আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in সালাত(Prayer) by (2 points)
closed ago by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
আমার জন্ম ২০০৫ সাল।  আলহামদুলিল্লাহ আমি ২০২৪ সাল থেকে হেদায়েত পাওয়ার পর নিয়মিত নামাজ পড়ছি। কিন্তু বালেগ হওয়ার পরে অনেক নামাজ কাজা হয়ে গিয়েছে আল্লাহ মাফ করুক। আমি কিভাবে হিসেব করবো সেটা বুঝতে পারছি না। কারণ আমি মাঝে মাঝে নামাজ পড়তাম নিয়মিত আবার অনেকদিন ছেড়ে দিতাম।আবার হয়তো ফজরটা পড়া হতো না, স্কুলে থাকলে যোহর পড়তাম না, বাকিগুলো পড়তাম। চিন্তা করতে গেলে আমার কিছু মনে পড়ছে না। একবার মনে হচ্ছে আমি তো নামাজ পড়তাম আবার মনে হচ্ছে নামাজ বাদ আছে অনেক।
১) এখন আমি কত বছরের কাজা আদায় করব?
২)এই কাজা নামাজের ক্ষেত্রে কি আমার হায়েজের দিনগুলো বাদ দিব?  ( ৫x১২=৬০,  বছরে দুই মাস করে বাদ তাহলে)
৩) বিতর নামাজেরও কি কাজা আদায় করতে হয়?
৪)কাজা নামাজ কখন পড়ব? সালাতের তিনটা নিষিদ্ধ সময় ছাড়া ওয়াক্তের নামাজের আগে পরে যখন তখন পড়া যাবে কি?

৫)ফজরের পর থেকে যোহরের আগ পর্যন্ত কাজা নামাজ পড়া যাবে কি? পড়া গেলে কোন ওয়াক্তের?

আফওয়ান মাফ করবেন উস্তাদ অনেকগুলো প্রশ্ন করে ফেলেছি। আমি অনেক চিন্তিত আমার কাজা নামাজগুলো নিয়ে । আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
closed

1 Answer

0 votes
by (679,080 points)
selected ago by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইবনে আবেদীন শামী রাহ কাযা নামায পড়ার নিয়ম এভাবে দিয়েছেন যে,
ভাবানুবাদঃ-উমুরী কাযা নামায আদায় করতে হলে প্রথমে কোন ওয়াক্তের কতটা নামায কাযা হয়েছে তা নির্ণয় করবে।যদি সেটা নির্ণয় করা সম্ভব না হয়। তাহলে অনুমান করে নিবে। অনুমান করে কোন ওয়াক্তের কতটি নামায কাযা হয়েছে সেটা নির্ধারণ করে নিবে। তারপর ধারাবাহিকভাবে একে একে সবগুলোকে  আদায় করে নিবে।

যেমন, ফজরের নামায সর্বমোট ১০০ ওয়াক্তের কাযা হয়েছে। তখন কাযা নামায আদায় করার সময় এভাবে নিয়ত করবে যে, আমার জিম্মায় যত ফজরের নামায কাযা রয়েছে, সে অনাদায়কৃত নামায সমূহের মধ্য থেকে প্রথম ফজরের নামাযকে এখন কাযা আদায় করছি” এমন নিয়তে নামায আদায় করবে।এভাবে হিসেবে করে পড়তে থাকবে। প্রতিবার অনাদায়কৃত প্রথম ফজরের নামায বলার দ্বারা তার যিম্মায় যতগুলো নামায বাকি ছিলো, সেগুলোর প্রথম নামাযের নিয়ত হচ্ছে, তাই এক্ষেত্রে নিয়তটি নির্দিষ্ট নামাযেরই হচ্ছে।ঠিক উল্টোভাবেও করা যায়। অর্থাৎ যত নামায কাযা আছে তার সর্বশেষ অনাদায়কৃত কাযার নিয়ত করছি। এভাবেও পূর্বোক্ত পদ্ধতিতে বাকি নামাযের কাযা আদায় করা যাবে।(রদ্দুল মুহতার-২/৫৩৮)
এ ধারাবাহিকতায় বাকি নামায সমূহের ক্বাযা আদায় করবে। যোহর, আছর, মাগরিব, ইশা এবং সাথে বিতিরের নামাযকে ও এভাবেই আদায় করে নিবে।বিতিরের নামাযের ক্বাযা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/629

উমুরী কা’যার নামায সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/968

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ليس للقضاء وقت معين بل جميع أوقات العمر وقت له
কা'যা নামায পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ওয়াক্ত নেই।বরং জীবনের সকল মূহুর্তই কা'যা নামাযের ওয়াক্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যেহেতু আপনার কাছে যথাযথ কোনো হিসেব সংরক্ষিত নয়, তাই এখন আপনি অনুমান করে ঐ ছুটে যাওয়া নামাযের কাযা করে নিবেন। 
(২) এই কাজা আদায়ের ক্ষেত্রে  হায়েজের দিনগুলো বাদ যাবে।  ৫x১২=৬০, বছরে দুই মাস করে বাদ যাবে।

(৩) বিতর নামাজেরও কাজা আদায় করতে হবে। ফরযের কাযা ফরয,ওয়াজিবের কাযা ওয়াজিব এবং সুন্নতের কাযা সুন্নত।

(৪) সালাতের তিনটা নিষিদ্ধ সময় ছাড়া ওয়াক্তের নামাজের আগে পরে যে কোনো সময় পড়া যাবে।

(৫) ফজরের পর থেকে যোহরের আগ পর্যন্ত কাজা নামাজ পড়া যাবে। এবং যে কোন ওয়াক্তের কাযা পড়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 247 views
0 votes
1 answer 109 views
...