বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
সালাতের প্রাকটিক্যাল পদ্ধতি
★ কোনো দিকে না তাকিয়ে এবং অন্য দিকে না ফিরে পুরো শরীরে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়াবে।
★ অন্তরে নিয়ত করবে।
★ ‘আল্লাহু আকবার’ বলে তাকবীরে তাহরিমা বাঁধবে।
★ ডান হাতের কব্জি বাঁ হাতের কব্জির ওপর রেখে নাভির নিচে রাখবে।
তারপর ছানা পড়বে, আর তা হচ্ছে:
سبحانك اللهم وبحمدك وتبارك اسمك وتعالى جدك ولاإله غيرك.
উচ্ছারণ: সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়াবিহামদিকা ওয়াতাবারকাসমুকা ওয়াতাআ‘লা জাদ্দুকা ওয়ালাইলাহা গাইরুক।
★ অতঃপর ‘আউযুবিল্লাহি মিনাশ্শাইতনির রাজীম’ বলবে।
★ ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ বলে সূরা আল-ফাতিহা পড়বে:
ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ مَٰلِكِ يَوۡمِ ٱلدِّينِ إِيَّاكَ نَعۡبُدُ وَإِيَّاكَ نَسۡتَعِينُ ٱهۡدِنَا ٱلصِّرَٰطَ ٱلۡمُسۡتَقِيمَ صِرَٰطَ ٱلَّذِينَ أَنۡعَمۡتَ عَلَيۡهِمۡ غَيۡرِ ٱلۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا ٱلضَّآلِّينَ
★ তারপর কুরআন থেকে যা সহজ মনে হয় তা পড়বে, ফজরের সালাতে ক্বিরাত লম্বা করবে।
★ তারপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে রুকুতে যাবে অর্থাৎ আল্লাহর সম্মানে- তার পিঠকে ঝুঁকাবে, সুন্নাত হচ্ছে তার পিঠকে মাথা বরাবর নোয়াবে এবং দুই হাত হাটুতে রেখে আঙ্গুলগুলো ফাঁকা করে রাখবে।
★ রুকুতে তিনবার বলবে সুবহানা রব্বিয়াল ‘আযীম,।
★ সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে রুকু থেকে উঠবে।
★ রুকু থেকে উঠে বলবে ‘রব্বানা ওয়ালাকাল হামদ’, ...
★ আল্লাহু আকবার বলে বিনয়ের সাথে প্রথম সিজদাহ’য় যাবে এবং তার সাতটি অঙ্গে সিজদাহ করবে: নাকসহ কপাল, দুই হাত, দুই হাটু এবং দুই পায়ের সামনের অংশ। তার বাহুদ্বয় তার পার্শ্ব থেকে ফাঁকা রাখবে, দুই হাত মাটিতে বিছাতে পারবে না এবং আঙ্গুলের মাথাগুলো কিবলামুখী রাখবে।
★ সিজদাহ’য় তিনবার বলবে: ‘সুবহানা রব্বিয়াল আ‘লা’
★ আল্লাহু আকবার বলে সিজদাহ থেকে মাথা উঠাবে।
★ দুই সিজদাহ’র মাঝে ডান পা খাড়া রেখে বাঁ পায়ের ওপর বসবে এবং হাত উরুর ওপর হাটুর নিকটে রাখবে।
★ দুই সিজদাহ’র মাঝে বসাবস্থায় বলবে: ‘রব্বিগ ফিরলী ওয়ারহামনী, ওয়াহদিনী, ওয়ারযুকনী, ওয়াজবুরনী ওয়া‘আফিনী।’
★ আল্লাহু আকবার বলে বিনয়ের সাথে দ্বিতীয় সিজদাহ’য় যাবে, প্রথম সিজদাহ’র মতো যা বলার এবং করার তা করবে।
★ আল্লাহু আকবার বলে দ্বিতীয় সিজদাহ থেকে উঠে প্রথম রাকাআতের মতো দ্বিতীয় রাকাআত সম্পন্ন করবে কিন্তু এতে ছানা বলবে না।
★ দ্বিতীয় রাকাআতের; দু-সিজদা শেষ করে আল্লাহু আকবার বলে বসবে যেভাবে বসেছিল দুই সিজদাহ’র মাঝে।
★ এ বৈঠকে তাশাহ্হুদ [এবং যদি দুই রাকাআতের সালাত হয়; তাহলে দরুদে ইবরাহিম এবং দোআয়ে মা‘ছুরা] পড়বে:
التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ.
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ،
اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ.
★ তারপর “আস-সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ” বলে প্রথমে ডানে তারপর বাঁয়ে সালাম ফিরাবে।
★ আর যদি সালাত তিন রাকাআত বা চার রাকাআত বিশিষ্ট হয় তাহলে প্রথম তাশাহ্হুদ (আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াআশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু অরাসূলুহ) বলার পর আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে যাবে তারপর বাকী সালাত দ্বিতীয় রাকাআতের মতো পুরা করবে, কিন্তু এতে শুধু সূরা আল-ফাতিহা পড়বে।
★ এ বৈঠকে তাশাহহুদ এবং দুরুদ- দোআয়ে মাসুরা পুরোটা পড়বে।
★ তারপর “আস সালামু আলাইকুম অয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে প্রথমে ডানে; পরে বাঁয়ে সালাম ফিরাবে।
,
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
,
সিজদা ও রুকুর তাসবীহ ছাড়া আল্লাহু আকবার, সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদা, ‘রব্বানা ওয়ালাকাল হামদ একবার করেই পড়বে।
তাশাহহুদ, দরুদ ও দোয়ায়ে মাছুরা পড়লেই হবে ইনশাআল্লাহ।