আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
63 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,

‌১.কোনো মেয়ে অনলাইনে ছবি আপলোড দিল।কেউ যদি ঐ মেয়ের ছবি ব্যাবহার করে ফেক আইডি খুললে কি তার হক নষ্ট হবে?
(বি:দ্র: এক্ষেত্রে মেয়েটির ক্ষতি করার উদ্দেশ্য না
বরং ফেক আইডি খুলে মজা নেওয়া উদ্দেশ্য)

২. ‌https://ifatwa.info/123034/ এখানে ১ নং আপনি এমবি, ওয়াইফাই কানেকশন না রাখতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু দ্বিনি কাজে ও পড়াশোনায় আমার নেট লাগে। এক্ষেত্রে আমি যদি আম্মুকে  যথাসম্ভব বিরত রাখার চেষ্টা করি মিউজিকযুক্ত ভিডিও দেখা থেকে তবে কি আমি দায়মুক্ত হবো?

৩. কোনো ব্যাক্তি মেয়েদের চোখ টিপ মারে, আবার কোনো মেয়েকে উদ্দেশ্য করে চিৎকার করে "আই লাভ ইউ" বলে তবে কি সে ঐ মেয়ের হক নষ্ট করেছে?

৪. বায়ু আটকে রেখে ও প্রস্রাব-পায়খানর চাপ নিয়ে নামাজ আদায় করলে কি গুনাহ হবে?

৫.যিকির করছি এমন কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া কি ওয়াজিব?

৬.যদি ওয়াজিব নাহয় তবে যদি সালামের জবাব দেই তবে কি সওয়াব পাবো?

৭. কারো সাথে দেখা করার সময় অভিবাদন হিসেবে উভয়ের হাত মুঠো করে একে অপরের মুঠো একসাথে স্পর্শ করে অভিবাদন জানানো কি জায়েয?

৮.তুরি বাজানো কি জায়েয?

৯. নন -মাহরাম কেউ কোনকিছু জিজ্ঞাসা করলে মুখে না বলে মাথা নাড়িয়ে জবাব দিলে তা কি জায়েয?

১০. একবার আমাদের বাসায় পরিচিত আংকেল এর পরিবার থেকেছিল।ঐ আংকেল এর বাচ্চার একটি পেইড(খাতা) ছিল যা সে রেখে যায় ভুল করে।এখন আম্মু এই পেইডটি হিসাব নিকাশের কাজে ব্যাবহার করে।আম্মু লেখাপড়া না জানায় আমাকে মাঝেমধ্যে হিসাব লিখতে বলে।এখন এই হিসাব লিখা কি জায়েয?

১১.  ১০ নং এর উত্তর যদি নাজায়েজ হয়। তবে আমি যদি কোনোভাবে ঐ পেইড এর মূল্য তাদের দিয়ে দেই তবে পেইডটি কি ব্যাবহার করা জায়েয হবে?

১৩. আমাদের পাঠ্যক্রমে "ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর" নামক একজন লেখক এর লেখা পড়তে হয়।এখন তার নামে অর্থ দাড়ায় "ঈশ্বরের মতো দীপ্তিময়" বা "ভগবানের মতো উজ্জ্বল চাঁদ"(এআই থেকে সংগৃহীত) । এক্ষেত্রে তার নাম উচ্চারণ করলে কি গুণাহ হবে?

১৪. নামাজ শেষ করার সাথে সাথেই উঠে চলে যাওয়া কি জায়েয?

১৫.অনেক জায়াগায় ছেলে মেয়ে একসাথে লাইনে দাঁড়ায় (যেমন: ওয়াসার পানি নেওয়ার সময়)।প্রয়োজনীয় কাজের ক্ষেত্রে সেখানে লাইন ধরা জায়েয?

১৬. ধরুন, কোনো স্ত্রী তার স্বামীকে বলল যে তার সন্তান(বালেগ) অমুক খাবার খেতে চায়। কিন্তু সন্তান এই ব্যাপারে কোনো আগ্ৰহ প্রকাশ করেনি।স্বামী যদি সেই সন্তানকে খাবারটি কিনে দেয় তবে সন্তান এর জন্য সেই খাবার খাওয়া কি জায়েয?

১৭. নামাজ পড়ার সময় সিজদা দেওয়ার পর দেখা যায় যে আমি দাঁড়ানোর স্থান থেকে সরে গেছি।যা অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়।এতে কি নামাজ ভেঙ্গে যাবে ?

১৮. কোনো ঘরের দরজা খোলা একেবারে ঐ দরজার ভিতরে অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি চোখ পরে আর বেপর্দা মহিলা বা সতর খোলা কাউকে দেখা যায় তবে কি হক নষ্ট হবে? এবং এতে কি গুণাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (659,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ الزُّبَيْرِ أَبِي عَبْدِ السَّلَامِ عَنْ أَيُّوبَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مِكْرَزٍ الْفِهْرِيِّ عَنْ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ الْأَسَدِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِوَابِصَةَ جِئْتَ تَسْأَلُ عَنْ الْبِرِّ وَالْإِثْمِ قَالَ قُلْتُ نَعَمْ قَالَ فَجَمَعَ أَصَابِعَهُ فَضَرَبَ بِهَا صَدْرَهُ وَقَالَ اسْتَفْتِ نَفْسَكَ اسْتَفْتِ قَلْبَكَ يَا وَابِصَةُ ثَلَاثًا الْبِرُّ مَا اطْمَأَنَّتْ إِلَيْهِ النَّفْسُ وَاطْمَأَنَّ إِلَيْهِ الْقَلْبُ وَالْإِثْمُ مَا حَاكَ فِي النَّفْسِ وَتَرَدَّدَ فِي الصَّدْرِ وَإِنْ أَفْتَاكَ النَّاسُ وَأَفْتَوْكَ 

