নিসবত সম্পর্কে প্রশ্ন

Question

আসসালামু আলাইকুম।
হুজুর বারবার বিরক্ত করার জন্য মাফ করে দিবেন।

এ সম্পর্কে হয়তো এটাই আপনার কাছে শেষ প্রশ্ন।

১/পূর্বের প্রশ্নোত্তরে আপনি বলেছেন, কেউ যদি আনমনা হয়ে স্ত্রীকে উদ্দেশ্য ছাড়া : তালাক তোমাকে বলে ফেলে এতে স্বামীকে জিজ্ঞেসা করা হবে সে কেন বলেছে। এখন সে যদি সত্যি স্ত্রীকে উদ্দেশ্য না করে থাকে বরং তার মুখ দিয়ে বের হয়ে  গেছে। এ পরিস্থিতিতে হুকুম কি হবে?

২/ কোনো স্বামী যদি তার স্ত্রীকে তালাকের নিয়ত ছাড়া এবং তার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য ছাড়া বলে: আমার ডিবোস হয়েছে। এতে কি তার বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবে?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)  কেউ যদি আনমনা হয়ে স্ত্রীকে উদ্দেশ্য ছাড়া : তালাক তোমাকে বলে ফেলে, এতে স্বামীকে জিজ্ঞেসা করা হবে সে কেন বলেছে। এখন সে যদি সত্যি স্ত্রীকে উদ্দেশ্য না করে থাকে বরং তার মুখ দিয়ে বের হয়ে  গেছে। এ পরিস্থিতিতে তালাক হবে না।

(২) কোনো স্বামী যদি তার স্ত্রীকে তালাকের নিয়ত ছাড়া এবং তার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য ছাড়া বলে: আমার ডিভোর্স হয়েছে। এতে তার বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবে না।

বিঃদ্রঃ
এই তালাকের নিসবত নিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আপনি বারংবার একই প্রশ্ন করেছেন। আপনি সরাসরি কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করুন।অথবা আমাদের অফিসে যোগাযোগ করুন।জাযাকাল্লাহ।