتار کتاب النکاح ص ۳۵۶ ج ۲۔ط۔س۔ج۳ص۵) ظفیرمفتاحی
যার সারমর্ম হলো পুরুষের জন্য পুরুষ, প্রকৃত হিজড়া,খুনছায়ে মুশকিলাহ,জিন,পানির মানুষ (মৎসকণ্যা) কে বিবাহ করা জায়েজ নেই,,,,।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মজীদে বিবাহ ও তালাকের বিধান বর্ণনা করার পর ইরশাদ করেছেন-
تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا وَمَنْ يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ
(তরজমা) এ সবই আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা। সুতরাং তোমরা তা লঙ্ঘন করো না। যারা আল্লাহর সীমা লঙ্ঘন করে তারা বড়ই জালিম।-সূরা বাকারা (২) : ২২৯
تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ * وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُ يُدْخِلْهُ نَارًا خَالِدًا فِيهَا وَلَهُ عَذَابٌ مُهِينٌ
এসব আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে তিনি তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন। যার তলদেশে নহর প্রবাহিত হবে। সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। আর এটাই মহাসাফল্য।
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য হবে এবং তাঁর নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করবে তিনি তাকে জাহান্নামে দাখিল করবেন। যাতে সে চিরস্থায়ী থাকবে এবং তার জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।-সূরা নিসা (৪) : ১৩-১৪
,
(০২)
শারীরিক সম্পর্ক করা সম্ভব হলেও বিবাহ জায়েজ নেই।
,
(০৩)
মৎসকণ্যার বলা হয়ঃ যাদের অর্ধেক দেহ মাছ আর অর্ধেক দেহ মানুষ,তারা পানিতেই বসবাস করে।
মানুষের উপর যেসব শরঈ বিধিবিধান প্রযোজ্য হয় সেগুলা তাদের উপর আরোপিত হবেনা।
,
(০৪)
তাদের সাথে বিভাহের ফলে সন্তান হলে সে কি মায়ের মতো হবে নাকি বাপের মতো হবে,এই ব্যাপারে কোনো তথ্য পাইনি।