ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিড়ালের ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে উলামদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
«- اخْتَلَفَ الْفُقَهَاءُ فِي جَوَازِ بَيْعِ الْهِرَّةِ.
فَذَهَبَ جُمْهُورُ الْفُقَهَاءِ مِنَ الْحَنَفِيَّةِ وَالْمَالِكِيَّةِ وَالشَّافِعِيَّةِ وَالْحَنَابِلَةِ إِلَى أَنَّ بَيْعَ الْهِرَّةِ جَائِزٌ؛ لأَِنَّهَا طَاهِرَةٌ وَمُنْتَفَعٌ بِهَا وَوُجِدَ فِيهَا جَمِيعُ شُرُوطِ الْبَيْعِ، فَجَازَ بَيْعُهَا كَالْحِمَارِ وَالْبَغْل،» - «الموسوعة الفقهية الكويتية» (42/ 266)
হানাফি, শাফেয়ী,মালিকি,হাম্বলী মাযহাবের সমস্ত উলামায়ে কেরামের মতে বিড়ালের ক্রয় বিক্রয় জায়েয। কেননা, বিড়াল পবিত্র। এবং তা দ্বারা বৈধ ফায়াদ গ্রহণ করা সম্ভব। এবং তার মধ্যে ক্রয়-বিক্রয়ের সমস্ত শর্ত বিদ্যমান রয়েছে। সুতরাং গাদা এবং খচ্ছরের মত তার ক্রয়-বিক্রয়ও জায়েযই হবে।( আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৪২/২৬৬)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وَيَجُوزُ بَيْعُ جَمِيعِ الْحَيَوَانَاتِ سِوَى الْخِنْزِيرِ وَهُوَ الْمُخْتَارُ كَذَا فِي جَوَاهِرِ الْأَخْلَاطِيِّ.
খিনযির ব্যতীত সকলপ্রকার প্রাণীর ক্রয়-বিক্রয় জায়েয। এবং এটাই বিশুদ্ধ মাযহাব।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৩/১১৪)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/645
বিড়ালের মাংস খাওয়া এ জন্য হারাম, যেহেতু হাদীসে নিষেধ এসেছে, আবু-ছা’লাবা আল-খুশানি রাযি থেকে বর্ণিত,
غن أبي ثعلبة الخشني رضي الله عنه قال : ( نَهَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنْ السِّبَاعِ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ প্রত্যেক ঐ প্রাণীকে হারাম ঘোষণা করেছেন, যে সমস্ত প্রাণী দাত দ্বারা ছিড়ে ফেড়ে খায়।( সহীহ-বোখারী-৫১০১)
বিড়ালও দাত দ্বারা ছেড়ে ফেড়ে খেয়ে থাকে। সুতরাং বিড়ালও হারাম।