আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
ago in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

১. উস্তাদ একটা ফুড ফ্যাক্টরিতে কাজ পেয়েছি। এখানে স্যান্ডউইচ, বার্গারসহ এজাতীয় ফাস্টফুড রেডি করা হয়। যেহেতু এটা ইংল্যান্ড, এখানে শুয়োরের বার্গার, হটডগও তৈরি হয়। শুয়োরের মাংস কাঁচা থাকে না, প্রসেসড করা থাকে এবং আমাদের গ্লাভস হাতে এগুলো ধরতে হবে। এমন ফ্যাক্টরিতে কাজ করলে এই ইনকাম হালাল হবে?

২. এমন দোকানে কাজ করা যাবে উস্তাদ যেখানে হারাম প্রোডাক্ট আছে, যেমন শুয়োরের সসেজ, গ্লুটিনযুক্ত খাবার ইত্যাদি?

উল্লেখ্য, দুটি কাজই ইংল্যান্ডে, এখানে এসব খুব এভেলেবল।

1 Answer

0 votes
ago by (649,470 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/25032/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
মদ বিক্রয় করা, অর্থের বিনিময়ে বহন করা অথবা এ ক্ষেত্রে কোন প্রকার সহযোগিতা করা হারাম।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ جَابِرٍ أَنَّه سَمِعَ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ يَقُولُ عَامَ الْفَتْحِ وَهُوَ بِمَكَّةَ : «إِنَّ اللّٰهَ وَرَسُوْلَه حَرَّمَ بَيْعَ الْخَمْرِ وَالْمَيْتَةِ وَالْخِنْزِيرِ وَالْأَصْنَامِ». فَقِيلَ : يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ! أَرَأَيْتَ شُحُومَ الْمَيْتَةِ؟ فَإِنَّه تُطْلٰى بِهَا السُّفُنُ وَيُدْهَنُ بِهَا الْجُلُودُ وَيَسْتَصْبِحُ بِهَا النَّاسُ؟ فَقَالَ : «لَا هُوَ حَرَامٌ». ثُمَّ قَالَ عِنْدَ ذٰلِكَ : «قَاتَلَ اللّٰهُ الْيَهُودَ إِنَّ اللّٰهَ لَمَّا حَرَّمَ شُحُومَهَا أَجْمَلُوهُ ثُمَّ بَاعُوهُ فَأَكَلُوا ثَمَنَه». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন মক্কা বিজয়ের বৎসর, সেখানে অবস্থানকালে আল্লাহ ও তাঁর রসূল মদ বিক্রি, মৃতজীব বিক্রি, শূকর বিক্রি, কোনো প্রকার মূর্তি বিক্রি হারাম করে দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! মৃত জীবের চর্বি নৌকায় (বিভিন্ন চামড়াজাত দ্রব্যে) লাগানো হয় এবং লোকেরা তা দিয়ে বাতি জ্বালিয়ে থাকে, তা বিক্রি করা সম্পর্কে আপনার সিদ্ধান্ত কি? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তা-ও বিক্রি করা যাবে না, এটাও হারাম। অতঃপর এর সাথে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ কথাও বললেন, আল্লাহ তা‘আলা ইয়াহূদী জাতিকে ধ্বংস করুন। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তাদের জন্য যখন (হালাল যাবাহকৃত জীবেরও) চর্বি হারাম করলেন, তখন তারা (অবাধ্য হয়ে কৌশল অবলম্বন করে) তা গলিয়ে বিক্রি করতে লাগলো ও এর মূল্য ভোগ করতে থাকলো। 
সহীহ : বুখারী ২২৩৬, মুসলিম ১৫৮১, আবূ দাঊদ ৩৪৮৬, নাসায়ী ৪২৫৬, তিরমিযী ১২৯৭, ইবনু মাজাহ ২১৬৭, আহমাদ ১৪৪৯৫, ইরওয়া ১২৯০।

