আমোদ-প্রমোদ, বিনোদন ও অবকাশ যাপনের উদ্দেশ্যে নোংরা ও অশ্লীল-পরিবেশে ভ্রমণ করা জায়েয নেই। কেননা, মুমিন গুনাহর পরিবেশ থেকে নিজেকে দূরে রাখার ব্যাপারে আদিষ্ট।
যেসব উদ্দেশ্যে ভ্রমন জায়েজ,তার মধ্যে আছেঃ
শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ। যেমন, এ মর্মে আল্লাহ তাআলা বলেন,
قُلْ سِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَانظُرُوا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُجْرِمِينَ
বলুন, পৃথিবী পরিভ্রমণ কর এবং দেখ অপরাধীদের পরিণতি কি হয়েছে। (সূরা নামল ৬৯)
আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি সম্পর্কে যে বিবরণ দিয়েছেন তা অবলোকন করে ঈমান ও আমলকে মজবুত করাএবং দৈহিক ও মানসিক প্রশান্তি লাভ করার উদ্দেশ্যে ভ্রমণ। আল্লাহ তাআলা বলেন,
قُلْ سِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَانظُرُوا كَيْفَ بَدَأَ الْخَلْقَ ثُمَّ اللَّهُ يُنشِئُ النَّشْأَةَ الْآخِرَةَ إِنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
বলুন, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ, কিভাবে তিনি সৃষ্টিকর্ম শুরু করেছেন। অতঃপর আল্লাহ পুর্নবার সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম। (সূরা আনকাবুত ২০)
★★এটা কারো অজানা নয় যে, বর্তমানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো প্রকাশ্য অশ্লীলতা, অবাধ শরীর প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা, নেশাখোরদের আড্ডাসহ বিভিন্ন নোংরা ও বিব্রতকর পরিবেশ দ্বারা ভরপুর। সুতরাং সন্দেহ নেই, এধরণের পর্যটন কেন্দ্রগুলো কাফেরদের সাদৃশ্যতা, তাদের কথিত চরিত্র ও সভ্যতার প্রতিনিধিত্ব করছে। তাছাড়া নিরাপত্তাহীনতা তো আছেই। সুতরাং এ জাতীয় ভ্রমণ ও পর্যটন মানে নিঃসন্দেহে কাফেরদের অনুসরণ ও টাকার অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়।
,
তারপরেও পর্দার খেলাফ না হলে,গান বাজনা না থাকলে, চক্ষু নিচু রাখা আর শরীয়ত বহির্ভুত কোনো কাজ না করার শর্তে সেখানে যাওয়া,সেই ঘোড়া গাড়িতে চড়া জায়েজ আছে।
বিস্তারিত জানুনঃ