ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
" ﺑﺎﺏ ﻋﻔﻮ ﺍﻟﻤﻈﻠﻮﻡ ﻟﻘﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ : ( ﺇِﻥ ﺗُﺒْﺪُﻭﺍْ ﺧَﻴْﺮًﺍ ﺃَﻭْ ﺗُﺨْﻔُﻮﻩُ ﺃَﻭْ ﺗَﻌْﻔُﻮﺍْ ﻋَﻦ ﺳُﻮَﺀٍ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﻔُﻮًّﺍ ﻗَﺪِﻳﺮًﺍ ) ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ 149/ .
তোমরা যদি কল্যাণ কর প্রকাশ্যভাবে কিংবা গোপনে অথবা যদি তোমরা আপরাধ ক্ষমা করে দাও, তবে জেনে রাখ, আল্লাহ নিজেও ক্ষমাকারী, মহাশক্তিশালী। (সূরা নিসা-১৪৯)
ﻭَﺟَﺰَﺍﺀ ﺳَﻴِّﺌَﺔٍ ﺳَﻴِّﺌَﺔٌ ﻣِّﺜْﻠُﻬَﺎ ﻓَﻤَﻦْ ﻋَﻔَﺎ ﻭَﺃَﺻْﻠَﺢَ ﻓَﺄَﺟْﺮُﻩُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ ) ﺍﻟﺸﻮﺭﻯ 40/ .
আর মন্দের প্রতিফল তো অনুরূপ মন্দই। যে ক্ষমা করে ও আপোষ করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে; নিশ্চয় তিনি অত্যাচারীদেরকে পছন্দ করেন না।(৪২/৪০)
ﻭَﻟَﻤَﻦ ﺻَﺒَﺮَ ﻭَﻏَﻔَﺮَ ﺇِﻥَّ ﺫَﻟِﻚَ ﻟَﻤِﻦْ ﻋَﺰْﻡِ ﺍﻟْﺄُﻣُﻮﺭِ ) ﺍﻟﺸﻮﺭﻯ 43/ " ﺍﻧﺘﻬﻰ .
অবশ্যই যে সবর করে ও ক্ষমা করে নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ।(৪২/৪৩)
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ
ﻭﻗﺎﻝ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻳَﺎ ﻋُﻘﺒَﺔَ ﺑﻦَ ﻋَﺎﻣِﺮ : ﺻِﻞْ ﻣَﻦْ ﻗَﻄَﻌَﻚَ ، ﻭَﺃَﻋْﻂِ ﻣَﻦْ ﺣَﺮَﻣَﻚَ ، ﻭَﺍﻋْﻒُ ﻋَﻤَّﻦ ﻇَﻠَﻤَﻚَ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺣﻤﺪ ( 4/158 ) ﻭﺻﺤﺤﻪ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ " ﺍﻟﺴﻠﺴﻠﺔ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ" ( 891 )
হে উকবা তুমি সম্পর্ক স্থাপন কর তার সাথে যে তোমার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছে,এবং দান কর তাকে যে তোমাকে বঞ্চিত করেছে,এবং মাফ করে দাও তাকে যে তোমার উপর যুলুম করেছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনার যদি উনার সম্পর্কে ভয় হয়, তাহলে সতর্ক থাকবেন। এবং উনার সাথে যোগাযোগ ও সম্পর্ক কমিয়ে দিবেন।
(২) আপনি প্রতিবাদ করতে পারবেন তবে ক্ষমা করে দিয়ে চুপ থাকাই উত্তম।
(৩) সবার সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখবেন। উনার সম্পর্কেও।
(৪) আপনি সর্বদা দ্বীনের কাজ কাজ করার চেষ্টা করবেন।