আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
১. আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ।
আমার বান্ধবীর বিষয়গুলো জানতে চাচ্ছে।  তার বক্তব্য এরকম.....
 [আমার শশুর রাতের বেশিরভাগ সময় নষ্ট করে মোবাইল দেখে।বলতে গেলে ভালো ভিডিও দেখেনা।সকালে ফজরের নামাজ না পড়ে ৯,১০ টা অব্দি ঘুমায়।কখনো জোহরের নামাজ পড়ে, আবার কখনো ঘুমায়।পড়লেও ৬ রাকাত এর বেশি পড়ে না।ফজর আর এশার নামাজ পড়েই না।মাগরিবও মাঝে মধ্যে। যোহর আসর পড়ে আবার পড়েনা।সারাদিন বকবক করে খায় আর মোবাইল দেখে।এখন ওনার ছেলেরা সংসার খরচ দেওয়ার পরেও আমার শশুরকে আলাদা করে আবার ১০০০ টাকা দেয়।ওনি এমবি নিয়ে খারাপ ভিডিও দেখে।এখন কি এই টাকা দেওয়ার কারনে আমার হাসবেন্ড এর গুনাহ হবে?কারণ ওনারা জানে ওনার বাবা এগুলা দেখে, নামাজ পড়ে না,তাও দেয়।

বা যদি এই টাকা না দেয় তাহলে যদি ওনার বাবা কষ্ট পায় এতে কি আমার হাসবেন্ড এর গুনাহ হবে?

আর একটা কথা যদি আমার হাসবেন্ড ওনার মা বাবার অমতে আমাকে ওনার সাথে রাখেন এতে ওনার মামা বাবা কষ্ট ফেলে কি কিছু হবে?

আরেকটা কথা।আমার শাশুড়ী শশুর ওনারা আমায় এই আনতে সেই আনতে আমার বাবার বাসা থেকে বলে।এই নিয়ে আমার হাসবেন্ড অনেক বুঝায়,কিন্তু তাও ওনারা কথা শুনায়।তো কখনো কখনো আমি অনেক কান্না করি।আর আমার হাসবেন্ড ওনার মাকে বুঝায়।কখনো চিল্লায়ও।অনেক বুঝানোর পরও আমায় বকলে ওনি বলে ওরে এগুলা বলে অশান্তি দিওনা।বা কখনো বকাঝকা করে।তেমন না বুঝানোর মতোই।এগুলার জন্য ওনারা কষ্ট ফেলে কি ওনার গুনাহ হবে।
আর আমার শশুর তো মাত্রারিক্ত বকবক করে।মাঝে মধ্যে খুব বিরক্ত হয়ে চুপ থাকি।শুনলেও জবাব দি না।(এই ধর দুপুরে খাইনাই ওনি ১০০ বার বলবে খাইতে,,,,বলে দি যে সময় হলে খাবো তবুও ডাকবে তাই চুপ থাকি,এতে কি আমার গুনাহ হবে)]

বি:দ্র: তার শশুর সারাদিন ঘরে থেকে শুধু নিজে নিজে বকবে। সবাইরে শুধু ডাকবে।

২. আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
স্কুল, কলেজ বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বা কোনো একাউন্ট তৈরি করতে গেলে প্রার্থীর ছবি দিতে হয়।আবার অনেক সময় পাত্রপক্ষ মেয়ের ছবি চায়।
কোনো মেয়ে যদি মুখ ঢেকে পরিপূর্ণ পর্দা করে সেক্ষেত্রে তার করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
ago by (680,910 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সববে ক্বারিব এর হুকুম হল, বিক্রেতা বা ভাড়া প্রদাণকারীর উদ্দেশ্য যদি হয়, গোনাহের কাজে সগযোগিতা করা,তাহলে এটা গোনাহ এবং গোনাহের কাজে সরাসরি সহযোগিতা হওয়ার দরুণ স্পষ্টত নাজায়েয ও হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে যদি তার নিয়ত ও উদ্দেশ্য গোনাহের কাজে সহযোগিতা করা না হয়, তাহলে সেটা দুই প্রকার হবে, যথা-
(ক) যদি তার জানা না থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা জায়েয  হিসেবে বিবেচিত হবে।
(খ)যদি তার জানা থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা মাকরুহ  হিসেবে বিবেচিত হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1046

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাবাকে ১০০০ টাকা দেয়ার পর বাবা সেই টাকার এমবি ক্রয় করে গোনাহের কাজ করলে এর দায়ভার সন্তানের উপর আসবে না। হ্যা, যদি নিশ্চিত থাকে যে, বাবা অবশ্যই এমবি ক্রয় করবে, তাহলে এমতাবস্থায় বাবাকে টাকা প্রদান করা মাকরুহ বলে বিবেচিত হবে। বরং এক্ষেত্রে বাবাকে জিজ্ঞাসা করে উনার সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র ক্রয় করে দেয়া উচিত।

যদি বাবাকে টাকা দেয়া না হয়, এবং এজন্য যদি বাবা কষ্ট পায়, তাহলে এতে সন্তান তথা আপনার স্বামীর গোনাহ হবে না।

আপনার স্বামী যদি তার মা বাবার অমতে আপনাকে ওনার সাথে রাখেন, তাহলে এতে ওনার মামা বাবা কষ্ট ফেলেও গোনাহ হবে না ঠিক, তবে মাতাপিতাকে খুশী রাখা জরুরী । 

শশুড় শাশুড়ীর জন্য বৌমাকে বাবার বাড়ী থেকে কিছু আনতে ফোর্স করা কখনো জায়েয হবে না। শশুড়ের বকবকানি শুনবেন না। নিরাপদ দূরত্বে থাকবেন।

স্কুল, কলেজ বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বা কোনো একাউন্ট তৈরি করার সময় প্রার্থীর ছবি দেওয়ার সুযোগ থাকবে। কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...