যে কোন বিষয়ের ‘হারাম হওয়া’ সাব্যস্ত হলে সে বিষয়ে সহযোগিতা করাও হারাম। যেমন- কোন রেস্টুরেন্টে মদ, মৃতজন্তু, বন্য গাধার গোশত ইত্যাদি পরিবেশন করার কাজ করা।

সৌদি আরবের ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যে সকল হোটেলে শূকরের গোশত, মদ পরিবেশন করা হয় সে হোটেলে চাকুরি করা জায়েয কি না? তারা উত্তরে বলেছেন, এ সকল হোটেলে কাজ করা হারাম। সেখানে কাজ করে যা উপার্জন করা সেটাও হারাম। কেননা এটা অবৈধ বা হারাম কাজে সহযোগিতা। হারাম কাজে সহযোগিতা করা আল্লাহ নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, “মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগিতা করো না।”[সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ২]
তাই আমরা আপনাকে উপদেশ দিচ্ছি- আপনি এ জাতীয় হোটেলে চাকুরি করা পরিহার করুন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যা হারাম ও অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন তা করতে কাউকে সাহায্য সহযোগিতা করবেন না।[ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্র (১৩/৪৯)]

অমুসলিম দেশের রেস্তোরাঁয় কাজ করা যাবে।যারা যেকোনো রেস্তোরাঁয় সেফ বা ওয়েটার হিসাবে কাজ করে তাদের উপার্জন হালাল হবে।

তবে এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো মদ বা হারাম কোনো খাবার পরিবেশন এর কাজ করাও হারাম।
তাই হারাম খাবার পরিবেশনের কাজ বেশি হলে তার বেশির ভাগ ইনকাম হারাম হওয়ায় সেই চাকুরী জায়েজ নেই।    

অমুসলিমদের সামনে হারাম খাদ্য পরিবেশন করা যাবেনা। মদও পরিবেশন করা যাবেনা,অন্য হারাম খাদ্যও পরিবেশন করা যাবেনা। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এমন ফ্যাক্টরিতে কাজ করলে এই ইনকাম হালাল হবেনা।

মনে রাখতে হবে হারাম কোনো খাবার রেডি করা বা পরিবেশন এর কাজ করাও হারাম।

তাই হারাম খাবার রেডি কাজ বেশি হলে তার বেশির ভাগ ইনকাম হারাম হওয়ায় সেই চাকুরী না করার পরামর্শ থাকবে। 

আর হালাল খাবার রেডি করার কাজ বেশি হলে, সেক্ষেত্রে হারাম খাবার রেডি করার কাজের ইনকামের টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দেয়ার শর্তে সে চাকরি করা যেতে পারে।

তদুপরি হারাম কাজে সহযোগিতার গুনাহ অবশ্যই হবে।

তাই সর্বাবস্থায় সেই চাকুরী ছেড়ে দিয়ে হালাল চাকরি/হালাল ব্যবসা করার পরামর্শ থাকবে। 

(০২)
এমন দোকানে হারাম প্রডাক্ট এর কাজ করলে এই ইনকাম হালাল হবেনা।

শুধুমাত্র হালাল প্রডাক্ট এর কাজের ইনকাম হালাল হবে।

হারাম প্রডাক্ট এর কাজের ইনকাম হারাম হবে।

তাই হারাম প্রডাক্ট এর কাজ বেশি হলে তার বেশির ভাগ ইনকাম হারাম হওয়ায় সেই চাকুরী না করার পরামর্শ থাকবে। 

আর হালাল প্রডাক্ট এর কাজ বেশি হলে, সেক্ষেত্রে হারাম প্রডাক্ট এর কাজের ইনকামের টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দেয়ার শর্তে সে চাকরি করা যেতে পারে।

তদুপরি হারাম কাজে সহযোগিতার গুনাহ অবশ্যই হবে।

তাই সর্বাবস্থায় সেই চাকুরী ছেড়ে দিয়ে হালাল চাকরি/হালাল ব্যবসা করার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by
উস্তাদ, উক্ত ফ্যাক্টরি এবং দোকানের অধিকাংশ খাবার হালাল। এক তৃতীয়াংশও হারাম নয়।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...