আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম হযরত
১। বিতির নামাযে ২য় রাকাতে তাশাহহুদ পড়ার পর দুরুদ শরিফ পড়ে ফেলি একটু, তাই সিজদাহ সাহু দিতে চাচ্ছিলাম।কিন্তু নামায শেষ করে ফেলি।সিজদাহ শাউ দিতেও ভুলে যাই। সালাম ফিরানুর ২-৩মিনিট পর ২বার সিজদাহ দেই সিজদাহ সাহু এর নিয়তে। এতে কি নামায সহিহ হয়েছে, নাকি আবার দোহরাতে হবে?


২। আমার শাশুরি মারা যাওয়ার পর শশুর ২য় বিয়ে করেছেন। তিনি কি আমার জন্য মাহরাম?

 ৩। উনার বয়স অনেক কম।এটিউ উনার প্রথম বিবাহ। তাই আমার বন্ধুর সাথে কথা বলার সময় মজার ছলে বলেছিলাম 'ইনটেক্ট'।  শুধুমাত্র এইটা বুঝাতে যে তিনি কুমারি। এতে কি কোনো সমস্যা হবে?


জাযাকুমুল্লাহু খাইরান হযরত।

1 Answer

0 votes
ago by (649,110 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী নামাযের ভিতর ভুলে কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়। 

হাদীস শরীফে এসেছে   

حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك بن أنس، عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن الأعرج، عن عبد الله بن بحينة رضي الله عنه، أنه قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين من بعض الصلوات، ثم قام فلم يجلس، فقام الناس معه، فلما قضى صلاته ونظرنا تسليمه كبر قبل التسليم، فسجد سجدتين وهو جالس، ثم سلم.

আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামায আমাদের দুই রাকাত পড়ান। তারপর না বসে দাঁড়িয়ে যান। মুকতাদীরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে যায়। যখন তিনি নামায পূর্ণ করলেন এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম তখন সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর দিলেন এবং বসা অবস্থায় দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৪
আরো দ্রষ্টব্য : সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭০

حدثنا أبو الوليد، حدثنا شعبة، عن الحكم، عن إبراهيم، عن علقمة، عن عبد الله رضي الله عنه: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الظهر خمساً، فقيل له: أزيد في الصلاة؟ فقال: وما ذاك؟ قال: صليت خمساً، فسجد سجدتين بعد ما سلم.

আবদুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যোহর পাঁচ রাকাত পড়েন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, নামায কি বাড়ানো হয়েছে? তিনি বললেন, কী হয়েছে? প্রশ্নকারী বলল, আপনি পাঁচ রাকাত পড়েছেন। অতপর তিনি সালাম ফিরানোর পর দুটি সেজদা করেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৬

সিজদায়ে সাহু ভুলে গেলে করণীয়

"وإعادتها بتركه عمداً" أي ما دام الوقت باقياً وكذا في السهو إن لم يسجد له وإن لم يعدها حتى خرج الوقت تسقط مع النقصان وكراهة التحريم ويكون فاسقاً آثماً، وكذا الحكم في كل صلاة أديت مع كراهة التحريم، والمختار أن المعادة لترك واجب نفل جابر، والفرض سقط بالأولى؛ لأن الفرض لايتكرر كما في الدر وغيره، ويندب إعادتها لترك السنة"

حاشية الطحطاوي على مراقي الفلاح شرح نور الإيضاح ص: 247

সিজদায়ে সাহু ভুলে গিয়ে সালাম ফিরিয়ে নিলে, যদি নামায ভঙ্গকারী কোনো জিনিষ নিজের দ্বারা সংগঠিত  না হয়, তাহলে সাথে সাথেই দু'টি সিজদা দিয়ে তাশাহুদ এবং দুরুদ শরীফ পড়ে সালাম ফিরিয়ে নিলেই হবে। মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর সাহু সিজদার কথা মনে পড়লে, তখন ওয়াক্তের ভিতরে ঐ নামাযকে দোহরিয়ে নিতে হবে। ওয়াক্ত চলে গেলে আর দোহরানোর সুযোগ থাকবে না। বরং ঐ ব্যক্তিকে তখন  ইস্তেগফার করতে হবে। ঠিক তেমনি প্রত্যেক ঐ নামায যা মাকরুহে তাহরিমীর সাথে আদায় হবে, সেই নামাযকেও ওয়াক্তের ভিতর দোহরিয়ে পড়ে নিতে হবে।উপরোক্ত পদ্ধতিসমূহে নামাযকে দোহড়ানো তথা আবার পড়া মুস্তাহাব।কেননা প্রথমবারের নামায দ্বারা তো ফরয আদায় হয়েই গেছে।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যে সালাম ফেরানোর দুই/তিন মিনিট পর সেজদায়ে সাহু আদায় করেছিলেন, এক্ষেত্রে সেই ২-৩ মিনিটের মধ্যে নামাজ ভঙ্গকারী (কথাবার্তা, খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি)  কোন কাজ করেছিলেন কিনা?

যদি সালাম ফিরানোর পর থেকে নিয়ে সেজদায়ে সাহুর আগ পর্যন্ত নামাজ ভঙ্গকারী কোন কাজ না করে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনার নামাজ সহীহ হয়েছে। উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে না।

(০২)
শরীয়তের বিধান হলো কোন মহিলার সৎ শ্বশুর অর্থাৎ তার শাশুড়ির পূর্বের স্বামী বাতার শাশুড়ীর বর্তমান স্বামী যে তার স্বামীর জন্মদাতা পিতা নয়, সে মাহরাম নয়,সে গায়রে মাহরাম।

মাহরাম হবে কেবল তার স্বামীর জন্মদাতা পিতা।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার শশুর যে ২য় বিয়ে করেছেন। তিনি আপনার জন্য গায়রে মাহরাম।

আরো জানুনঃ- 

(০৩)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।

তবে আপনার শাশুড়ি শুনলে হয়তোবা তিনি মনঃক্ষুন্ন হতে পারেন। তাই এমন কথা না বলাই ভালো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...