আমার খালু গুসে উচ্চপদস্থ প্রকৌশলী, বেশিরভাগ আয় সেখান থেকে। খালা তার অজান্তে আম্মাকে জোর করে টাকা দিতেন। ইসলামি ও নৈতিকভাবে ফেরত দেওয়া কি উচিত?

Question

আমার খালু একজন উচ্চপদস্থ প্রকৌশলী এবং ভালো বেতন পান(টাকার বেশির  ভাগ অংশ ই গুসের টাকা)। আমার খালা মাঝে মাঝে আমার আম্মাকে কিছু টাকা দিতেন, যদিও আম্মা তা নিতে চাইতেন না। খালা জোর করেই দিতেন। তবে খালু এসব বিষয়ে কিছুই জানতেন না। এখন প্রশ্ন হলো , যেহেতু এই টাকা মূলত খালুর উপার্জন থেকে এসেছে, এবং তিনি জানতেন না, তাহলে এই টাকা কি এখন বা ভবিষ্যতে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত? যদিও তিনি কখনোই এই টাকা চাইবেন না, তবুও নৈতিক বা ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি কীভাবে দেখা উচিত?

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء

যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪) 

في الشامية: والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لايحل له ويتصدق به بنية صاحبه''. (5/99،مَطْلَبٌ فِيمَنْ وَرِثَ مَالًا حَرَامًا، ط: سعید)   فقط واللہ اعلم

যদি কোনো ওয়ারিছ তার মুরিছ থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তির ব্যাপারে জানে যে, এটা হারাম মাল। এবং ঐ মাল বা সম্পদের মালিক সম্পর্কে তার জানা থাকে, তাহলে তখন ঐ সম্পদকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু যদি কোনো মাল-ধৌলত এর মালিক সম্পর্কে জানা না থাকে, তবে এতটুকু জানা থাকে যে, মূলত এটা হারাম মাল, তাহলেও এটা ওয়ারিছের জন্য হালাল হবে না, বরং সেটাকে তার মালিকের পক্ষ থেকে সদকাহ করে দিতে হবে।(রদ্দুল মহতার-৫/৯৯,শামেলা নুসখা)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1967

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আপনার খালুর অধিকাংশ টাকা যদি হারামের হয়ে থাকে, তাহলে আপনার জন্য আপনার খালুর হারাম টাকা জায়েয হবে না। ঐ টাকা আপনাকে সদকাহ করতে হবে।