ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সববে ক্বারিব এর হুকুম হল, বিক্রেতা বা ভাড়া প্রদাণকারীর উদ্দেশ্য যদি হয়, গোনাহের কাজে সগযোগিতা করা,তাহলে এটা গোনাহ এবং গোনাহের কাজে সরাসরি সহযোগিতা হওয়ার দরুণ স্পষ্টত নাজায়েয ও হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে যদি তার নিয়ত ও উদ্দেশ্য গোনাহের কাজে সহযোগিতা করা না হয়, তাহলে সেটা দুই প্রকার হবে, যথা-
(ক) যদি তার জানা না থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা জায়েয হিসেবে বিবেচিত হবে।
(খ)যদি তার জানা থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা মাকরুহ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1046
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাবাকে ১০০০ টাকা দেয়ার পর বাবা সেই টাকার এমবি ক্রয় করে গোনাহের কাজ করলে এর দায়ভার সন্তানের উপর আসবে না। হ্যা, যদি নিশ্চিত থাকে যে, বাবা অবশ্যই এমবি ক্রয় করবে, তাহলে এমতাবস্থায় বাবাকে টাকা প্রদান করা মাকরুহ বলে বিবেচিত হবে। বরং এক্ষেত্রে বাবাকে জিজ্ঞাসা করে উনার সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র ক্রয় করে দেয়া উচিত।
যদি বাবাকে টাকা দেয়া না হয়, এবং এজন্য যদি বাবা কষ্ট পায়, তাহলে এতে সন্তান তথা আপনার স্বামীর গোনাহ হবে না।
আপনার স্বামী যদি তার মা বাবার অমতে আপনাকে ওনার সাথে রাখেন, তাহলে এতে ওনার মামা বাবা কষ্ট ফেলেও গোনাহ হবে না ঠিক, তবে মাতাপিতাকে খুশী রাখা জরুরী ।
শশুড় শাশুড়ীর জন্য বৌমাকে বাবার বাড়ী থেকে কিছু আনতে ফোর্স করা কখনো জায়েয হবে না। শশুড়ের বকবকানি শুনবেন না। নিরাপদ দূরত্বে থাকবেন।
স্কুল, কলেজ বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বা কোনো একাউন্ট তৈরি করার সময় প্রার্থীর ছবি দেওয়ার সুযোগ থাকবে। কোনো গোনাহ হবে না।