ওয়াবিসা ইবনু মা’বাদ আল আসাদী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওয়াবিসাকে বলেন, “তুমি আমাকে পাপ ও পুণ্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে এসেছ?” তিনি বলেন, হাঁ। তিনি বলেন, তখন তিনি তাঁর আঙ্গুলগুলি মুষ্টিবদ্ধ করে তা দ্বারা তার বুকে আঘাত করে বললেন: “হে ওয়াবিসা! তুমি তোমার নাফসকে জিজ্ঞেস কর, তোমার অন্তরকে জিজ্ঞেস কর।”- একথা তিনি তিনবার বললেন। “তোমার নাফস বা মন যে বিষয়ে প্রশান্তি বা নিশ্চিন্ততা লাভ করে, তোমার অন্তর যে বিষয়ের প্রতি প্রশান্ত- নিশ্চিন্ত হয়-তা-ই হলো পূণ্য। আর তোমার মন যে বিষয়ে চিন্তিত হয়, তোমার অন্তরে যা ইতস্ততবোধ বা দ্বিধা সঞ্চার করে-তা-ই হলো পাপ। লোকেরা যদি তোমাকে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়, তবে তুমি তা গ্রহণ করবে।”

(সুনানে আদ দারেমী ২৫৭১)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তার হক নষ্ট হবে।

(০২)
এ নেটের বিল কে দেয়? 

যদি বিল আপনি দেন, এমতাবস্থায় আপনার মা যদি নেট ব্যবহার করে নাজায়েজ কোন কিছু দেখে,সেক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবে।

আর যদি নেটের বিল আপনার মা-বাবা দেয় সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি তাদেরকে সাধ্যমত বোঝান তারপরও তারা যদি নাজায়েজ কোন কিছু দেখে,সেক্ষেত্রে  এর গুনাহ আপনার হবে না।
তবে আপনি বুঝানো অব্যাহত রাখবেন।

৩. 
এক্ষেত্রে তার গুনাহ হবে।

৪. 
এক্ষেত্রে নামাজ মাকরুহ হবে।

৫.
না,ওয়াজিব নয়।

৬.
হ্যাঁ,ছওয়াব পাবেন।

৭. 
জানামতে এটি বিজাতীয় সংস্কৃতি নয়,তাই এটি জায়েজ আছে।

তবে এটা বিজাতীয় সংস্কৃতি হলে জায়েজ হবে না।

৮.
জায়েজ নেই। এটিও বাদ্যযন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত। 

৯. 
প্রয়োজনীয় বিষয় হলে জায়েজ আছে।

১০. 
নয় বরং সেই প্যাড বা তার মূল্য ফিরিয়ে দিতে হবে।

১১.  
আপনি যদি কোনোভাবে ঐ পেইড এর মূল্য তাদের দিয়ে দেন, তবে পেইডটি ব্যাবহার করা জায়েয হবে।

১৩. 
আকীদা বিশুদ্ধ রেখে তার নাম উচ্চারণ করলে গুণাহ হবেনা।

১৪. 
জায়েক আছে।

১৫.
জায়েজ আছে।
তবে তবে শর্ত হলো গায়ের সাথে গা ঘেঁষে দাঁড়ানো যাবেনা, এলাকা নিরাপদ হতে হবে, ফিতনার আশংকা না থাকা।
দিনের বেলা হতে হবে, এলাকা,স্থান,কাল হিসেবে সবকিছু শতভাগ নিরাপদ হতে হবে।

হাত,পা চেহারা সহ পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে সেখানে যেতে হবে,আকর্ষনীয় বোরকা পরিধান করা যাবেনা।

১৬. 
এক্ষেত্রে  সন্তান এর জন্য সেই খাবার খাওয়া জায়েয।

১৭. 
এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।

১৮. এক্ষেত্রে গুণাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
১ নং এর ক্ষেত্রে মেয়েটির পরিচয় আমার জানানেই। এখন আমি যদি তার পক্ষ থেকে কিছু টাকা (১০/২০ টাকা) সাদকা করে দেই তবে কি হক আদায় হবে?

আর হ্যা, ঐ ফেক আইডি খোলার পর আমার পরিচিত একজন ঐ মেয়েটির ছবি আমার ফেক আইডি থেকে তার ফোনে সেভ করেছিল।এখন তার ফোনে ছবিটি সেভ আছে কিনা জানা নেই। এক্ষেত্রে আমার কোনো করণীয় আছে?
by (659,880 points)
ফোনে ছবিটি সেভ আসে কিনা এটি আপনি জেনে নিয়ে তাকে ডিলিট করতে বলবেন।

আর আপনি সেই মেয়েটির জন্য মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন এবং নিজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।

কোন টাকা সদকাহ করতে হবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...