আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আমি IOM student, এবং আমি বিবাহিতা। বিয়ের আগে আমি বাসায় সাধারণ যখন খিদে লাগতো খেতাম পরিবারের সাথে একসাথে তেমন খাওয়া হতো না।  কিন্তু বিয়ের পর থেকে জাওয এর সাথে খাই, উনি সপ্তাহে দু'দিন বাসায় থাকে এবং ওই দু'দিনই আমার IOM এ ক্লাস থাকে তাই ক্লাস শেষে এক সাথে খেতাম কিন্তু ইদানিং উনি আমাকে একা খেতে বলেন ক্লাস এর আগে এবং উনি নামাজের পর পরিবারের সাথে একসাথে খাওয়া দাওয়া করেন। এটা একটা সাধারণ বিষয় তবে আমি বর্তমান একা খেতে পারিনা। উনি ভাবেন আমি হয়তো তার পরিবারের সাথে তার একসাথে খাওয়া পছন্দ করিনা অথবা আমি তাদের মাঝে ফাটল ধরাতে চাই কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। যাই হোক স্ত্রীর সাথে একসাথে খাওয়া ফরজ কিংবা ওয়াজিব কোন ইবাদত নয় বরং সুন্নাত কিন্তু এতে আমার কষ্ট হয়। আমি মানুষিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে যাই। যেহেতু ইশার সালাতের আগে খাবার খেয়ে নেয়া সুন্নাত তাই আমি ঠিক করেছি আমি দুনিয়ার কারো সঙ্গে খেতে না পেরে চোখের পানি ফেলার থেকে ইশার আগে খেয়ে সুন্নাত আদায় করবো। যিনি সমস্ত মাখলুকাতের মধ্যে আমাকে সবথেকে বেশি ভালোবেসে ছিলেন। যাকে নিজের পরিবার পরিজন এমনকি নিজের থেকে বেশি ভালো না বাসলে মুমিন হওয়া যাবে না সেই প্রিয় হাবিব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাত অনুসরণ করবো। দু'আ তে এসে যায় 'ইয়া রব্ব, জান্নাতে আমাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে খাওয়ার তৌফিক দিয়েন!' আমি জানিনা দু'আ টা আমার সঠিক কিনা। দয়া করে কানেকশন করে দিবেন ইন-শা-আল্লাহ। এর উত্তর জানাটা আমার খুব বেশি প্রয়োজন। জাযাকুমুল্লাহু খাইরন।

1 Answer

0 votes
ago by (650,730 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
রবীআ ইবনে কা‘ব আসলামী রা.  বলেন-

আমি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে রাত্রি যাপন করতাম। তাঁর জন্য অযুর পানি এনে দিতাম এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য খেদমত আঞ্জাম দিতাম। এক রাতে তাঁর ওযুর পানি এনে দিলাম। হঠাৎ আমার কানে প্রবেশ করল এক মধুর আওয়ায; নবীজী বললেন-

سَلْنِي.

তোমার কী চাওয়ার আছে, আমার কাছে চাও রবীআ!

তখন সবিনয়ে আমি আরয করলাম-

أَسْأَلُكَ مُرَافَقَتَكَ فِي الْجَنّةِ.

আল্লাহর রাসূল! আপনার কাছে আমার চাওয়া হল, জান্নাতে আপনার সান্নিধ্য।

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-

أَو غَيْرَ ذلِكَ.

এটা, না অন্য কিছু চাও?

আমি বললাম-

هُوَ ذاكَ

(আল্লাহর রাসূল!) এটা ছাড়া আমার আর কোনো চাওয়া নেই।

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু সালাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-

فَأَعِنِّي عَلَى نَفْسِكَ بِكَثْرَةِ السّجُودِ.

তাহলে অধিক পরিমাণে সিজদা করার মাধ্যমে এ বিষয়ে তুমি আমাকে সাহায্য  করো। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪৮৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৩২০


وَعَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:أَنَا وَكَافِلُ الْيَتِيمِ لَه وَلِغَيْرِه فِى الْجَنَّةِ هٰكَذَا وَأَشَارَ بِالسَّبَّابَةِ وَالْوُسْطٰى وَفَرَّجَ بَيْنَهُمَا شَيْئًا.
সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি এবং ইয়াতীমের লালন-পালনকারী, সে ইয়াতীম নিজের হোক বা অন্য কারো হোক জান্নাতে এরূপ হবো, এ কথা বলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজের তর্জনী ও মধ্যমা অঙ্গুলি দ্বারা ইঙ্গিত করলেন। তখন দু’ অঙ্গুলির মধ্যে সামান্য ব্যবধান ছিল। 

(বুখারী ৬০০৫, তিরমিযী ১৯১৮, আবূ দাঊদ ৫১৫০, সহীহাহ্ ৮০০, সহীহ আত্ তারগীব ২৫৪১, সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ১০০, আহমাদ ২২৮২০, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৭৫৫৩, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৬০, আর মু‘জামুল কাবীর ৫৭৭২, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৩০৩৭।)
.
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «كَافلُ اليَتيِم لَهُ أَوْ لِغَيْرِهِ أَنَا وَهُوَ كَهَاتَيْنِ في الجَنَّةِ»وَأَشَارَ الرَّاوِي وَهُوَ مَالِكُ بْنُ أنَسٍ بالسَّبَّابَةِ وَالوُسْطَى 

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘নিজের অথবা অপরের অনাথ (এতীমের) তত্ত্বাবধায়ক; আমি এবং সে জান্নাতে এ দু’টির মত (পাশাপাশি) বাস করব।’’ বর্ণনাকারী আনাস ইবনু মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুলের দিকে ইঙ্গিত করলেন।
(মুসলিম ২৯৮৩, আহমাদ ৮৬৬৪)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি এভাবে দু'আ করতে পারবেন।

তবে হাদীসে জান্নাতে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাহচর্য লাভের দু'আর কথা এসেছে,তাই  সাহচর্য লাভের দু'আ করার পরামর্শ থাকবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ رَبِيعَةُ بْنِ كَعْبٍ قَالَ كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺ فَأَتَيْتُهٗ بِوَضُوئِه وَحَاجَتِه فَقَالَ لِي سَلْ فَقُلْتُ أَسْأَلُكَ مُرَافَقَتَكَ فِي الْجَنَّةِ قَالَ أَوَ غَيْرَ ذلِكَ قُلْتُ هُوَ ذَاكَ قَالَ فَأَعِنِّي عَلى نَفْسِكَ بِكَثْرَةِ السُّجُودِ.

রবী‘আহ্ ইবনু কা‘ব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাতের বেলা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে থাকতাম। উযূ -র পানিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন মিসওয়াক, জায়নামায ইত্যাদি এগিয়ে দিতাম। একদিন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে বললেন, (দীন-দুনিয়ার কল্যাণের জন্য যা কিছু চাও) চেয়ে নাও। আমি নিবেদন করলাম, আমার তো শুধু জান্নাতে আপনার সাহচর্য লাভই একমাত্র কাম্য। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (যে মর্যাদায় তুমি পৌঁছতে চাও এটা তো বড় কথা) এছাড়া আর কিছু চাও? আমি বললাম, এটাই আমার একমাত্র আবেদন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি বেশি বেশি সাজদাহ্ (সিজদা/সেজদা) করে (এ মর্যাদা লাভের জন্য) আমাকে সাহায্য কর।
(মুসলিম ৪৮৯, আবূ দাঊদ ১৩২০, নাসায়ী ১১৩৮।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...