আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
14 views
in পবিত্রতা (Purity) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ উস্তায। আমার মার ওজন ১০০+। উনি এমনিতে সুস্থ।কিন্তু বিছানায় কিছু সময় থাকলে উনার প্রস্রাবের চাপ পায় এবং খুব দ্রুতই বাথরুমে যেতে হয়। এদিকে উনার ওজন বেশি হওয়ায় পায়ের ব্যথা থাকে, বিছানা থেকে বা বসা থেকে উঠার পর স্বাভাবিকভাবে হাটতে পারেন না। খুবই আস্তে হাটতে হয়,অন্যদিকে ঘুম ভাঙ্গার পর পরই উনার প্রস্রাব ধরে, দ্রুত যেতে  না পারার জন্য বিছানা ও মেঝেতে প্রস্রাব পড়ে যায়। আবার কখনো বা বাথরুমে যাওয়ার পরই  ( কমোডে বসার আগেই) উনি প্রস্রাব করে ফেলেন, এতে বাথরুমও অপবিত্র হয়ে যায়।


প্রশ্ন:১- আমি প্রায় প্রতিদিনই উনার বেডশিট ধুয়ে দেই। কিন্তু সকালে চেঞ্জ করলে আবার বিকালেও চেঞ্জ করা লাগে। কখনো নিজের অজান্তেই ঐ বেডশিটে অজু অবস্থায় বসে যাই এতে কি গুনাহ হবে?


প্রশ্ন:২-উনার রুমে বাথরুম নেই, করিডোর দিয়ে হেটে বাথরুমে যাওয়া লাগে। যখন উনি ঘুম থেকে উঠে ওয়াশরুমে যান প্রায় সময়ই উনি ঐ অপবিত্র অবস্থায় সারাঘর হাটেন। সব সময় প্রতিদিন ঘর মুছাটা কষ্টকর আমার জন্য। আবার ঘর মুছার পরপর অনেক দিন ঘর অপবিত্র হয়ে যায়। আবার আমি অজু পড়ে ঐ রাস্তায়ই হেটে গিয়ে নামাজে দাড়াই। এতে কি নামাজের পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে না? অনেক সময় নামাজের ঐ স্থানটাও অপবিত্র থাকে হয়তো।
প্রশ্ন:৩- বাথরুম থেকে উনি যাওয়ার পর আমি প্রায়ই বাথরুম চেক করি, গন্ধ পাই। মনে হয় এখনো বাথরুমের ফ্লোরে অপবিত্র রয়েছে। তবে সব সময় তো আর মনে থাকে না ফ্লোরে অপবিত্রতা থাকতে পারে, আমি অজু করি বাহিরের বেসিনে, পা ধুই বাথরুমে এসে। এজন্য একটু খুতখুত লাগে হয়তো অজু হয়নি অপবিত্রতা লেগে গেছে পায়ে। আমার কি আসলেই অজু হয়না? এর কোনো সমাধান আছে?


প্রশ্ন:৪- আম্মুর অজন বেশি হওয়ায় সব ধরনের জুতা পায়ে দিতে পারেন না। ঘরে যে জুতা পায়ে দেন, ঐ জুতা পড়েই ডিরেক্ট বাথরুমেও যান। বাথরুমের নির্ধারিত জুতা উনি পড়তে পারেন না। এটা নিয়ে আগে হালকা পাতলা ই রাগারাগি করতাম, কিন্তু উনার জন্য কষ্টকর হওয়ায় আর কিছু বলিনা। বয়স হয়ে গেলে মা বাবাকে তো খেয়াল করতে বলেছেন আল্লাহ এটা ভেবে। কিন্তু ঐ যে বাথরুমের ঐ জুতা পড়েই আবার সারাঘর হাটেন। এতে কি ঘরের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে না?


