আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
15 views
in সালাত(Prayer) by (2 points)
আমি হায়েজ নিয়ে সমস্যায় ভুগছি। প্রায় দুই বছর আগে আমি দেড়-দুই মাস পর হায়েজ হতাম এবং ৭ দিনে ভালো হতাম। কিন্তু দুই বছর ধরে আমার হায়েজ অনিয়মিত। কখনো ১২, কখনো ১৫ দিন কখনো ১৩ দিন পর হায়েজ হয়ে যায়। আর একবার হওয়ার পর ভালো হতে কখনো ৯দিন কখনো ১৫ দিন কখনো১২ দিন লাগে। একবার এক মাস ও ছিল। আমি কয়এক বার ডাক্তার দেখিয়েছি। ৫ মাস ঔষধ খাওয়ার পর  এপ্রিল এর ২৫ তারিখ,মের ২৫ তারিখ, জুন এর ২৬ তারিখ , জুলাই এর ২৩ তারিখ হায়েজ হয়। তবে এই তিন  বার হায়েজ হওয়ার পর  ভালো হতে কখনো ১২ দিন কখনো ১১ দিন  একবার মনে হয় ১০ দিন লেগেছে আমি ঠিক  সিউর নই। আমার আর একটা সমস্যা হচ্ছে প্রায় দেড় বছর ধরে আমার স্রাব সাদা হয়না।হলকা সবুজ রঙের হয়। কিছুটা গলার কফের মত হয় তবে কনো কাপড়ে লাগলে সেই কাপড় পানিতে ভেজালে স্রাব দখতে সাদা লাগে।তবে আমার আগে যেই পরিমান সাদা স্রাব যেতো এখনো সেই পরিমান যায় তবে রঙ ভিন্ন।  মাঝে কয় দিন এই হালকা সবুজ স্রাবের গন্ধ  পেয়াজের মত ছিল কিন্তু এখন আগের সাদা স্রাবের মত গন্ধ হয়। কখন আমার প্রশ্নো

১। আমি  আমার হায়েজ কিভাবে গননা করব।

২।আমার প্রতি মাসের শেষের দিকে যে রক্ত আসে আমিকি সেটা হায়েজ ধরব।
৩।এবং সেটাতো ১০ দিনের বেশি থাকে। তাহলে কি ১০ দিন হায়েজ ধরে বাকি দিন ইস্তেহাজা ধরবো।

৪।আমার স্রাবতো সাদা হয়না। রক্ত বন্ধ হওয়ার পর স্রাব হালকা সবুজই থাকে  তাহলে আমি কি  করব।যেহেতু সাদা স্রাবই পবিত্রতার প্রতীক।

অনুরোধ করে স্পষ্ট জবাব দিবেন। আমি অনেক কষ্টে আছি।

1 Answer

0 votes
ago by (680,280 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ. «الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক। যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনি প্রতি মাসে ১০ দিন হায়েয গণনা করবেন। আপনার পূর্বের আদত পরিবর্তন হয়ে গেছে।

(২) প্রতি মাসের শেষের দিকে যে রক্ত আসে সেটাকে হায়েজ ধরবেন।
(৩) ১০ দিন হায়েয ধরবেন।এবং বাদবাকি দিনগুলি ইস্তেহাযা হবে।

(৪) ১০ দিন পর সাদাস্রাব আসুক বা না আসুক আপনি পবিত্র ধরে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 127 views
...