আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (16 points)

<!--StartFragment -->

আছছালামু আলাইকুম, 


হুজুর, আমি প্রতি মাসে কাবিনের টাকা পরিশোধ করি আমার স্ত্রীকে। বিয়ের সময় আমার সামর্থ্যের থেকে বেশি কাবিন ধরা হইছে।

একদিন স্ত্রীর সাথে কথা বলার সময় ভুল ক্রমে বলে ফেলি ,

কাবিনের টাকা পুরুষের জন্য বো**

বোঝা শব্দের বো পর্যন্ত বলার পরই বুঝতে পারি , আমি ভুল কথা বলতেছি, সাথে সাথে থেমে যাই।

কাবিনের প্রতি আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে। 

ভুলক্রমে, বেখায়ালে কথা বলার জন্য, আমার ঈমান কী চলে গিয়েছে? আমাকে কী নতুন করে বিয়ে করতে হবে আমার স্ত্রীকে ? 

<!--EndFragment -->

1 Answer

0 votes
by (647,730 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

কুরআনের কোনো আয়াতকে অস্বীকার করলে,আল্লাহর আকাট্য ভাবে প্রমানীত  যেকোনো ফরজ বিধানকে জেনে শুনে অস্বীকার করলে,ঠাট্রা বিদ্রুপ করলে বা জেনে শুনে ঈমান চলে যাওয়ার মতো কোনো কুফরি কথা বললে ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবে।
,
সুরা আল-বাকারাহ : ২/৩৯ ,২/৪১
وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِـَٔايٰتِنَآ أُولٰٓئِكَ أَصْحٰبُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خٰلِدُونَ
আর যে লোক তা অস্বীকার করবে এবং আমার আয়াতগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী ; অন্তকাল সেখানে থাকবে।

وَءَامِنُوا بِمَآ أَنزَلْتُ مُصَدِّقًا لِّمَا مَعَكُمْ وَلَا تَكُونُوٓا أَوَّلَ كَافِرٍۭ بِهِۦ ۖ وَلَا تَشْتَرُوا بِـَٔايٰتِى ثَمَنًا قَلِيلًا وَإِيّٰىَ فَاتَّقُونِ
আর তোমরা সে গ্রন্থের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, যা আমি অবতীর্ণ করেছি সত্যবক্তা হিসেবে তোমাদের কাছে। বস্তুতঃ তোমরা তার প্রাথমিক অস্বীকারকারী হয়ো না আর আমার আয়াতের অল্প মূল্য দিও না। এবং আমার (আযাব) থেকে বাঁচ ।

সূরা আন-নিসা : ৪/৫৬, ৪/১৪০
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِـَٔايٰتِنَا سَوْفَ نُصْلِيهِمْ نَارًا كُلَّمَا نَضِجَتْ جُلُودُهُم بَدَّلْنٰهُمْ جُلُودًا غَيْرَهَا لِيَذُوقُوا الْعَذَابَ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَزِيزًا حَكِيمًا
এতে সন্দেহ নেই যে, আমার আয়াত সমুহের প্রতি যেসব লোক অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে, আমি তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পালটে দেব অন্য চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আযাব আস্বাদন করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, হেকমতের অধিকারী ।

الَّذِينَ يَتَرَبَّصُونَ بِكُمْ فَإِن كَانَ لَكُمْ فَتْحٌ مِّنَ اللَّهِ قَالُوٓا أَلَمْ نَكُن مَّعَكُمْ وَإِن كَانَ لِلْكٰفِرِينَ نَصِيبٌ قَالُوٓا أَلَمْ نَسْتَحْوِذْ عَلَيْكُمْ وَنَمْنَعْكُم مِّنَ الْمُؤْمِنِينَ ۚ فَاللَّهُ يَحْكُمُ بَيْنَكُمْ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ ۗ وَلَن يَجْعَلَ اللَّهُ لِلْكٰفِرِينَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ سَبِيلًا

আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফিক ও কাফিরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন ।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


الھندیة: (281/2)
الاستہزاء بأحکام الشرع کفر۔
অনুবাদঃ-শরীয়তের বিধান নিয়ে ঠাট্রা করা কুফরী।

النبراس: (ص: 544، ط: مکتبة البشریٰ)
الاستہزاء علی الشریعۃ کفر؛ لأن ذٰلک من أمارات التکذیب ۔
সারমর্মঃ-
শরীয়তের বিধান নিয়ে ঠাট্রা করা কুফরী।কেননা তাহা শরীয়তের বিধান অস্বীকারের আলামত।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ঈমান চলে যায়নি। নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবেনা।

উল্লেখ্য, এভাবে আপনার সাধ্যের বাহিরে বেশি মোহরানা নির্ধারণ করাটা তাদের জন্য কোনক্রমেই উচিত হয়নি।

মোহরানা অবশ্যই স্বামীর সাধ্যের মধ্যে ধরতে হবে।

এক্ষেত্রে একটি ছুরতে আছে, তা হলঃ- আপনার স্ত্রী যদি আপনার মোহরানা কিছুটা ক্ষমা করে দেয়, সেক্ষেত্রে সেটি ক্ষমা হয়ে যাবে।

আর কোনদিন আপনার স্ত্রী ক্ষমাকৃত মোহরানার দাবি করতে পারবে না।

তবে মোহরানা কিছু অংশ ক্ষমা করার ক্ষেত্রে আপনার স্ত্রীকে আপনি বাধ্য করতে পারবেননা।  
তিনি যদি সন্তুষ্টি চিত্তে ক্ষমা করে দেন, তবেই ক্ষমা হবে, অন্যথায় ক্ষমা হবে না।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...