প্রশ্ন:৫-আমার এই প্রশ্নগুলো দ্বারা কি আমাকে ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ধরে নেয়া যায়? আমার আম্মুর মতে আমার নাকি শুচিবাই

1 Answer

0 votes
ago by (679,170 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নাজাসত দুই প্রকার
(ক)নাজাসাতে গালিজাহ
(খ)নাজাসাতে খাফিফাহ

প্রথম প্রকারঃ
নাজাসতে গালিজাহ
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,
وَهِيَ نَوْعَانِ (الْأَوَّلُ) الْمُغَلَّظَةُ وَعُفِيَ مِنْهَا قَدْرُ الدِّرْهَمِ
নাজসতে গালিজাহ যা এক দিরহাম পরিমাণ হলে ক্ষমাযোগ্য।
(নাজাসতে গালিজাহ কি কি?)
সে সম্পর্কে বলা হয়,
 كل ما يخرج من بدن الإنسان مما يوجب خروجه الوضوء أو الغسل فهو مغلظ كالغائط والبول والمني والمذي والودي والقيح والصديد والقيء إذا ملأ الفم. كذا في البحر الرائق.
وكذا دم الحيض والنفاس والاستحاضة هكذا في السراج الوهاج وكذلك بول الصغير والصغيرة أكلا أو لا. كذا في الاختيار شرح المختار 
وكذلك الخمر والدم المسفوح ولحم الميتة وبول ما لا يؤكل والروث وأخثاء البقر والعذرة ونجو الكلب وخرء الدجاج والبط والإوز نجس نجاسة غليظة هكذا في فتاوى قاضي خان 
وكذا خرء السباع والسنور والفأرة. هكذا في السراج الوهاج بول الهرة والفأرة إذا أصاب الثوب قال بعضهم: يفسد إذا زاد على قدر الدرهم وهو الظاهر. هكذا في فتاوى قاضي خان والخلاصة خرء الحية وبولها نجس نجاسة غليظة وكذا خرء العلق. كذا في التتارخانية ودم الحلمة والوزغة نجس إذا كان سائلا. كذا في الظهيرية فإذا أصاب الثوب أكثر من قدر الدرهم يمنع جواز الصلاة. كذا في المحيط.
ভাবার্থঃ-
ঐ সমস্ত জিনিষ যা মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে ওজু গোসলকে ওয়াজিব করে দেয়।তা হল নাজাসতে গালিজাহ,যেমনঃ- পায়খানা,পেশাব,বীর্য, মযি(বীর্যের পূর্বে যা বাহির হয়),ওদি(প্রস্রাবের সময় যা বাহির হয়)ফুঁজ,বমি যখন তা মুখভড়ে হয়,
(বাহরুর রায়েক)
এবং আরো ও নাজাসতে গালিজাহ হল যথাক্রমে-
হায়েয ও নেফাসের রক্ত,ছোট্ট বালক/বালিকার  প্রস্রাব তারা আহার করুক বা না করুক।
মদ,প্রবাহিত রক্ত,মৃত জানোয়ারের গোসত,ঐ সমস্ত প্রাণীর প্রস্রাব ও গোবর যাদের গোস্ত ভক্ষণ হারাম।গরুর গোবর,কুকুরের বিষ্টা, মোরগ এবং হাস ও পানী হাসের বিষ্ঠা। 
হিংস প্রাণীর বিষ্টা,বিড়ালের বিষ্টা,ইদুরের বিষ্টা।বিড়াল এবং ইদুরের প্রস্রাব যদি কাপড়ে লাগে তবে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরামগণ মনে করেন যে,যদি তা এক দিরহামের বেশী হয় তবে পবিত্র।আর কিছুসংখ্যক না করেন।
সাপের বিষ্টা,ও প্রস্রাব।জোকের বিষ্টা।আঠালো ও টিকটিকির রক্ত যদি তা প্রবাহিত হয়।( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৪৬)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার মায়ের বক্তব্যকে উড়িয়ে দেয়া যাবেন না। আপনি অনেকাংশেই ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত। আপনি মায়ের প্রস্রাব থেকে ঘরকে মুক্ত রাখবেন। মুক্ত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 225 views
...